ডিসটেম্পার কাজের কৌশল আজেকর ক্লাসের বিষয়। ডিসটেম্পার কাজের কৌশলক্লাসটি কন্সট্রাকশন প্রসেস কোর্সের অংশ। কন্সট্রাকশন প্রসেস কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলোজির অংশ।
Table of Contents
ডিসটেম্পার কাজের কৌশল
ডিসটেম্পার পেইন্ট কেমন হয় কিংবা কত ধরনের হয়, সেই তথ্যগুলো জানার আগে জেনে নিন এই পেইন্টের সুবিধা অসুবিধা সমুহ । যার ফলে আপনার বাড়ির রং করার জন্য ডিসটেম্পারের ব্যবহার সঠিক হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হয়ে যাবে ।
ডিসটেম্পার পেইন্টের সুবিধা
• এই রঙ পানি-ভিত্তিক হওয়ায় এটার গন্ধ একেবারে হাল্কা এবং সহজে ব্যবহার করা যায়
• নতুন প্লাস্টার করা দেয়ালে কোন প্রকার প্রাইমার বা পুট্টি ব্যবহার ছাড়া এই পেইন্ট করা যায়
• কোন মিস্ত্রিকে না ডেকে নিজে নিজেও দেওয়ালে এই পেইন্ট লাগানো একদম সহজ
• ডিসটেম্পার পেইন্টের ম্যাট ফিনিশিং চোখে লাগে না, বরং প্রশান্তি ছড়ায়
• ডিসটেম্পারে ভিওসি কম পরিমাণে থাকে যা পরিবেশ বান্ধব
• বাজারে থাকা পেইন্টগুলোর মধ্যে এটি তুলনামূলক সাশ্রয়ী
• দেয়ালে লাগানোর পরে দীর্ঘদিন এই পেইন্টের মান ভালো থাকে
• এই পেইন্ট সূর্যের আলোতে শুকিয়ে ফেটে যায় না কিংবা কোন ক্র্যাক হয়না।

ডিসটেম্পার পেইন্টের অসুবিধা
• অন্যান্য দামী পেইন্টের তুলনায় এটি মাঝারী কোয়ালিটির পেইন্ট
• এটির রঙ যত্ন ছাড়া সাধারণত ৩-৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে, তবে যত্ন করলে আরো ২-৩ বছর ভালো থাকে
• প্রতি লিটারে ৪.৫-৫ বর্গফুট দেয়ালের কভারেজ দিয়ে থাকে, এর বেশি নয়
• দীর্ঘদিন ধরে, অনেক বেশি পানি লাগলে ডিসটেম্পারের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে
• এছাড়াও বেশিরভাগ সময় ভিজে থাকলে এই পেইন্ট খোসা ছেড়ে দেয়
এই পেইন্টের অসুবিধার চেয়ে সুবিধাগুলোই বেশি । তাই এর চাহিদা বাজারে সবসময় আকাশচুম্বি । আপনি যেহেতু এখন ডিসটেম্পার পেইন্টের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সম্পর্কে জেনে নিলেন, আশা করি এই বাজেট সুলভ রংটিকে আপনার দেওয়াল রাঙ্গাতে ব্যবহার করবেন ।
ডিসটেম্পার কাজের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুন :