আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ব্যবহারিক ২।
ব্যবহারিক ২
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি :
১। নকশা-১ কপি
২। মাটাম-১টি
৩। স্পিরিট লেভেল
৫। কোদাল
৪। হাতুড়ি-১টি
৫। টেপ ইত্যাদি।
প্রয়োজনীয় মালামাল
১। বাঁশ বা কাঠের খুঁটি।
২। সুতলি
৩। ভারকাঁটা
৪। পাউডার চুল।
১.২ দালানের নক্সা অনুযায়ী সুতার সাহায্যে জমিতে লে-আউট করার পদ্ধতি:
১) প্রথমে একটি বেসলাইন (Baseline) বা সীমারেখা নির্ধারণ করতে হয়। সীমারেখাটি সাধারণত পার্শ্ববর্তী কোনো ভবন বা রাজার মধ্যরেখা (Centerline) এর সমান্তরালে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে চিহ্নিত করা হয়।
২) বেললাইনের সমান্তরাল করে ড্রয়িং এ অঙ্কিত বিভিন্ন ভিলাইনগুলো (a,b,c,d……) কে ভূমিতে
স্থানান্তর করা হয়। কিছু অস্থায়ী বাঁশের খুঁটির সাহায্যে এই সমস্ত গ্রিডলাইনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।
৩) এরপর যেকোনো একটি সুবিধামতো গ্রিডলাইনের ( 1,2,3,4.) সাথে সমকোণে রেখে আরেকটি
গ্রিডলাইন চিহ্নিত করা হয়।
৪) একইভাবে লম্ব বরাবর যে গ্রিডলাইন পাওয়া গেল সেগুলো সমান্তরাল করে আগের মতো আবার নতুন গ্রিডলাইন বসানো হয়।
৫) সামরিক বা অস্থায়ী খুঁটির বদলে কংক্রীটের খুঁটি ব্যবহার করে গ্রিডলাইনগুলোকে স্থায়ী করে রাখা হয় যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে গ্রিডলাইনগুলো অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
৬) লেভেল মেশিনের সাহায্যে রাস্তার চূড়ার তলের উপর ভিত্তি করে ভবনের গ্রিস্থ লেভেল নির্ধারণ করতে হয়। গ্রিস্থ লেডেলের চিহ্নটি এমন এক স্থানে রাখতে হয় যেখানে সহজে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, সহজে দেখা যায় ও ভবন নির্মাণের শেষ পর্যন্ত ঐ স্থানের অস্তিত্ব থাকবে।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি :
১.হাতুড়ি
২. এমএস রড কাটায়
৩. এমএস রড বাইন্ডার
৪. প্লায়ার
৫. রড জয়েন্ট স্ট্যাপার
নক্সা ও মাপ অনুযারী রড সোজা ও কাটার পদ্ধতি।
বাঁকা রঙ সোজা করার জন্য সাধারণত হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়। রঙ সমাগুরাল স্থানে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাঁকা রড সোজা করা হয়।
একটি আরসিসি বীমের এমএস রড ফেব্রিকেশন
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও নির্বাচন পদ্ধতি
১. হাতুড়ি
২. এমএস রড কার্টার
৩. এম এসরড ব্যান্ডার
৪. প্লায়ার
৫. রত জয়েন্ট স্ট্যাপার
নক্সা ও মাপ অনুযায়ী রঙ সোজা ও কাটতে করার পদ্ধতি :
বাঁকা রড সোজা করার জন্য সাধারণত হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়। রড সমান্তরাল স্থানে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে যাঁকা রঙ সোজা করা হয়।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নির্বাচন করার পদ্ধতি :
প্রয়োজনীয় মালামাল :
১। সিমেন্ট
২। বালি
৩। খোয়া
৪। পানি
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
১। ভ্রাম্প কোপ
২। বেইস প্লেট
৩। ১৬ মি.মি. ব্যাসের বুল পয়েন্টেড রড
৪। ফুট ফল বা মেজারিং ফোল
৫। কি
৬। কোনাল
৭। বেলচা
৮। বালতি
৯। কড়াই
১০। চালুমি
১:২:৪ অনুপাতে কংক্রিট মিশ্রণ তৈরি করতে হবে
সাটারিং প্রকৃত করার পদ্ধতি।
সাটারিং-এর এলাইনমেন্ট চেক ক।
সাটারিং-এর মালামাল পরিষ্কার করা আছে কিনা
Steel এর সাটারিং হলে এর তলায় তেলের ব্যবহার করা হয়েছে কিনা এবং কাঠেরসাটারিং হলে এর তলায় কোনো প্রকার ছিন্ন বা তলা সমান মুখ আছে কিনা।
সাটারিং এর দিন দিয়ে কোনো প্রকার পানি বের হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা কাজের সময় যাতে সাটারিং নড়ে না যায় বা ভেঙে না পড়ে কাজের পূর্বে সাটারিং-এর সাপোর্ট।
ঠিকমতো দেয়া আছে কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে পাতলা টিনের ফিতা বা ময়ূরী দিয়ে কাঠের সাটারের জয়েন্ট বন্ধ করতে হবে এবং ফোম বা ভূট টেপ ব্যবহার করতে হবে স্টিলের শাটারের জয়েন্টের ক্ষেত্রে ।
৫. রডের জালি ও ব্লক সঠিকভাবে ফলানোর পদ্ধতি
* প্রয়োজনীয় Structural ডিজাইন অনুসারে বিবার (রড) বিছানো হয়েছে কিনা তা যাচাই করা
* রিবার (রড) লে-আউট সোজা আছে কিনা তা দেখে নেওয়া
* রিবার (রক্ত) পুরুষ বা ভারা ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া,
*রিবার (রঙ) মধ্যবর্তী গ্যাপ বা দূরত্ব ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেওয়া, প্রয়োজন বোধে তিনটি
* গ্যাপের পড় মাপ নিয়ে তা ঠিক করতে হবে;
* রিবার (র) মধ্যবর্তী গ্যাপ বা দূরত্ব কমপক্ষে ১” হতে হবে।
* সঠিক মাপের হুক ও বেত্তি দেওয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে:
* রিবার (রড) উপর ল্যাপিং দূরত্ব ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেওয়া।
* প্রতিটি জিআই (GI) ভারের বাঁধন যাচাই করে নিতে হবে।
* ব্যবহৃত রকগুলোর পুরুত্ব ১:১ (বালু
* সিমেন্ট) আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে;
* রিবার (রড) কোন প্রকার মরিচা বা ক্র্যাক থাকা যাবে না।
নিয়মানুযারী কটি সাই করার পদ্ধতি :
* ঢালাই চলাকালীন
* ঢালাইয়ের সময় সাটারিং ঠিক করার জন্য দুইজন মিস্ত্রি প্রভূত থাকবে;
* কংক্রিট ঢালাই ৫ ফুটের বেশি উপর থেকে না করাই ভালো :
* সঠিকভাবে ভাইব্রেট করতে হবে।
* কংক্রিট-এর লেভেল এবং সারফেসের ফিনিশিং সমান্তরাল হতে হবে ।
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কিউরিং করার পদ্ধতি :
* সঠিকমতো নির্দিষ্ট সময় ধরে কিউরিং করা;
* সঠিক নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ের পরে সাটার খোলা।
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কিউরিং করার পদ্ধতি :
চূড়ান্ত কিশিশ এবং Terrazzo পার ৭-১৫ দিন কিউরিং করতে হবে।
৭ মেঝেতে কাস্ট-ইন-সিটু পদ্ধতিতে মোজাইক
