ড্রয়িং স্কেলের নির্দেশক ভগ্নাংশ [Representative fraction]

ড্রয়িং স্কেলের নির্দেশক ভগ্নাংশ আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং – ১ [ Civil Engineerng Drawing – 1 ]” বিষয়ের “ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং স্কেলের মূলনীতি” অধ্যায় এর পাঠের অংশ। ড্রয়িং এ অঙ্কিত দৈর্ঘ্য এবং বস্তুর প্রকৃত দৈর্ঘ্যের অনুপাত বা ভাগ ফলকে প্রতিনিধিত্বকারী ভগ্নাংশ বা নির্দেশক ভগ্নাংশ বা রিপ্রেজেন্টেটিভ ফ্রাকশন (Representative Fraction) সংক্ষেপে (R.F) বলে।

ড্রয়িং স্কেলের নির্দেশক ভগ্নাংশ [Representative fraction]

নির্দেশক ভগ্নাংশ

 

মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হয় বলে কাজের সুবিধার্থে অপেক্ষাকৃত বড় স্কেলে অঙ্কন করা হয়। ওয়ার্কিং ড্রয়িং সাধারণত ¼ ” = 1′-0″ বা ১ : ৫০ ক্ষেলে অঙ্কন করা হয়। তবে ড্রয়িং খুব বড় হলে 3/16″ = 1′-0″ বা 1 : 65 স্কেলে অঙ্কন করা হয় ।

¼ ” = 1′-0″ বা এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ সমান এক ফুট ধরে কাজ করা হয়। এক্ষেত্রে ¼ ” কে আবার ১২টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয় যার প্রতিটি এক এক ইঞ্চি মাপ নেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কনভারশনের জন্য:

¼ ” = 1′-0″ বা ” =¼ “ = 12” বা 1=( 12
×
4 ) – 48″ আনুপাতিক হারে প্রকাশ করলে ১ : ৪৮ যা মিটার ক্ষেলের ১ : ৫০-এর প্রায় সমান তাই মিটার স্কেলে কাজ করার সময় ১ : ৫০ স্কেলে ওয়ার্কিং ড্রয়িং করা হয়।

 

নির্দেশক ভগ্নাংশ (Representative fraction) :

একই এককে, ড্রয়িং-এ কোনো বস্তুর অঙ্কিত দৈর্ঘ্য এবং বস্তুর প্রকৃত দৈর্ঘ্য এ দু’য়ের অনুপাত বা ভাগফলকে সাধারণ ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা হলে তাকে নির্দেশক ভগ্নাংশ বা প্রতিনিধিত্বকারী ভগ্নাংশ বা সাদৃশ্য ভগ্নাংশ (Representative fraction) বলে। সংক্ষেপে একে RF দ্বারা সূচিত করা হয়।

সুতরাং-

নির্দেশক ভগ্নাংশ

 

উদাহরণ-১.১।

একটি বস্তুর প্রকৃত দৈর্ঘ্য ১০০ সেমি। ড্রয়িং-এ একে ৫০ মিমি দীর্ঘ রেখা দ্বারা সূচিত করা হলো। এর RF নির্ণয় কর।

 

নির্দেশক ভগ্নাংশ

 

উদাহরণ-১.২।

48 বর্গ কিমি একটি জমি মানচিত্রে ও বর্গ সেমি দ্বারা নির্দেশ করে। মানচিত্রটির RF নির্ণয় কর।

 

নির্দেশক ভগ্নাংশ

নির্দেশক ভগ্নাংশ

 

স্কেলের সংজ্ঞা (Define scale) :

স্কেল বলতে সাধারণত একটি ইনস্ট্রুমেন্টকে বুঝায়, যা ড্রয়িং-এ সরলরেখা আঁকতে ব্যবহৃত হয়। তবে, ইঞ্জিনিয়ারিং পরিভাষায় স্কেল বলতে কোনো অবজেক্ট বা কাঠামো অঙ্কনের জন্য গৃহীত পরিমাপ এবং উক্ত অবজেক্ট বা কাঠামোর প্রকৃত পরিমাপের রেশিও বাি অনুপাতকে বুঝানো হয়। 

একটি বস্তুকে পূর্ণমাপে কাগজে অঙ্কন করা যায়, যদি বস্তুটির আকার কাগজের আকারের তুলনায় বড় না হয়। কিন্তু কাগজের তুলনায় বস্তু বড় হলে তাদেরকে কখনো পূর্ণমাপে অঙ্কন করা সম্ভব হয় না; যেমন- ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু, বড় মেশিন, জমি ইত্যাদি । আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও জটিল বস্তুর গঠনকে উত্তমরূপে বুঝানোর জন্য এদেরকে বড় করে অভন করার প্রয়োজন পড়ে। তাই প্রয়োজন ও সুবিধা অনুসারে এদের মাপকে সর্বদা একটা নির্দিষ্ট হারে কমিয়ে (Reduced) বা বাড়িয়ে (Enlarged) অঙ্কন করতে হয়।

 

 

 

আরও পড়ুন:

Leave a Comment