ইট সম্পর্কে ধারনা আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। ইট সম্পর্কে ধারনা [ Basic Concept Of bricks ] এই ক্লাসটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ডিসিপ্লিনের, বিল্ডিং মেইনটেনেন্স [৬৪১৩] Building Maintenance [6413] বিষয়ের, ৫ম অধ্যায়ের [Chapter 5] পাঠ যা ৯ম শ্রেণীতে [ Class 9] পড়ানো হয়।
ইট সম্পর্কে ধারনা
ইঁট, ইট বা ইষ্টক (ইংরেজি: Brick) ইমারত তৈরির একটি অতি আবশ্যকীয় ও মৌলিক উপাদান বিশেষ। মাটিকে আয়তঘনক আকারের ছাঁচে ঢেলে ভিজিয়ে কাঁচা ইঁট তৈরি হয়, তারপর এক রোদে শুকানো হয়। কাঁচা ইঁটকে আগুনে পোড়ালে পাকা ইঁট তৈরি হয়। বহু প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রোদে শুকানো বা আগুনে পোড়ানো ইট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও ইট পাথরের মত দীর্ঘস্থায়ী এবং মজবুত নয়; তারপরও সহজলভ্যতা, অল্প খরচ এবং স্বল্প ওজনের জন্য এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার সর্বাধিক।
ইঁট বানানোর সময় কিছু ইঁট বেশি পুড়ে যায় ও কেকের মত ফুলে উঠে এক ফোপা শক্ত কালচে খয়েরী আঁকা-বাঁকা আকৃতির ইঁট তৈরি করে, যাকে বলে ঝামা বা ঝামা ইট। ঝামা শক্ত ও এবড়ো থেবড়ো বলে ঘষামাজার কাজে ব্যবহৃত হয়।

খ্রীষ্ট-পূর্ব ৭,৫০০ বছর পূর্বে সবচেয়ে প্রাচীনতম ইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ইট দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়ার নিকটবর্তী দিয়াবাকির কাছাকাছি তাইগ্রিস এলাকা থেকে সংগৃহীত হয়েছে। এরচেয়ে অল্প প্রাচীন ইট খ্রীষ্ট-পূর্ব ৭,০০০ থেকে ৬,৩৯৫ সালের মধ্যে জেরিকো এবং কাতাল হাইয়ূক এলাকায় দেখা গেছে। তবে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, মধ্যপ্রাচ্যে খ্রীষ্ট-পূর্ব তৃতীয় শতকে আগুনে পোড়া ইট তৈরী করা হয়েছিল। আগুনে পোড়ানো ইট ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র আবহাওয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে ও বেশ মজবুত প্রকৃতির হয়ে থাকে।
ইট তৈরির ক্ষেত্রকে বলা হয় ইটের ভাঁটা। সাধারণত কৃষি জমিতে যেখানকার মাটি ইট তৈরির উপযোগী সেখানে ইট তৈরি করা হয়। ছাঁচে পানিতে গোলা কাদা-মাটি ফেলে ইট তৈরি করা হয়। এই ইট কাঁচা। একে রোদে শুকানো হয়। তারপর আগুনে একে পোড়ানো হয়। ইটের ভাটায় বড় চুল্লির মতো। কাঠ পুড়িয়ে, বা কখনো কয়লা জ্বালিয়ে ইটের ভাঁটায় ইট পোড়ানো হয়। এর উপরিভাগে ১২০ ফুট উচ্চতাবিশষ্ট চিমনি থাকে যা দিয়ে ধোঁয়া নির্গত হতে দেখা যায়। ১৯৮০-এর দশক থেকে বাংলাদেশে আধুনিক কারখানায় ইট প্রস্তুত শুরু হয়েছে।
ইট সম্পর্কে ধারনা নিয়ে বিস্তারিত :
https://youtu.be/QXXPo2H1DZA
আরও দেখুনঃ