দরজা-জানালা ও আসবাবপত্রে ব্যবহৃত কাঠ পরিচিতি | অধ্যায়-১ | বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – দরজা-জানালা ও আসবাবপত্রে ব্যবহৃত কাঠ পরিচিতি যা অধ্যায়-১ এর বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত।  শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

দরজা-জানালা ও আসবাবপত্রে ব্যবহৃত কাঠ পরিচিতি

দরজা-জানালার চৌকাঠের উপযোগী কাঠ

চৌকাঠ : দরজা জানালায় পাল্লা যে অংশের লাথে ঘাটকানো থাকে ফাকে চৌকাঠ বলে।

পাল্লা : দরজা জানালার চৌকাঠের বা ফ্রেমের সাথে যে অংশ যুক্ত থাকে তাকে পাল্লা বলে।

দরজা-জানালার চৌকাঠের জন্য শক্ত কাঠ (Hard wood) ব্যবহার করা হয়। শাল, গর্জন, চাপালিশ, আরুল, সেভন বা গামারি স্বত্তদের কাঠ ব্যবহার করা হয়। যে সকল গাছ গোল পাতাবুক্ত সে সকল গাছের কাঠ শক্ত কাঠের অন্তর্ভুক্ত যেমন কাঁঠাল, কড়ই ইত্যাদি। এ ধরনের কাঠের গাছগুলো উঁচু, মোটা হয়। শক্ত কাঠের য়ং অধিকক্ষয় পাঢ় য়ং এয় হয়। এ কাঠের সায় কাঠ ও অলায় অংশের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট বোঝা যায়। ভালো কাঠের আঁশঞ্চলো মিহি ও ঘন হয়। এখলোর আঁশ সোজা ও সমান্তরাল হয়। এতে পিঁট এবং ফাটল থাকে না। ভালো কাঠ হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে টন টন পব্দ হয়।

 

দরজা-জানালা ও আসবাবপত্রে ব্যবহৃত কাঠ পরিচিতি
চিএ : নজজা-জানালার চৌকাঠ

সরজা-জানালায় ব্যবহৃত কাঠসমূহের নাম নিম্নরূপ।

১. সেগুন

২. গজারি

৩. পর্জদ

৪. শিল কড়াই

৫. একাশি ৬. জান

৭. জারুল ইত্যাদি।

দরজা-জানালার পাল্লার ব্যবহার উপযোগী কাঠের পরিচিতি

দরজা-জানালার পাল্লায় সেগুন, কাঁঠাল, চাপালিশ, গামারি কাঠ ব্যবহৃত হয়।

 

দরজা-জানালা ও আসবাবপত্রে ব্যবহৃত কাঠ পরিচিতি
চিত্র : দরজার পাল্লা

দরজার পাল্লা তৈরিতে ব্যবহৃত কাঠের নামসমূহ নিম্নরূপ:

১. সেগুন ২. চাপালিশ

৩. পামারি

৪. মেহগনি

৫. কাঁঠাল ইত্যাদি।

আসবাবপত্রঃ দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন উপাদান এবং উপকরণ, এ সকল উপকরণকে আসবাবপত্র বলে।

বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্রে ব্যবহারের উপযোগী কাঠের পরিচিতি

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত আসবাবগুলো হচ্ছে চেয়ার, টেবিল, আলমারি, শোকেজ, ফাইল কেবিনেট, চেস্ট অব ড্রয়ার, খাট ইত্যাদির জন্য সেগুন, মেহগনি, শিল কড়াই, জাম, নিম ইত্যাদি কাঠ ব্যবহার করা ভালো। এই কাঠগুলো দীর্ঘস্থায়ী, পৃষ্ঠের আঁশের গঠন ভালো, রংয়ের মধ্যে সমতা আছে।

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ভালো কাঠের গুণাগুণ

ভালো কাঠের গুণাগুন নিম্নরূপ:

১। ভালো কাঠ সম্পূর্ণ সার হতে হবে।

২। এর আঁশগুলো সোজা ও সমান্তরাল।

৩। কাঠের পৃষ্ঠের সকল অংশের কাঠের রং একই হবে।

৪। বাৎসরিক চাকা ঘন এবং সমান্তরাল হবে।

৫। কাঠ কাটলে কোনোরূপ দুর্গন্ধ হবে না।

৬। ভারী কাঠ ভালো ও শক্ত হয়।

৭। কাঠ ভালো সিজন করা থাকবে।

৮। ভালো কাঠে কোনো প্রকার গিট থাকবে না।

৯। ভালো কাঠে কোনো প্রকার ফাটল থাকবে না।

১০। ভালো কাঠ দুমড়ানো আঁশযুক্ত থাকবে।

১১। আঘাতে কোনোরূপ অস্বাভাবিক শব্দ হবে না।

১২। ভালো কাঠের উপরিভাগ মসৃণ এবং উজ্জ্বল হবে।

১৩। ভালো কাঠে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে টন টন আওয়াজ হবে।

 

দরজা-জানালা ও আসবাবপত্রে ব্যবহৃত কাঠ পরিচিতি
চিত্র  : ভালো কাঠ

অনুশীলনী – ১

অতি সংক্ষিপ্ত:

১। চৌকাঠ কাকে বলে?

২। পাল্লা কাকে বলে?

৩। আসবাবপত্র কাকে বলে?

সংক্ষিপ্ত:

১। দরজা-জানালার চৌকাঠের জন্য কী ধরনের কাঠ ব্যবহার করা হয় ব্যাখ্যা কর।

২। দরজা-জানালার পাল্লার জন্য কী ধরনের কাঠ ব্যবহার করা হয় ব্যাখ্যা কর।

৩। বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র তৈরিতে কী ধরনের কাঠ ব্যবহার করা হয় ব্যাখ্যা কর।

রচনামূলক:

১। ভালো কাঠের গুণাগুণ বর্ণনা কর।

২। বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্রের তালিকা তৈরি কর।

আরও দেখুন :

Leave a Comment