আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ওহমের সুত্র যা অধ্যায়-১২ এর বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত। শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
Table of Contents
ওহমের সুত্র
ওহমের সুত্র
১৮২৬ সালে জার্মান বিজ্ঞানী ড. সাইমন ওহম কারেন্ট, ভোন্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করেন, এ সম্পর্কই ওহমের সূত্র নামে পরিচিত। কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে সুষম উষ্ণতায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহীর দুই প্রাপ্তের ভোল্টেজের সমানুপাতিক।
অথবা,
কোনো পরিবাহির ভিতর দিয়ে স্থির তাপমাত্রায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক এবং রেজিস্ট্যান্সের ব্যস্তানুপাতিক।
অথবা,
“উষ্ণতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব প্রভেদের সমানুপাতিক হয়।”
সূত্রটিকে নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায় :
এখানে, V = পরিবাহীর দুই প্রাতের বিভব পার্থক্য, I = তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা, R = রোধ।
ওহমের সূত্রের সীমাবদ্ধতা: ওহমের সূত্রকে যদিও ইলেকট্রিসিটির শুরু বলে মানা হয়, তার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে
১. ওহমের সূত্র DC এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, AC এর ক্ষেত্রে নয়।
২. তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়।
৩. তাপমাত্রা স্থির থাকলেও সিলিকন কার্বাইডের ক্ষেত্রে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়।
৪. জটিল সার্কিটসমূহ ওহমের সূত্রের সাহায্যে সমাধান করা যায় না।
ওহমের সূত্র অনুযায়ী কারেন্ট, ভোল্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্স এর সম্পর্ক
যদি কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য, পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স R এবং এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট I হয়, তাহলে ওহমের সূত্র অনুযায়ী:
ওহমের সূত্রের সাহয্যে কারেন্ট, ভোল্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্সের মান নির্ণয় :
সমস্যা ১: ২০০ এর একটি রোধে ১১০V সরবরাহ দিলে প্রবাহিত কারেন্টের মান কত হবে?
সমাধান: এখানে,
R = ২০
V = 110 V
আমরা জানি, I = V /r = ১১০ / ২০
= 5.5 A
অর্থাৎ, ২০০ এর একটি রোধে ১১0V সরবরাহ দিলে প্রবাহিত কারেন্টের মান ৫.৫ A হবে।
সমস্যা ২: ১৫ MQ এর একটি রোধের মধ্য দিয়ে ৬ JA কারেন্ট প্রবাহিত হলে কত ভোল্টেজের প্রয়োজন হবে?
সমাধান : এখানে,
R= ১৫MO = ১৫ x 100
1 = 6A = ৬ x ১০ A
আমরা জানি,
V=IR
V = 30 X 30 X & X 30+ V=90 V
অর্থাৎ, ১৫ MQ এর একটি রোধের মধ্য দিয়ে ৬HA কারেন্ট প্রবাহিত হতে 90V ভোল্টেজের প্রয়োজন হবে।
সমস্যা ৩
কারেন্ট ১০ A, ভোল্টেজ ২২০ V হলে রেজিস্ট্যান্স কত হবে?
সমাধান: এখানে,
I = ১০ A
V= 220 V
R = ?
আমরা জানি,
R = V / I
= ১১০ / ২০
= ২২ Ω
অর্থাৎ, রেজিস্ট্যান্স হবে ২২০Ω
অনুশীলনী – ১২
অতি সংক্ষিপ্ত
১। ওহম তার সূত্র কবে আবিষ্কার করেন ?
২। ওহম এর সূত্রটিকে প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ কর।
৩। ওহমের সূত্রটি লেখ ।

সংক্ষিপ্ত
১। ওহমের সূত্র অনুযায়ী কারেন্ট, ভোল্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্স এর সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
২। ওহমের সূত্রটি বিবৃত কর।
গানিতিক সমস্যা
১। ৬০ ওহম এর একটি রোধে ২২০০V সরবরাহ দিলে প্রবাহিত কারেন্টের মান কত হবে?
২। ৪০ ওহম এর একটি রোধের মধ্য দিয়ে LA কারেন্ট প্রবাহিত হলে কত ভোল্টেজের প্রয়োজন হবে?
৩। ২২০V ভোল্টেজে কারেন্ট ১০A হলে রেজিস্ট্যান্স কত ?
আরও দেখুন :