বিভিন্ন পুরকৌশল সামগ্রী বিষয়ক অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

বিভিন্ন পুরকৌশল সামগ্রী বিষয়ক অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর এখানে দিয়ে দেয়া হলো।

বিভিন্ন পুরকৌশল সামগ্রী বিষয়ক অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 

বিভিন্ন পুরকৌশল সামগ্রী বিষয়ক অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১। প্রকৌশল সামগ্রী বা উপকরণ বলতে কী বোঝায়? (বাকাশিবো : ০২, ০৩, ০৪, ০৭, ০৮, ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭ অথবা, নির্মাণ সামগ্রী বলতে কী বুঝ?

(বাকাশিবো ১৪R. ১/ উত্তর প্রকৌশল নির্মাণে বিভিন্ন ধরনের গুণ, মান ও শক্তিসম্পন্ন সামগ্রী ব্যবহৃত হয়। প্রকৌশলীগণ নির্মাণের জন্য স্বল্প রায়, নিরাপদ, নিরাপত্তা, সৌন্দর্য ও স্থায়িত্বশীলতার দিক বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকেন। প্রকৌশল নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রীকে

প্রকৌশল সামগ্রী বা উপকরণ বলা হয়। ইট, টালি, লোহা ইত্যাদি প্রকৌশল সামগ্রীর উদাহরণ।

২। স্থিতিস্থাপকতা কী?

(বাকাশিবো = ১৫/ উত্তর : বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করলে বস্তুতে বিকৃতি ঘটে। বস্তুর যে ধর্মের জন্য বস্তুর উপর হতে প্রযুক্ত বল অপসারণ করলে বিকৃতি বস্তু সম্পূর্ণরূপে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে, বস্তুর এ গুণকে স্থিতিস্থাপকতা বলা হয়।

৩। প্রকৌশল সামগ্রীর ধর্মগুলো লেখ।

অথবা, নির্মাণ সামগ্রী বা প্রকৌশল সামগ্রী নির্বাচনে সামহীর কোন কোন ধর্মের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়?

উত্তর : নির্মাণ সামগ্রী বা প্রকৌশল সামগ্রী নির্বাচনে সামগ্রীর নিচের ধর্মগুলোর প্রতি বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়।

[বাকাশিবো ১৪/ (বাকাশিবো ০৮)

(১) ভৌত ধর্ম, (২) যান্ত্রিক ধর্ম, (৩) রাসায়নিক ধর্ম, (৪) বৈদ্যুতিক ধৰ্ম, (৫) ভাগীয় ধর্ম ও (৬) চুম্বকীয় ধর্ম

৪। চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটিরিয়ালস-এর নাম লেখ।

[বাকাশিবো ‘১৪RI ]

উত্তর : ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটিরিয়্যালস্ হলো- (১) ইট, (২) সিমেন্ট, (৩) কাঠ ও (৪) লোহা।

বিাকাশিবো : ০৬, ০৭, ১৩, ১৪/

৫। ACI AASHO-এর পুরো নাম লেখ।

উত্তর ACI American Concrete Institute.
AASHO American Association of State Highway Official.

৬। ভূ-ত্বককে প্রকৌশল সামগ্রীর আধার বলা হয় কেন?

[বাকাশিবো ১২/ উত্তর : বিভিন্ন প্রকৌশল নির্মাণে (Engineering Construction) ভিন্ন ভিন্ন ধরণের বিপুল পরিমাণ নির্মাণ সামগ্রীর চাহিদা পুরণে ভূ-পৃষ্টের সুবিশাল এলাকার বিভিন্ন উপাদান সরাসরি বা কৃত্রিম উপায়ে প্রকৌশল নির্মাণের উপযোগী সামগ্রীতে রূপান্তর করে ব্যবহার করা হয়। তাই ভূ-ত্বককে প্রকৌশল বা নির্মাণ সামগ্রীর আধার (Containeer of Engineering Materals) বলা হয়।

[বাকাশিবো। ১২(১ম ও ৩য়)R)

 

৭। প্রকৌশল সামগ্রীর ভৌত ধর্মগুলো কী কী? উত্তর প্রকৌশল সামগ্রীর ভৌত ধর্মগুলো হলো।

(১) আকার, (২) আকৃতি, (৩) ঘনত্, (৪) স্বচ্ছিদ্রতা, (৫) সংযুক্তি, (৬) বুনট ইত্যাদি।

 

৮। বিকৃতি কী?

[বাকাশিবো : ১২(১ম ও ৩য়)R) উত্তর : প্রযুক্ত বাহ্যিক বলের প্রভাবে সামগ্রীর একক দৈর্ঘ্যে যে পরিবর্তন হোস বা বৃদ্ধি) হয় তাই বিকৃতি। গাণিতিকভাবে

বিকৃতি = দৈর্ঘ্যে হ্রাস বা বৃদ্ধির পরিমাণ আদি দৈর্ঘ্য

[বাকাশিবো: ০৭, ১১ (১ম)/

 

৯। নির্মাণ সামগ্রীর ভৌত ধর্ম বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : নির্মাণ সামগ্রীর আকার, আকৃতি, ঘনত্ব, স্বচিদ্রতা, বুনট ইত্যাদি সম্পর্কে সামগ্রীর যে ধর্ম ধারণা দেয়, তাকে নির্মাণ সামগ্রীর ভৌত ধর্ম বলা হয়।

 

১০। প্রকৌশল সামগ্রীর যান্ত্রিক ধর্মগুলো কী কী?

[বাকাশিবো। ‘১১(২৫)/(

অথবা, বস্তুর যান্ত্রিক ধর্মের আওতায় বিবেচ্য ধর্মগুলো কী কী? উত্তর : বস্তুর যান্ত্রিক ধর্মের আওতায় বিবেচ্য ধর্মগুলো হলো: (i) শক্তি, (ii) স্থিতিদ্বাপকতা, (iii) নমনীয়তা, (iv) অনমনীয়তা, (v) প্রসার্যতা, (vi) ভঙ্গুরতা, (vii) কাঠিনা, (viii) স্থিতিস্থাপন ক্ষমতা, (ix) ঘাতসহতা, (x) মন্থর বিকৃতি ইত্যাদি।

 

 

১১। নির্মাণ প্রকল্পে প্রকৌশলীর দায়িত্বগুলো কী কী?

উত্তর। নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালনা, ডিজাইন, নির্মাণ, মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি দায়িত্ব নির্মাণ প্রকৌশলীর উপর বর্তায়।

১২। পুরকৌশল (সিডিল ম্যাটেরিয়ালস্) সামগ্রী বা উপকরণ বলতে কী বোঝায়? অথবা, পুরকৌশল সামগ্রী বলতে কী বুঝ?

উত্তর প্রকৌশল নির্মাণে বিভিন্ন ধরনের ঋণ, মান ও শক্তিসম্পন্ন সামগ্রী ব্যবহৃত হয়। প্রকৌশলীগণ নির্মাণের জন্য স্বল্প বায়, নিরাপদ, নিরাপত্তা, সৌন্দর্য ও স্থায়িত্বশীলতার দিক বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকেন। পুরকৌশল (সিভিল) নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রীকে পুরকৌশল (সিভিল ম্যাটেরিয়ালস্) সামগ্রী বা উপকরণ বলা হয়। ইট, টালি, লোহা ইত্যাদি প্রকৌশল সামগ্রীর উদাহরণ।

১৩। আন্তঃআণবিক ফাঁক বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : প্রত্যেক বস্তু বা সামগ্রীর অনুগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাঁক থাকে। ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে এ ফাঁকের পরিমাণও ভিন্ন।

[বাকাশিবো ‘০৮)

 

১৪। ‘টেস্ট’ বলতে কী বুঝায়?

ভিন্ন। এ ফাঁককে আন্তঃআণবিক ফাঁক (Inter Molecular Space) বলা হয়। উত্তর নির্মাণ সামগ্রীর প্রায় সকল ধর্মাবলিই সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিমাপ করে নির্ণয় করা হয়। সাধারণভাবে এ পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে টেস্ট (Test) নামে আখ্যায়িত করা হয়।

 

১৫। প্ৰসাৰ্যতা বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : কোনো বস্তুর উপর টানা বল প্রয়োগ করলে যে গুণের কারণে বস্তু নমনীয় সীমার মধ্যে । ছিঁড়ে শুধু লম্বা হতে থাকে, বস্তুর এ গুণকে প্রসার্যতা (Ductility) বলা হয়।

 

১৬। পীড়ন কী?

উত্তর : কোনো সামগ্রীর উপর বাইরে থেকে প্রযুক্ত বলের প্রভাবের ফলে এর অভ্যন্তরে সৃষ্ট বলের তীব্রতাকে পীড়ন বলে।

গাণিতিকভাবে একক ক্ষেত্রফলে পতিত বলই পীড়ন, অর্থাৎ পীড়ন = প্রযুক্ত বল

 

১৭। বিভিন্ন ধরনের পীড়নের নাম লেখ।

উত্তর: বিভিন্ন ধরনের পীড়নগুলো হলো- (১) চাপ পীড়ন, (২) টান পীড়ন ও (৩) শীয়ার পীড়ন।

 

১৮। বিভিন্ন ধরনের বিকৃতির নাম লেখ।

উত্তর : বিভিন্ন ধরনের বিকৃতিগুলো হলো- (১) টান বিকৃতি, (২) চাপ বিকৃতি ও (৩) শীয়ার বিকৃতি।

১৯। বিভিন্ন ধাতুর ক্ষেত্রে পয়সন ধ্রুবকের মান কত?

উত্তর : বিভিন্ন ধাতুর ক্ষেত্রে পয়সন ধ্রুবকের মান 0.25 হতে 0.35 এর মধ্যে হয়ে থাকে।

২০। কয়েকটি ভঙ্গুর সামগ্রীর নাম লেখ।

উত্তর : কয়েকটি ভঙ্গুর সামগ্রী হলো-কাচ, ঢালাই।

 

 

২১। কী কারণে তার মোচড়ালে ছিঁড়ে যায়?

লোহা, ফনক্রিট ইত্যাদি।

উত্তর : তারের ফ্যাটিগ ধর্মের জন্য এটি মোচড়ালে ছিঁড়ে যায়।

 

২২। বস্তুর দৃঢ়তা গুণাঙ্কের সংজ্ঞা লেখ।

উত্তর : শীয়ার পীড়ন ও শীয়ার বিকৃত্তি অনুপাতই দৃঢ়তা গুণাছ (Modules of rigidity) নামে পরিচিত। অর্থাৎ দৃঢ়তা গুণাঙ্ক শীয়ার পীড়ন শীয়ার বিকৃতি।

 

২৩। বস্তুর কাঠিন্য বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : যে ধর্মের জন্য বস্তু আমাতে অবিচল থাকে, বস্তুর এ গুণকে কাঠিন্য বলা হয়।

 

২৪। বস্তুর শক্তি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর। বস্তুতে প্রয়োগকৃত বলের প্রভাবে এর অভ্যন্তরে অণুগুলোতে আকর্ষণ ও বিকর্ষণজনিত কারণে প্রতিরোধী বলের সৃষ্টি

হয়, যা বস্তুর আকার-আকৃতি ও প্রকৃতি অপরিবর্তিত রাখতে চেষ্টা করে। বস্তুনা এ ধর্মকে বস্তুর শক্তি বলা হয়।

 

২৫। খাতসহতা কী?

উত্তর : বস্তুর যে ধর্মের জন্য বস্তুতে চাপ প্রয়োগ করলে নমনীয় বিকৃতি ঘটতে থাকে, অর্থাৎ চাপ প্রয়োগে বন্ধু বিচূর্ণ না হয়ে বিস্তৃতি লাভ করতে পারে, এ গুণকে ঘাতসহতা বলা হয়।

 

২৬। নমনীয়তা কী?

উত্তর : বস্তুর উপর চাপ প্রয়োগ করলে বস্তুর বিকৃতি ঘটে। বস্তুর যে ধর্মের জন্য বস্তুর উপর হতে প্রযুক্ত বল অপসারণ করলেও

বিকৃত বস্তু পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে না, বস্তুর এ গুণকে নমনীয়তা বলা হয়।

 

২৭। অনমনীয়তা কী?

উত্তর : স্থিতিস্থাপঞ্চ সীমার মধ্যে বস্তুর বিকৃতি প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বস্তুর অনমনীয়তা বলা হয়।

 

২৮। ভঙ্গুরতা কী?

উত্তর বস্তুর যে ধর্মের জন্য প্রযুক্ত বলের প্রভাবে বিকৃতি ব্যতিরেকে বা সামান্য বিকৃতিতেই বস্তু ভেঙে বা ছিঁড়ে যায় বা চূর্ণ হয়, বস্তুর এ গুণকে ভঙ্গুরতা বলে।

 

২৯। ফ্যাটি ক

উত্তর বস্তুর যে ধর্মের জন্য বস্তুটি পুনঃপুন ক্রিয়ারত পীড়ন প্রতিরোধে সক্ষম হয়, তাকে কাটিল বলাকায়।

 

৩০। বস্তুর স্থিতিস্থাপন ক্ষমতা কী?

উত্তর স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোনো বস্তুর শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতাকে বস্তুর স্থিতিস্থাপন ক্ষমতা বলা হয়।

= x বিকৃতি

 

৩১। মহর বিকৃতি কী?

উত্তর কোনো বস্তুর উপর দীর্ঘকাল যাবৎ স্থির বল বা তার কাজ করলে বস্তুতে ধীরে ধীরে বিস্তৃতি। মন্থর বিকৃতি বলে।

৩২। তাপীয় প্রসারণ সহগ কী?

উত্তর : তাপমাত্রার প্রভাব বস্তুকে প্রসারিত বা সংকুচিত করে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে বিকৃতির পরিবা। তাপীয় প্রসারণ সহগ বলা হয়।

৩৩। সামগ্রীর শক্তি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর বস্তুর উপর বাইরে হতে প্রযুক্ত বলের কারণে এর অভ্যন্তরে অনুগুলোর আকর্ষদ ও বিকশিত বলের সৃষ্টি হয়। এ প্রতিরোধী বল বস্তুর আকার-আকৃতি অপরিবর্তিত রাখতে সাহায্যে করে। সামদীর এ বর্নকে সামলীর শক্তি পাবে।

৩৪। ব্যবহারিক উদ্দেশ্য অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রী কয় প্রকার এবং কী কী?

উত্তর: ব্যবহারিক উদ্দেশ্য অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রী দুই প্রকার। যথ (ক) কাঠামোর সামগ্রী (খ) অন্যান্য (সুরক্ষা, সৌন্দর্য, অন্তরক ইত্যাদি সামগ্রী

আরও পড়ুন:

Leave a Comment