আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং যা অধ্যায়-১৮ এর বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তর্ভুক্ত। শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
Table of Contents
কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং
কনমিত্ত কড়ুইট ওয়্যারিং করার পদ্ধতি
দেয়ালের মধ্যে খাঁজ বা চ্যানেল কেটে উন্নতমানের পিজিসি তার সরাসরি চ্যানেলের মধ্যে বসিয়ে প্লাস্টার দিত্রে ঢেকে দিত্রে যে ওয়্যারিং করা হয়, ভাকে কনসিন্ত কহুইট ওয়্যারিং বলে। এই ধরনের ওয়্যারিং টেক্সটাইল, স-মিল, ফ্লাওয়ার মিল, ওয়ার্কশপ, অয়েল মিল, বার্নিশ ফ্যাক্টরি, আবাসিক, পাবলিক, বিল্ডিং এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হত্রে থাকে।

কললিভ কড়ুইট ওয়্যারিং-এয় সুবিধা ও অসুবিধা
কনসিভ কড়ুইট ওয়্যারিং-এর সুবিধা:
১। এই বয়লের ওয়্যারিং-এর ক্ষেত্রে যান্ত্রিক জাগাভ থেকে ক্যাবল যা কার স্বক্ষণ পার।
২। এই ধরনের ওয়্যারিং-এর ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হলেও অগ্নিসংযোগ ঘটে না।
৩। খএই ধরনের ওয়্যারিং ওয়াটার প্রুফ হয়ে থাকে।
৪। এর আয়ুষ্কাল দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ভালো কাজ করে।
৫। এটা দেয়ালের ভিতরে ও বাজিয়ে ব্যবহার করা যার।
৬। জিআই পাইপ ভালোভাবে আর্থিং করা থাকলে বৈদ্যুতিক শক পাওয়া যায় না।
কনসিন্ড কন্তুইট ওয়্যারিং এর অসুবিধা:
১। এই ধরনের ওয়্যারিং-এর প্রাথমিক খরচ বেশি।
২। এর স্থাপন সহজ নয় এবং সময় বেশি লাগে।
৩। এই ধরনের কাজ করতে হলে দক্ষ কারিগরের প্রয়োজন হয়।
৪। অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতার জন্য তারের ইনসুলেশন নষ্ট হয়ে যায়। এই আর্দ্রতা দূর করার জন্য সঠিকভাবে ড্রেইন বা ভেন্টিলেটেড করতে হয়।
৫। কোনো কারণে তারের ইনসুলেশন নষ্ট হয়ে আর্থ ফল্ট হলে দেয়ালে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলে আসে।
৬। এই ধরনের ওয়্যারিং-এর ফিটিংসগুলো সহজে পরিবর্তন করা যায় না।

কনসিন্ড ও সারফেস কড়ুইট ওয়্যারিং এর মধ্যে পার্থক্য
কমসিদ্ধ ও সারফেস ঝুভইট ওয়্যারিং এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নে দেয়া হল:
কনসিন্ড ওয়্যারিং | সারফেস কছুইট ওয়্যারিং |
এই ওয়্যারিং ছাদের বা দেয়ালের ভিতরে করা হয় বলে দেখা যায় না। | এই ওয়্যারিং সারফেসের উপর পাইপের ভিতরে করা হয় বলে দেখা যায় |
এই ওয়্যারিং-এ দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন হয়। | অপেক্ষাকৃত কম দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন হয়। |
আবাসিক ভবন, অফিস, বাণিজ্যিক ভবন ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। | এই ওয়্যারিং কল-কারখানা, ওয়ার্কশপ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করা হয়। |
এটা ব্যয়বহুল। | এটা অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়বহুল। |
কনসিন্ড কড়ুইট ওয়্যারিং করতে প্রয়োজনীয় মালামাল ও যন্ত্রপাতির তালিকা
কনসিক কছুইট ওয়্যারিং করার প্রয়োজনীয় মালামাল:
১। কড়ুইট পাইপ
২। জিআই তার
৩। উডেন জু
৪। আর্থিং ক্লিপ

কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
১। কম্বিনেশন প্লায়ারস
২। কানেকটিং ক্রু ড্রাইভার
৩। ফিলিপস ক্রু ড্রাইভার
৪। ইলেকট্রিশিয়ান চাকু
৫। হ্যাক স ব্রেডসহ
৬। হ্যান্ড ড্রিল মেশিন
৭। তাই ও ভাইস্টক
৮। পাইপ বেস্তার
৯। রিমার
১০। স্পিরিট লেভেল ইত্যাদি।

কনসিদ্ধ কন্তুইট ওয়্যারিং করার পদ্ধতি
কনসিল্ক কছুইট ওয়্যাক্সিং করার নিয়ম বা পদক্ষেপ:
১) কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করতে প্রথমে লে-আউট প্লান এঁকে সে মোতাবেক দেয়ালে খাঁজ বা চ্যানেল কাটতে হবে।
২) ছাদ ঢালাই হওয়ায় পূর্বে ছাদে লোহার রডের নিচে কিংবা উপরে সুবিধামতো অবস্থানে কড়ুইট পাইপ বসাতে হবে। কণ্ডুইট পাইপ যথেষ্ট পুরু ও শত্রু কিনা দেখে নিতে হবে।
৩) দেয়ালের খাঁজে লাইন যতটা সম্ভব সোজা ও খাটো দৈর্ঘ্যের নিতে হবে।
৪) ইস্পাতের কড়ুইট হলে এর প্যাঁচে রং মেখে দিতে হবে যাতে মরিচা না ধরে।
৫) কলুইটের ব্যাস প্রয়োজনের চেয়ে একটু বড় নেওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত সার্কিটের জন্য আরো বেশি তার টানার প্রয়োজন হলে কোনো অসুবিধা না হয়।
৬) সার্কিটের শাখা লাইন (Branch line) টানা, ত্রুটি নির্ণয় ও যথাযথ মেরামতের জন্য কনসিন্ড ওয়্যারিং এর কিছু দূরে দূরে ইনস্পেকশন বক্স ব্যবহার করতে হয়।
৭) পাইপের মধ্যে দিয়ে তার টানার জন্য জিআই তার বাড্র-ইন তার ঢুকিয়ে রাখতে হবে।
৮) যতদূর সম্ভব টি (tee), বেন্ড, জয়েন্ট বক্স এর স্থলে ঢালাই লোহা কিংবা টিনের পাতের বক্স ব্যবহার করা হয়। যাকে জংশন বক্স (Junction box) বলে।
৯) সিলিং পয়েন্ট হতে প্রতি পয়েন্টের জন্য দুটি করে সার্কুলার বক্স অথবা টিনের বক্স কন্ডুইট পাইপের সাথে ফিটিং করে রাখতে হবে।
১০) মেইন সুইচ বোর্ড অথবা মিটার বোর্ড হতে প্রতি তলায় সাপ্লাই দেয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কন্ডুইট পাইপ স্থাপন করতে হয়।
১১) কন্ডুইট বসানোর পর সিমেন্ট কনক্রিট দিয়ে ঢেকে দিতে হয়।
১২) অবশেষে ফিস ওয়্যারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পিভিসি বা ভিআইআর তার টেনে ওয়্যারিং সম্পূর্ণ করতে হয়।
১৩) সুইচ বোর্ডগুলো ঢালাই লোহা, টিনের পাত কিংবা সেগুন কাঠের তৈরি এবং তাদের ঢাকনা বেকেলাইট, এবোনাইট, ফরমিকা প্রভৃতি ভালো ইনসুলেটিং পদার্থের হতে হবে। এসব ঢাকনার উপর মেশিন দিয়ে পরিমাপমতো গর্ত করে সুইচ, সকেট, রেগুলেটর বসাতে হয়।

অনুশীলনী – ১৮
অতি সংক্ষিপ্ত:
১। কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং কী?
২। ইনস্পেকশন বক্স কোথায় ব্যবহার করা হয়?
৩। জংশন বক্স কাকে বলে?
৪। কন্ডুইট বসানোর পর কী দিয়ে ঢেকে দিতে হয়?
৫। সুইচ বোর্ডগুলো কী পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়?
সংক্ষিপ্ত:
১। কনসিন্ড ও সারফেস কুন্ডইট ওয়্যারিং-এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
২। কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করতে প্রয়োজনীয় মালামাল ও যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরি কর।
রচনামূলক:
১। কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করার পদ্ধতি বর্ণনা কর।
আরও দেখুন :