বিভিন্ন প্রকার দরজা ও জানালা এর বর্ণনা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং – ১ [ Civil Engineerng Drawing – 1 ]” বিষয়ের “দরজা ও জালানার গঠন” অধ্যায় এর পাঠের অংশ।
Table of Contents
বিভিন্ন প্রকার দরজা ও জানালা এর বর্ণনা
বিভিন্ন প্রকার দরজা ও জানালার বর্ণনা (Description of different types of doors and windows) :
ব্যাটেনড এবং লেজড ডোর (Battened and ledged doors) :
এটি অতি সাধারণ দরজা এবং সরু ওপেনিং এর জন্য সুবিধাজনক। কাঠের ব্যাটেন এবং লেজড এর সমন্বয়ে তৈরি। ১০০ মিমি থেকে ১৫০ মিমি চওড়া এবং ২০ মিমি থেকে ৩০ মিমি পুরু তক্তা (যাকে ব্যাটেন বলা হয়) খাড়াভাবে পাশাপাশি সাজিয়ে টাং অ্যান্ড এন্ড জয়েন্ট (Tongue and groove joint) এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে পাল্লা (Shutter) তৈরি করা হয়। এ ব্যাটেনগুলোকে অনুভূমিক কাঠের সাহায্যে আটকানো হয়। এ চ অনুভূমিক কাঠকে বাতা (Ledge) বলে।
১০০ মিমি থেকে ২০০ মিমি চওড়া এবং ২৫ মিমি থেকে ৩০ মিমি পুরুত্ববিশিষ্ট তিনটি বাতা পাল্লার এক পার্শ্বে যথাক্রমে উপরে, মাঝে এবং নিচে অনুভূমিকভাবে স্থাপন করা হয়। পাল্লাটিকে লোহার টি-হিজ অথবা ) ক্রস গারনেট হিন্জ (T-hinges or cross garnet hinges) এর সাহায্যে ফ্রেমের সাথে আটকানো হয়। উপরি বাতা (Top ledge) এর চওড়া ১০০ মিমি থেকে ১২০ মিমি। মধ্য এবং নিচের বাতা (Middle and Bottom ledge) এর চওড়া ১৮০ মিমি থেকে ২০০ মিমি।
ব্যাটেড, লেজড এবং ব্রেইসড ডোর (Battened, ledged and braced doors) :
এটি ব্যাটেনড এবং লেজও দরজার উন্নত সংস্করণ। অধিক মজবুত করার জন্য দুই লেজ (Ledge) এর মধ্যবর্তী অংশে অন্য একটি কাঠের তক্তাকে হেলানো বা কোনাকুনিভাবে (Diagonal) স্থাপন করা হয়। একে গ্রেইস (Brace) বলা হয়। মজবুত করার কারণে এ দরজাকে প্রশস্ত ওপেনিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এ প্রকার দরজা দেখতে ইংরেজি জেড (Z) অক্ষরের মতো। গ্রেইসগুলোকে লেজড এর সাথে অবলিগ মার্টিস অ্যান্ড টেনন জয়েন্ট দ্বারা সংযোগ করা হয়। গ্রেইস এর চওড়া ১০০ মিমি থেকে ১৫০ মিমি এবং পুরুত্ব ৫০ মিমি থেকে ৩০ মিমি। এ জাতীয় দরজা সস্তা বাড়িতে বা মধ্যবিত্ত বাড়ির রান্নাঘরে, বাথরুমে বা পায়খানায় ব্যবহার করা হয়।
ব্যাটেনড, লেজড, ব্রেইসড এবং ফ্রেমড ডোর (Battened, ledged, braced and framed doors) :
এটি ব্যাটেনড, লেজড এবং ফ্রেমড দরজার উন্নত সংস্করণ। দরজাকে দেখতে সুন্দর, মজবুত এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে দুই লেজের মধ্যবর্তী অংশে কোনাকুনি কাঠ ব্যবহার করা হয়। দুটি স্টাইল, তিনটি লেজ, দুটি ব্রেইস এবং কিছুসংখ্যক ব্যাটেনের সমন্বয়ে এ প্রকার দরজা তৈরি করা হয়। ব্যাটেনগুলোকে টাং অ্যান্ড গ্রুন্ড জয়েন্টের মাধ্যমে বসানো হয়। স্টাইল এবং টপ লেজের চওড়া ১০০ মিমি থেকে ১২০ মিমি এবং মধ্য ও নিচের লেজের চওড়া ২৩০ মিমি। ৪৫ মিমি পুরু দরজার ক্ষেত্রে ব্যাটেনের পুরুত্ব ধরা হয় ২০ মিমি
ফ্রেমড এবং প্যানেলড ডোর (Framed and panelled doors) :