৭.১ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি :
পৃষ্ঠতল প্রভূত করার পদ্ধতি
কংক্রিট বেইসের উপর টপিং বা ফ্লোরিং নির্মাণের পূর্বে সমস্থ জায়গাটিকে কাচ/পিতল বা এলুমিনিয়াম পাঞ্চ (১.৫-২.০ মি.মি x টপিং হাইট) দিয়ে ফ্লোরটিকে ছোট ছোট প্যানেলে বিভিন্ন ডিজাইনে বিভাজিত করা হয়।
৭.৩১ : ২ অনুপাতে মসলা তৈরি করার পদ্ধতি :
নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট গুরুত্বে ঢালাই করার পদ্ধতি > কংক্রিট বেইসের উপরিভাগের ধুলা-বালু পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভিজা পৃষ্ঠে গ্রাউট প্রয়োগ
করে প্রতি অলটারনেট প্যানেল ১:২:৪ অনুপাতে লেয়িং করা হয়। উপরিতল শক্ত হলে টেরাজো মিশ্রন বিছিয়ে সমতল করে দিতে হয়।
রোলিং এবং টেম্পিং কার্য চলাকালীন সময়ে কিছু মার্কেল দানা ছড়িয়ে দিতে হয়, যেন মেঝের ৮০%
জায়গাতে মার্বেল দানা দেখা যায়। পাট্টা এবং কুর্নি দিয়ে সমতল করে ১২-২০ ঘণ্টা শুকাতে দিয়ে হয়।
৭.৫ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কিউরিং করার পদ্ধতি
* শুকানোর পরে ২-৩ দিন পর্যন্ত কিউরিং করা হয়।
৭.৬ মোজাইকপৃষ্ঠ শক্ত হলে তা মসৃন করার পদ্ধতি :
* ঢালাই-এর ৭ দিন পরে ঘষার কাজ আরম্ভ করা হয়। কার্বোরেন্ডাম বা হুয়া পাথর দিয়ে ঘষার কাজ করা হয়।
* প্রথমে পৃষ্ঠকে পানি দিয়ে ধুয়ে মোটা দানার (৬০ নং) পাথর দিয়ে যথা হয়। কোথাও বেশি ঘষা হলে বা পৃষ্ঠদেশে ছিদ্র বা গর্ত দেখা দিলে একই রংয়ের সিমেন্ট গ্রাউট প্রয়োগ করতে হবে।
* ৭ দিন পরে একইভাবে মাঝারি দানার (১২০ নং) পাথর দিয়ে ঘষতে হবে।
৭.৭ অক্সালিক এসিড মিশ্রিত পানি দিয়ে সারফেস পরিষ্কার করার পদ্ধতি :
* এর ৪-৬ দিন পর সরু দানার (৩২০ নং) পাথর দিয়ে একইভাবে ঘষা হয়। ঘষা শেষ হলে পৃষ্ঠকে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হয়। প্রয়োজনে সাবান-পানির পাতলা প্রবণ ব্যবহার করা যায়। তারপর অক্সালিক এসিডের পাতলা দ্রবন পৃষ্ঠে ছিটিয়ে দিয়ে কাঠের ঊসা দিয়ে ঘষতে হবে।
* এরপর পরিষ্কার এবং অল্প ভিজা ন্যাকড়া দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এবং তিন ভাগ ভার্জিন তেল এবং এক ভাগ মোম মিলিয়ে গরম করে মসলা তৈরি করে ন্যাকড়া দিয়ে মেঝে ঘষে পরে মুছে নিতে হয়।
নির্দিষ্ট নিয়মে ক্রিট ঢালাই ও সাইড ওয়ালের গীনি করার পদ্ধতি : এর চাল বা স্লোপ ১:৪০ থেকে ১:৩০ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
+ ইট দিয়ে সারফেস ড্রেন নির্মাণ করে উন্নত মর্টার দিয়ে প্লাস্টার করা হয়।
৯.৪ নির্দিষ্ট নিয়মে নিট সিমেন্টসহ প্লাস্টার ও কিউরিং করার পদ্ধতি :
* মশলা তৈরি করে নালার নিচে ও পার্শ্বে ইটের গাঁথুনি দিতে হবে।
* দু’পার্শ্বে ও তলার সিমেন্ট প্লাস্টার প্রয়োগ করতে হবে।
১.৫ লাইড ফিলিং করার পদ্ধতি :
ঢাকনাযুক্ত নালায় ক্ষেত্রে ঢাকনা তৈরি করে নালা ঢেকে দিতে হবে।
১০.১ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি :
১০.২ পৃষ্ঠতল প্রভূত করার পদ্ধতি
দেয়ালের বা কাঠামোর প্লাস্টার বা আন্তর ভালোভাবে শুকানোর পর চুনকাম করা যায়। চুনকাম করার আগে পৃষ্ঠদেশকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পূর্বের সব ধরনের ময়লা বা অনিষ্টকর উপাদান যা ধূলা-বালু ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং ভালোভাবে গুকানোর পর চুনকাম করতে হবে। পুরাতন চুনকামের উপর নতুনভাবে চুনকামের আগে পুরাতন চুনকাম উত্তমরূপে তুলে ফেলতে হবে এবং পানি দিয়ে ফেলতে হবে।
১০.৩ চুনের প্রবন্ধ/ রঙিন চুলের প্রবণ প্রস্তুত করার পদ্ধতি
পানির সাথে চুন মিশিয়ে এই দ্রবণ তৈরি করা হয়। সাধারণত ২ ভাগ পাথুরে চুন এবং ১ ভাগ কলিচুন প্রয়োজনীয় পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হয়। চুনকাম করার ২৪ ঘন্টা আগে এই প্রবণ তৈরি করতে হয় এবং ব্যবহারের আগে প্রবণকে কাপড়ের সাহায্যে হেঁকে নিতে হয়। প্রতি কেজি পাপ্পুরে চুনের সাথে ৫ লিটার পানি মিশাতে হয়। প্রতি ৩৭ কেজি জুনে ২৫০ গ্রাম হিসাবে পাম বা গ্লু ব্যবহার করতে হবে।
১০.৪ পাটের/সুতার ব্রাশ দিয়ে প্রযুক্তকৃত সেখানে তিন কোট চুনকাম/রঙিন চুলকান প্রয়োগ করার পদ্ধতি
দেয়ালের বা কাঠামোর প্লাস্টার বা আন্তরকৃত পৃষ্ঠের উপর ব্রাস বা তুলি দিয়ে চুনকাম প্রয়োগ করা হয়। চুনকামের সময় একবার উপর হতে নিচে এবং পরের বার নিচ থেকে উপরে তুমি টানতে হয়। তারপর ভান হতে বামে এবং বাম হতে ভালে তুলি টেনে প্রথম কোট সম্পূর্ণ করতে হয়। এভাবে প্রথম কোট শুকনোর পর দ্বিতীয় কোর্ট, তারপর তৃতীয় কোট চুনকাম করতে হয়।
সাধারণত নতুন কাজে তিন কোট এবং পুরাতন কাজে দুই কোট চুনকাম করতে হয়। দেয়ালের আগে সিলিং-এর চুনকাম করতে হয়। চুনকাম প্রবণের জমে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চুলকাম দ্রবণকে মাঝে মধ্যে নাড়া দিতে হয়।

১১.২ পৃষ্ঠতল প্রস্তুত করার পদ্ধতি :
দেয়ালের বা কাঠামোর প্লাস্টার বা আমর ভালোভাবে শুকানোর পর চুনকাম করা যায়। চুনকাম করার আগে পৃষ্ঠদেশকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পূর্বের সব ধরনের ময়লা বা অনিষ্টকর উপাদান বা ধুলা-বালু ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং ভালোভাবে শুকানোর পর চুনকাম করতে হবে। পুরাতন চুনকামের উপর নতুনভাবে চুনকামের আগে পুরাতন চুনকাম উত্তমরূপে তুলে ফেলতে হবে এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
১১.৩ ফুলের প্রবশ/ রঙিন চুলের প্রবণ প্রত করার পদ্ধতি
পানির সাথে চুন মিশিয়ে এই প্রবণ তৈরি করা হয়। সাধারণত ২ ভাগ পাথুরে চুন এবং ১ ভাগ কলিচুন প্রয়োজনীয় পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হয়। চুনকাম করার ২৪ ঘণ্টা আগে এই দ্রবণ তৈরি করতে হয় এবং ব্যবহারের আগে দ্রবণকে কাপড়ের সাহায্যে হেঁকে নিতে হয়। প্রতি কেজি পাথুরে চুনের সাথে ৫ লিটার পানি মিশাতে হয়। প্রতি ৩৭ কেজি স্কুলে ২৫০ গ্রাম হিসাবে গাম বা গ্লু ব্যবহার করতে হবে।
১১.৪ পাটের/সুডার ব্রাশ দিয়ে গ্রন্থ দেয়ালে তিন কোট কাম/রঙিন চুলকান প্রয়োগ করার পদ্ধতি :
দেয়ালের বা কাঠামোর প্লাস্টার বা আস্তরকৃত পৃষ্ঠের উপর ব্রাস বা তুলি দিয়ে চুনকাম প্রয়োগ করা হয়। চুনকামের সমর একবার উপর হয়ে নিচে এবং পরের বার নিচ থেকে উপরে তুলি টানতে হয়। তারপর ডান হতে ৰামে এবং বাম হতে ভানে ভূলি টেনে প্রথম কোট সম্পূর্ণ করতে হয়।
এভাবে প্রথম কোট শুকনোর পর দ্বিতীয় কোর্ট, তারপর তৃতীয় কোর্ট চুনকাম করতে হয়। সাধারণত নতুন কাজে তিন কোট এবং পুরাতন কাজে দুই কোট চুনকাম করতে হয়। দেয়ালের আগে সিলিং-এর চুনকাম করতে হয়। চুনকাম দ্রবণের জে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চুনকাম প্রবণকে মাঝে মধ্যে পাড়া দিতে হয়।
১২-১] প্রয়োজনীয় বজ্রপাতি ও সরকার নির্বাচন করার পদ্ধতি।
১। শিরিস কাগজ,
২। তালের ব্রাশ,
৩। হেয়ার ব্রাশ,
প্রয়োজনীয় মালামাল
১। ডিস্টেম্পার (পাউডার আকারে)
২। পানি (গরম)
৩। পানি (স্বাভাবিক)
৪। চক পাউডার।
১২.সারফেস পরিষ্কার করার পদ্ধতি
তালের ব্রাশ দিয়ে সারফেস ঘষে নিতে হবে। ঝাড়ু দিয়ে সারফেস পরিষ্কার করতে হবে।
১২.৩ ডিসটেম্পার প্রস্তুত করার পদ্ধতি :
পাত্রের মধ্যে ডিস্টেম্পার পাউডার নিয়ে গরম পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্ট ঠাণ্ডা হলে নরমাল পানি মিশিয়ে প্রয়োজনীয় তারল্য সৃষ্টি করতে হবে (বেশি সময় ধরে ঘুটানো দরকার)
১২.৪ চতরাশ প্রয়োগ করার পদ্ধতি :
নির্বাচিত সারফেসে প্রথম প্রলেপ চকওয়াশ চেক পাউডার+পানি) প্রয়োগ করতে হবে।
১২.৫ চকওয়াশ গুফানোর পর নিরমানুযারী ২-৩ কোট ডিসটেম্পার প্রয়োগ করার পদ্ধতি :
* চক রাশ করা পৃষ্ঠ শুকাবার পর হেরার ব্রাশ দিয়ে ডিস্টেম্পার প্রয়োগ করতে হবে।
* প্রথম কোর্টে প্রথমে অনুভূমিক এবং সাথে সাথেই খাড়া ভাবে ব্রাশ করতে হবে।
* প্রথম প্রলেপ শুকানোর পর দ্বিতীয় প্রদেশ একই ভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
১৩.২ দালানে গ্রো-সেম প্রয়োগের যন্ত্রপাতি ও সংস্থান নির্বাচন করার পদ্ধতি :
১) শাঁশের মাচা
২) পড়ি মাচা
৩) বালতি
১৩.৩ প্রয়োজনীয় উপাদান নির্বাচন করার পদ্ধতি
১৩.৪ দেয়াল প্রস্তুত করার পদ্ধতি
প্লাস্টার অবশ্যই পর্যাপ্ত শুকনা হতে হবে এবং খুব ভালোভাবে কিউরিং হতে হবে। প্লাস্টার করার ৪৫ দিন পরে এখানে কাজ শুরু করা উচিত। যেকোনো ধরনের ড্যাম্প, স্যাতসেঁতে, ভেজা বা নষ্ট থাকলে তা ঠিক করে নি হবে। এর পার পাথর বা ল্যান্ড-স্টোন দিয়ে এটা ভালোভাবে ধরে নিতে হবে।
প্লাস্টার করা দেয়াল সমতল হতে হবে। সমতল না থাকলে পাথর দিয়ে ঘষে সমতল করতে হবে। এতে কোনো আলগা ময়লা বা অন্য কোনো পদার্থ থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপার চুনপানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ভালো হয়। এতে করে প্লাস্টার ভালোমতো শুকিয়ে যায়। এরপার স্যান্ডপেপার বা সিরিজ কাগজ দিয়ে ঘষে নিতে হবে।
১৩.৫ এক ফোট ফুসকাসের পর তিন কোট প্রো-সেষ প্রয়োগ করার পদ্ধতি :
- পৃষ্ঠ এলাকায় একটি কুয়াশা পানি স্প্রে প্রয়োগ করে পৃষ্ঠ পরীক্ষা এবং পানি ধীরে ধীরে শোষণ করা উচিত।
- একটি পরিষ্কার বালতি ব্যবহার করে 1 অংশ পানি ও 1 অংশ গুঁড়া যোগ করে Snowcempaint প্রস্তুত করতে হবে।
- Snowcempaint ব্রাশ ব্যবহার করে Snowcempaint প্রয়োগ করতে হবে।
- উষ্ণ আবহাওয়ায় পৃষ্ঠ বাস্পীভবন গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তখন একটি পরিষ্কার জল কুয়াশা স্প্রে প্রয়োগ করে পানি দিয়ে ভিজাতে হয়।
১৪.১ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করা
১০.২ গুটি তৈরির উপাদান করার পদ্ধতিঃ
১. চক পাউডার
২. ভিসির তৈল
৩. তে সিসা
৪. লিখারেজ ইত্যাদি।
১৪.৩ অনুপাত অনুসারে উপাদানঃ
মিশ্রণ করে গুটি তৈরি করার পদ্ধতি
* কাঁচা তিসির তেলে মিহিভাবে গুঁড়া করা চক পাউডার মিশিয়ে শক্ত গাঁসের আকারে পুটি তৈরি করা হয়।
* প্রয়োজনমতো বিভিন্ন রং মিশিয়ে বিভিন্ন রঙের পুটি তৈরি করা যায়।
১৪.৫ নির্দিষ্ট স্থানে পুটি করার পদ্ধতি :
সামান্য পরম অবস্থায় পুঁটি মারফেসের সমান ভলে ফাটা বা ছিদ্রে ভালো করে ভরে সমান করা হয়। অতঃপর শিরীষ কাগজ দিয়ে ঘষে গাৱতল সমান করে নিয়ে পেইন্ট বা বার্নিশ ব্যবহার করা হয়।
১৫-১ দরজা ও জানালায় পেইন্টিং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি
১। বিভিন্ন গ্রেডের স্যান্ড পেপার
৩। হেরার ব্রাশ বা ভুলি
৪। হিটার।
প্রয়োজনীয় উপাদান নির্বাচন করার পদ্ধতি :
১। থিনার বা তারপিন
২। কেরোসিন তেল,
৩। রেডিমেড পেইন্ট
৪। রেডিমেড পুটি
সারফেস (গাত্রতল) প্রস্তুত করার পদ্ধতি
শতকরা পনেরো ভাগের (১৫%) কম আর্দ্রতাযুক্ত এবং উত্তম সিজনকৃত কাঠকে স্যান্ড পেপার দিয়ে ঘষে কাঠের পৃষ্ঠকে ভালোভাবে মসৃন করতে হবে। যার উপর রং প্রয়োগ করতে হবে সেই কাঠের পৃষ্ঠদেশকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকনা ন্যাকড়া দিয়ে মুছে ফেলতে হবে, যাতে আগলা ধুলা-বালি লেগে না থাকে।
ব্যবহৃত পেরেক বা তারকাঁটার মাথা সারফেসের অভ্যন্তরে কমপক্ষে ৩ মি.মি প্রবেশ করাতে হবে। তৈলাক্ত দাগ থাকলে বেনজিন বা তারপিন দিয়ে নরম মার্কিন কাপড়ে ভিজিয়ে মুছে ফেলতে হবে এবং ভালোভাবে শুকাতে হবে।
সারফেসে পেইন্ট প্রয়োগ করার পদ্ধতি :
* কাঠের পৃষ্ঠে স্যান্ড পেপার দিয়ে ঘষে সমতল ও মসৃণ করে নিতে হবে।
* ফাটল বা গর্ত থাকলে গরম পুটি দিয়ে ভরাট করতে হবে।
* অতিরিক্ত পুষ্টি স্ক্র্যাপার দিয়ে কেটে ফেলে এবং স্যান্ড পেপার দিয়ে সমতল ও মসৃণ করে দিতে হবে। * রেডিমেড পেইন্টে তারপিন মিশিয়ে ঘন পেইন্ট পাতলা করে ব্রাশ দিয়ে প্রথম ঘষে মসৃণ করতে হবে।
* প্রথম কোট শুকানোর পর শূন্য গ্রেডের বা চিকন স্যান্ড পেপার দিয়ে আবার পৃষ্ঠতল ঘষে মসৃণ করতে হবে।
*একই ভাবে ব্রাশ দিয়ে দ্বিতীয় কোর্ট প্রয়োগ করতে হবে।
আরও দেখুনঃ