অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার I অধ্যায় ১০ I সিভিল কন্সট্রাকশন-১

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার । শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার

অ্যাবাটমেন্ট সেতুর দুই প্রান্তের রিটেইনিং ওয়ালের অনুরূপ কাঠামো। এটা সেতু কাঠামোর ভার বহনসহ দু’পারের পাড়কে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করে। পায়ার হলো একাধিক স্প্যান বিশিষ্ট সেতু বা কালভার্টের মধ্যবর্তী খুঁটিলমূহ।

অ্যাবাটমেন্ট (Abutment): সেতু বা কালভার্টের শেষ প্রান্তের দেয়ালকে বা সাপোর্টকে অ্যাবাটমেন্ট বলে। এটা সেতুর ওজন এবং এতে আগত সকল লোডের ওজন বহন করে। তাছাড়া পিছনের মাটি ভরাটকেও রক্ষা করে। অ্যাবাটমেন্ট দেয়াল সাধারণত আয়তাকার হয়ে থাকে।

পায়ার (Pier): পায়ার হলো সেতুর বা কালভার্ট-এর মধ্যবর্তী সাপোর্ট যা খুঁটি। পায়ার গোলাকৃতির, আয়তাকার যা যে কোনো আকৃতির হতে পারে।

 

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার

 

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার-এর পার্থক্য

অ্যাবাটমেন্টপায়ার
সেতু বা কালভার্টের শেষ প্রান্তের দেয়াল বা সাপোর্টকে অ্যাবাটমেন্ট বলে।
পায়ার হলো সেতুর বা কালভার্ট মধ্যবর্তী সাপোর্ট বা খুঁটি। তবে স্প্যান সংখ্যা একের অধিক হতে হবে।
সেতু বা কালভার্টে দু’টি অ্যাবাটমেন্ট থাকে।স্প্যানের সংখ্যার সাথে সাথে পায়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
এটি কাঠামোর ভার বহনসহ পাশের মাটির চাপ ও পাড়কে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করে।পায়ার-এর উপর আগত সম্পূর্ণ ভার বহন করে।
এটি সাধারণত ইটের ম্যাশনারি বা আর.সি.সি উভয় প্রকারের হয়ে থাকে।পায়ার কদাচিৎ ম্যাশনারি দ্বারা তৈরি করা হয়।
এর সাথে সাধারণত দুটি উইং ওয়াল বা নদীশাসন কাজ যুক্ত থাকে।
পায়ার এককভাবে আগত ভার পানির নিচের শক্ত মাটির নিচের স্তরে পৌঁছে দেয়।
এটি সেতু বা কালভার্টের নিচ দিয়ে পানির প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে।পানির প্রবাহে সেতুকে টিকিয়ে রাখে।
সাধারণত আয়তাকার ও সেতুর বেলায় ঢাল বিশিষ্ট হয়ে থাকে।

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার-এর নকশা

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার

 

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার

 

 

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার

 

 

অ্যাবাটমেন্ট ও পায়ার

 

অ্যাবাটমেন্ট ও পাল্লায়-এয় প্রয়োজনীয়ভা:

অ্যাবাটমেন্ট-এর প্রশ্নোজনীয়তা।

১। কাঠমোর নিজস্ব বজনসহ আপত্তিত সম ওজন বহন করে।

২। পিছনের মাটি ভরাট বা পাড়কে ভাঙন থেকে রক্ষা করে।

৩। পানিপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে পাড়কে এবং সেতুকে ভাঙন থেকে রক্ষা করে।

৪। দুই দিকের উইং ওয়ালকে সাপোর্ট দেয়।

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পায়ার-এর প্রয়োজনীয়তা:

১। সেতু বা কালভার্টের ভার বহন করার জন্য।

২। স্প্যান বা সেতুর প্লাবকে নির্দিষ্ট তল বা উচ্চভায় সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।

৩। সেতু বা কালভার্টের স্প্যান সংখ্যা বৃদ্ধি করতে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment