ইটের গাঁথুনির সাধারণ নিয়মাবলী | Building Maintenance 1 [6413]

ইটের গাঁথুনির সাধারণ নিয়মাবলী আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। ইটের গাঁথুনির সাধারণ নিয়মাবলী [ Rules of Brick Masonry ] এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ডিসিপ্লিনের, বিল্ডিং মেইনটেনেন্স [৬৪১৩] Building Maintenance [6413] বিষয়ের, ১৮ম অধ্যায়ের [Chapter 18] পাঠ যা ৯ম শ্রেণীতে [ Class 9] পড়ানো হয়।

 

ইটের গাঁথুনির সাধারণ নিয়মাবলী

ইটের গাগুলির সাধারণ নিয়মাবলি

ইট বা পাথরের নির্মাণ কৌশলকেই ম্যাসনরি বা গাঁথুনি ৰলে। ইমারত বা কাঠামোকে নিরাপদ ও ম করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইটকে সাজিয়ে মসল্লার মাধ্যমে একত্রিত করা হয়। এই নির্মাণ কৌশলকেই ইটের গাঁথুনি বলে ।

ইচ গাঁধুনির সাধারণ নিয়মাবলি :

  • নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইঁট প্রথম শ্রেণির হতে হবে ।
  • নির্মাণ কাজে ব্যবহারের পূর্বে ইটকে পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে ।
  • সব পাঁধুনির কাজে একই ধরনের বক্ত ব্যবহার করাতে হয় । 
  • প্রয়োজন ছাড়া কোনো ব্যাট ইট ব্যবহার করা উচিত নয় ।
  • উত্তম মসলা ব্যবহার করতে হবে এবং সম্পূর্ণ কাজে একই রকম মসলা ব্যবহার করতে ।
  • ইটের ফ্রগকে উপরের দিকে রেখে ইট বিছাতে হয়। 
  • দেয়াল নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রথমে দুই প্রাপ্ত নির্মাণ করে পরে মধ্যে গাঁথুনি করতে হয়।
  • কাজের অগ্রগতি সমস্ত জায়গায় একই লেবেল হওয়া উচিত।
  • এক অংশ হতে অন্য অংশে পানির উচ্চতার তারতম্য এক মিটারের বেশি হবেনা।
  • একদিনে ইটের গাথুনির পরিমাণ হবে ১.৫ মিটায়।
  • জোড়ার মসলা নরম থাকাকালীন সময় ফেস জোড়ার মসলা প্লাস্টারিং বা পরেন্টিং কাজে চাবি দৃষ্টির জন্য ১০-১৫ মিলিমিটার গভীর রেকিং করতে হয়।
  • ভবিষ্যতে দেয়ালের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকিলে সেরালে টুলিং করে কাজ বন্ধ রাখতে হয় ।
  • তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে প্রতি ১০-১৫ মিটার দৈর্ঘ্যে ২৫ মিলিমিটার প্রসারণ জোড়া রাখতে হবে।
  • গাঁথুনির কাজ শেষ হলে কমপক্ষে ৭ দিন কিউরিং -এর জন্য ভিজিয়ে রাখতে হয়।
  • ইটের গাঁথুনির কাজ শেষ হবার কমপক্ষে ২৮ দিন পরে প্লাস্টার করা উচিত
  • যে সমস্ত দেয়ালে প্লাস্টারিং বা পয়েন্টিং হবে না, সেক্ষেত্রে গাঁথুনির কাজের সময়ই জোড়াগুলো ফ্লাশ করে চূড়ান্ত করতে হবে।

 

ইটের গাঁথুনির সাধারণ নিয়মাবলী

 

গাঁথুনির আগে ইট ভিজানো

ইটকে ভিজানোর কারণগুলো নিচে দেয়া হলো :

১। ইটের গায়ে ময়লা আবর্জনা বা লবণ জাতীয় পদার্থ থাকলে তা পরিষ্কার হয়ে উত্তম জোড়া ও বন্ড উৎপন্ন হওয়ার জন্য ।

২। শুকনো ইট মসলা হতে পানি শোষণ করে ফলে সিমেন্টের রাসায়নিক কাজ সম্পন্ন করতে পারে না।

৩। ভেজা ইটের তলায় সহজেই মসলা সমানভাবে বিছানো যায়।

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরসহ গাঁথুনির পর্যায়ক্রমিক নিয়ম

  • সমস্ত কাজে একই বন্ডের ইট ব্যবহার করতে হয়।
  • প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যাট/ ভাঙ্গা ইট ব্যবহার করা যাবে না ।
  • জোড়ার পুরুত্ব অবশ্যই ১৩ মিলিমিটারের বেশি হবে না । 
  • সমস্ত জোড়া মসলা দিয়ে পূরণ করে ফ্লাশ করে দিতে হবে যাতে কোনো ফাঁক না থাকে ।
  • প্রতিটি কোর্স একই লেবেলে নির্মাণ করতে হবে।
  • একটি সুতা টেনে কোর্সের এলাইনমেন্ট সঠিক রাখতে হবে।
  • দেয়াল নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রথমে দুই প্রান্ত নির্মাণ করে পরে মধ্যের অংশের গাঁথুনি করতে হবে।
  • ইটের ফ্রগকে উপরের দিকে রেখে ইট বিছাতে হবে।
  • বেডের উপর মসলা বিছিয়ে ইটকে আস্তে আস্তে চাপা দিয়ে বসাতে হবে যাতে মসলার সাথে ভালো ভাবে লেগে যায়।

 

ইটের গাঁথুনির সাধারণ নিয়মাবলী

ইটের গাঁথুনির সাধারণ নিয়মাবলী নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment