আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – প্যারালাল সার্কিট যা অধ্যায়-১৬ এর বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত। শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
যে সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ থাকে তাকে প্যারালাল সা্র্কিট বলে। Parallel শব্দের বাংলা অর্থে সমান্তরাল। একাধিক লোড বা রেজিস্টর প্রতিটিকে বৈদ্যুতিক সোর্সের আড়াআড়িতে/সমান্তরাল ভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাদিক পথ থাকে তাকেই Parallel circuit বলে। বইয়ের ভাষায় বলতে গেলে “সে সকল সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহের দুই বা ততোদিক পথ থাকে সেই সকল সার্কিটকে Parallel circuit বলে”
“A parallel circuit is a closed circuit in which the current divides into two or more paths before recombining to complete the circuit”
যখন কতকগুলো রেজিস্টরকে এমনভাবে সংযোগ করা হয় যাতে এদের একপ্রান্তগুলো একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো আর একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে সংযোগ করা হয়, তখন তাকে প্যারালাল সার্কিট বলে।
Table of Contents
প্যারালাল সার্কিট
প্যারালাল সার্কিট একাধিক লোডসমূহকে একত্রে সংযোগ করে যে সার্কিট তৈরি করা হয় এবং যে সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহে একাধিক পথ থাকে তাকে প্যারালাল-সার্কিট বলে। অথবা, একাধিক রেজিস্টর বা লোড প্রতিটিকে বৈদ্যুতিক উৎসের আড়াআড়িতে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ বিদ্যমান থাকে তবে তাকে প্যারালাল-সার্কিট বলে।
প্যারালাল সার্কিট-এর ভারপ্রান
প্যারালাল সার্বিক-এর বৈশিষ্ট্য
(i) প্যারালাল-সার্কিটে যুক্ত সব লোড বা রেজিস্টরের মধ্যে দিরে একই পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয়।
অর্থাৎ 1 = 11=12=13=- In
(ii) প্যারালাল-সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি লোড বা রেজিস্টর এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ ড্রপ সার্কিটে প্রয়োগকৃত ডোপ্টেড-এর সমান।
অর্থাৎ, V=V1=V2 = V3 == Va
(iii) প্যারালাল-সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি রেজিস্টর এর মান উল্টিয়ে যোগ করলে যোগফল সমতুল্য (সার্কিটের) রেজিস্ট্যান্সের উল্টানো মানের সমান।
অর্থাৎ, 1/R = 1/R1 + 1/R2 + 1/R3+ + 1/Rn

প্যারালাল-সার্কিট ব্যবহার
নিম্নলিখিত সুবিধার কারনে প্যারালাল-সার্কিট ব্যবহার করা হয় :
১. সার্কিটের কোনো একটি লোড নষ্ট হলে অন্য সকল লোড ঠিক থাকে।
২. স্বীয়-ক্ষমতা অনুযায়ী এ সার্কিটের বাতিগুলো জ্বলে।
৩. সার্কিটের প্রতিটি লোডকে আলাদা আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৪. কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ থাকে।
অনুশীলনী-১৬
অতি সংক্ষিপ্ত
১। প্যারালাল-সার্কিট কাকে বলে?
সংক্ষিপ্ত
১। প্যারালাল-সার্কিট বলতে কী বোঝ ব্যাখ্যা কর।
২। প্যারালাল-সার্কিটের ব্যবহার কী?
রচনামূলক
১। প্যারালাল-সার্কিটের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।
২। একটি প্যারালাল-সার্কিটের ভায়াগ্রাম অঙ্কন কর।
আরও দেখুন :