দেখতে সুন্দর এবং অধিক মজবুতের জন্য এ প্রকার দরজার ব্যবহার সর্বাধিক। খাড়া মেঘার (স্টাইল) এবং অনুভূমিক মেম্বার (রেইল) এর সাহায্যে দরজার ফ্রেম তৈরি করা হয়। ফ্রেমের মধ্যের ফাঁকা অংশটুকুর মধ্যে তক্তা বসিয়ে দেয়া হয়। এ তক্তাকে প্যানেল বলে। প্যানেল সমতল (Flat) অথবা উঁচু (Raised) আকারের হতে পারে। স্টাইল এবং রেইলকে এন্ড করে এর মধ্যে প্যানেল বসানো হয়। কাঠ, প্লাইউড, ব্লক বোর্ড, এসি পিট অথবা গ্লাস শিট ইত্যাদিকে প্যানেল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
দরজা এক বা দুই পান্না (Shutter) এবং এক বা একাধিক প্যানেলবিশিষ্ট হতে পারে। অনেক সময় একক পারায় মধ্যবর্তী স্টাইল ব্যবহার করা হয়। এ স্টাইলকে মুলিয়ন বা মুনটিং (Mullion or munting) বলে। মর্টিস এবং টেনন জয়েন্ট দিয়ে রেইল এবং স্টাইলকে সংযুক্ত করা হয়।
গ্লেইজড বা স্যাশ ডোর (Glazed or sash doors) ঃ
যেখানে দরজার মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করা প্রয়োজন অথবা পার্শ্ববর্তী কক্ষসমূহ দৃষ্টিগোচর হওয়া প্রয়োজন, সে সমস্ত ক্ষেত্রে এ প্রকার দরজা ব্যবহার করা হয়, যেমন— হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক ইত্যাদি এমনকি আবাসিক ভবনেও ব্যবহার করা হয়। এ দরজা পূর্ণ গ্লেইজড অথবা আংশিক গ্লেইজড ও আংশিক প্যানেলড হতে পারে।
প্রচুর পরিমাণে আলো প্রয়োজন হলে, যেমন- শপিং সেন্টার, ডিসপ্লে সেন্টার, লবি (Lobbies), প্রবেশ কক্ষ, ইত্যাদি জায়গায় পূর্ণ গ্লেইজড ডোর ব্যবহার করা হয়। আংশিক গ্রেইজড এর ক্ষেত্রে নিচ থেকে অংশ প্যানেল এবং উপরের করিডোর অংশ গ্লেইজড হবে অথবা বিপরীতভাবেও হতে পারে। স্যাশ বারের মধ্যে গ্লাস বসিয়ে নেইল এবং পুট্রি দ্বারা গ্লাসকে আটকানো হয় ।
ফ্লাশ ডোর (Flush door) :
দেখতে আকর্ষণীয়, নির্মাণকৌশল সহজ, খরচ কম, অধিকতর শক্তিশালী এবং দীর্ঘ স্থায়িত্বের জন্য ফ্লাশ দরজার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি সহজে পরিষ্কার করা সম্ভব বলে আধুনিক ভবনসমূহে, যেমন- আবাসিক পাবলিক এবং ব্যবসায়িক ভবনে এর ব্যবহার সর্বাধিক। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বা শীতপ্রধান দেশে এ প্রকার দরজার ব্যবহার বেশি। আংশিক বা সম্পূর্ণ সলিড ফ্রেম ওয়ার্কের মধ্যে হালকা পদার্থ ভর্তি করে বাইরে উভয়পার্শ্বে প্লাইউড বা ভিনিয়ার বা ল্যামিনেটেড বোর্ড দ্বারা আবৃত করে এ প্রকার দরজা তৈরি করা হয়। ফ্লাশ দরজা তিন প্রকার, যথা—
১। সলিড কোর ফ্লাশ দরজা (Solid core flush door )
২। সেলুলার কোর ফ্লাশ দরজা (Cellular core flush door )
৩। হলো কোর ফ্লাশ দরজা (Hollow core flush door)।
সলিড কোর ফ্লাশ দরজাকে ল্যামিনেটেড কোর ফ্লাশ দরজাও বলে। এ প্রকার দরজা স্টাইল, টপ রেইল, বটম রেইল এবং লর রেইল এর সাহায্যে পান্নার ফ্রেম তৈরি করা হয়। এগুলোর চওড়া ৭৫ মিমি এর কম হবে না। প্লাইউড বা ভিনিয়ার দ্বারা বাইরের পার্শ্বদ্বয় ঢেকে দেয়ার পূর্বে ভিতরের ফাঁপা অংশে ল্যামিনেটেড কোর পিচ বা নরম পাতলা কাঠকে আঠা লাগিয়ে চাপের সাহায্যে জোড়া দেয়া হয় । কোর পিচগুলোর চওড়া ২৫ মিমি এর বেশি হবে না । সেলুলার কোর ফ্লাশ দরজার স্টাইল এবং রেইলগুলোর চওড়া ৭৫ মিমি এর কম হবে না।
স্টাইল এবং রেইলগুলোর সমন্বয়ে যে পাল্লার ফ্রেইম তৈরি করা হয় তার মধ্যে ২৫ মিমি কম নয় এমন ধরনের ব্যাটেন বসিয়ে সেলুলার কোর ফ্লাশ দরজা তৈরি করা হয়। প্রতিটি ভয়েডের ক্ষেত্রফল ২৫০ বর্গমিমি এর বেশি হবে না এবং ভয়েডের পরিমাণ পাল্লার আয়তনের ৪০% এর বেশি হবে না। প্লাইউড বা ভিনিয়ারকে আঠা লাগিয়ে চাপের সাহায্যে লাগানো হয়।
অপরদিকে হলো কোর ফ্লাশ দরজাকে ফ্রেইমড ফ্লাশ দরজাও বলা হয়। ৭৫ মিমি এর কম নয় এমন চওড়াবিশিষ্ট স্টাইল এবং রেইলের সাহায্যে হলো কোর ফ্লাশ দরজার ফ্রেইম তৈরি করা হয়। ফ্রেইম এর মধ্যে ২৫ মিমি চওড়াবিশিষ্ট কাঠের ব্যাটেন দ্বারা সমভাগে ভাগ করা হয়। তারপর প্লাইউড বা ভিনিয়ারকে আঠা লাগিয়ে চাপের সাহায্যে লাগানো হয়।
লুভার্ড বা ভেনিশিয়ান ডোর (Louvered or venetian doors) :
যখন ঘরের মধ্যে একই সাথে বায়ুচলাচল ও গোপনীয়তা রক্ষা করার প্রয়োজন হয়, তখনই এ প্রকার দরজা তৈরি করা হয়। স্টাইল এবং রেইলের সমন্বয়ে তৈরিকৃত কাঠামোর মধ্যে তির্যকভাবে তক্তা বসানো হয়। তির্যকভাবে স্থাপিত তক্তাগুলোকে লুভার্ড (Louvered) বলে। লুভার্ডগুলোকে সাধারণত ৪৫° কোণে বসানো হয়, যেন একটি লুভার্ডের উপরের প্রাপ্ত অপর একটি লুভার্ডের নিচ প্রান্তের উপরে থাকে।
লুভার্ডগুলো আবদ্ধ অথবা সঞ্চালনশীল হতে পারে। দুই পার্শ্বের স্টাইলের মধ্যে ৪৫° কোণে খাঁজ কেটে পর্যায়ক্রমিকভাবে লুভার্ড স্থাপন করে আবদ্ধ লুভার্ড নির্মাণ করা হয়। আর সঞ্চালনশীল লুভার্ডের ক্ষেত্রে লুভার্ডগুলো একটি পিভোট (Pivot) এর সাথে সংযুক্ত থাকে। ফলে পিভোট দ্বারা দুভার্ডগুলোকে উপরে-নিচে করে আলো-বাতাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এ প্রকার দরজা খাড়া স্টাইল এবং অনুভূমিক রেইলের সাহায্যে ফ্রেম তৈরি করা হয় । আর প্যানেলের স্থানে চিকন গ্যালভানাইজ ওয়্যার মেশ বা তারের জালি ব্যবহার করা হয়। নেইল বা তারকাঁটা এবং কাঠের বিড সহযোগে তারের জালি লাগাতে হয়। এ সমস্ত দরজার ক্ষেত্রে দুই সেট পাল্লা থাকে। অন্তঃস্থ পাল্লা পূর্ণ গ্রেইজড বা প্যানেল এবং বহিস্থ পাল্লা ওয়্যার গ্লেইজড হবে। কক্ষের মশা, মাছি, পোকামাকড় ইত্যাদি প্রবেশে বাধা দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
রিভোলভিং ডোর (Revolving doors) :
এ প্রকার দরজার কেন্দ্র বরাবর মুলিয়ন স্থাপন করে এর সাথে চারটি রেডিয়েটিং শাটার সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়। মুলিয়ন বা খাড়া মেম্বারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য তলায় বল বিয়ারিং এবং মাথায় বুশ বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়, যাতে অনায়াসে মুলিয়নটি কম্পন, ঘর্ষণ এবং শব্দ ছাড়া ঘুরতে পারে। পাল্লাগুলো গ্লেইজড, প্যানেল অথবা আংশিক গ্লেইজড এবং আংশিক প্যানেল এর হতে পারে। পাল্লাসহ মুলিয়নটি একটি প্রকোষ্ঠের মধ্যে পরিবেষ্টিত থাকে। পাল্লার ঘর্ষণ প্রান্তে (Rubbing end) রাবার খণ্ড সংযুক্ত থাকে, যাতে বন্ধ থাকা অবস্থায় বাতাস প্রবেশ করতে না পারে।
স্লাইডিং ডোর (Sliding doors) :
এ জাতীয় দরজার পাল্লার প্রান্তদ্বয় গাইড রেইল এবং রানারের সাহায্যে হড়কিয়ে (Slide) খোলা বা বন্ধ করতে হয়। রানারের উপর হুক ক্রুর সাহায্যে ফ্রেমকে যুক্ত করা হয়। আর নিচের অংশ যাতে আশেপাশে সরে যেতে না পারে, তার জন্য গাইড ব্যবহার করা হয়। গাইড রেইল এবং রানারের দৈর্ঘ্য এমন থাকতে হবে, যাতে দরজা সম্পূর্ণ খোলা অবস্থায় দেওয়ালের সাথে সমান্তরালভাবে রানার ও গাইড রেইলের উপর অবস্থান করতে পারে। ওপেনিং এর পরিমাণের উপর নির্ভর করে দরজায় এক বা একাধিক পাল্লা ব্যবহার করা যেতে পারে ।
সুইং ডোর (Swing doors) :
এ প্রকার দরজার পাল্লা ফ্রেমের সাথে ডাবল অ্যাকশন স্প্রিং হিনজ (Double action spring hinge) দ্বারা আটকানো থাকে, যাতে পাল্লা ভিতর ও বাইরে উভয়দিকে ইচ্ছানুযায়ী ঘুরানো যায়। সাধারণত এ প্রকার দরজা এক পাল্লাবিশিষ্ট হয়ে থাকে। তবে দুই পাল্লা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা ব্যবহারের সময় সামান্য ধাক্কা দিতে হবে। ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায় এবং স্প্রিং এর ক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
সজোরে বন্ধ হয় বলে এরূপ দরজায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই দরজাকে পূর্ণ গ্রেইজড অথবা পিপ হোলবিশিষ্ট করা হয়, যাতে যে-কোনো পার্শ্বের আগন্তুকরা অপর পার্শ্বের আগন্তুকদের সহজেই দেখতে পারে এবং ধাক্কা লাগা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পারে। পিপ হোল চোখের উচ্চতায় তৈরি করা হয়। কোনো ভবনের প্যাসেজকে সর্বদা বন্ধ রাখার জন্য এ প্রকার দরজা ব্যবহার করা হয়।
কলাপসিবল ডোর (Collapsible door) ঃ
এ প্রকার দরজা ওয়ার্কশপ, গুদামঘর, পাবলিক বিল্ডিং যেমন- স্কুল, কা সিনেমা হল, দোকান, ব্যাংক ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এ প্রকার দরজা খুলতে ও বন্ধ করতে করে হিনজ এর প্রয়োজন হয় না। কেবলমাত্র অনুভূমিকভাবে টেনে অথবা ঠেলে বন্ধ করা অথবা খোলা যায়।
রোলিং স্টিল শাটার ডোর (Rolling steel shutter door) :
এ ধরনের দরজা গ্যারেজ, গুদামঘর, দোকান, শো-রুম, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি জায়গায় ব্যবহার করা হয়। এ দরজা অধিক মজবুত বলে সম্পত্তি রক্ষাকারী হিসেবে পরিচিত। একটি ফ্রেম, একটি ড্রাম এবং লেদ বা প্লেট নামে পরিচিত ১ থেকে ১.২৫ মিমি পুরুত্বের স্টিল প্লেটকে পরস্পরের সাথে ইন্টারলকিং করে প্রস্তুতকৃত ‘শাটারের সমন্বয়ে এ প্রকার দরজা নির্মাণ করা হয়।
ফ্রেমের উভয় পাশে স্টিল গাইড থাকবে। যার মধ্য দিয়ে শাটার উঠানামা করে এবং দরজা খোলা অবস্থায় শাটারটি ড্রামের মধ্যে জড়ানো অবস্থায় থাকে। ড্রামের ব্যাস ২০ থেকে ৩০ সেমি হয়ে থাকে। ড্রামের ভেতরে অনুভূমিক শ্যাফট এবং স্প্রিং থাকে। যার ফলে শাটারটি স্বল্প বল প্রয়োগেই উঠানামা করানো যায় । রোলিং শাটার দুই প্রকার, যথা-
১। পুল-পুশ টাইপ শাটার
২। মেকানিক্যাল গিয়ার টাইপ শাটার।
আরও পড়ুন: