আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ব্যবহারিক কাজ দ্বিতীয় পত্র এর সিভিল কন্সট্রাকশন ২ এ অন্তভুক্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ শিক্ষাবর্ষ হতে সকলস্তরের পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আরও আগ্রহী, কৌতূহলী ও মনোযোগী করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু করে ইবতেদায়ি, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল ও এসএসসি ভোকেশনাল স্তরের পাঠ্যপুস্তকসমূহ চার রঙে উন্নীত করে আকর্ষণীয়, টেকসই ও বিনামূল্যে বিতরণ করার মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে; যা একটি ব্যতিক্রমী প্রয়াস।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রচিত ভোকেশনাল স্তরের ট্রেড পাঠ্যপুস্তকসমূহ সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। উন্নতমানের কাগজ ও চার রঙের প্রচ্ছদ ব্যবহার করে পাঠ্যপুস্তকটি প্রকাশ করা হলো।
Table of Contents
ব্যবহারিক কাজ দ্বিতীয় পত্র
ব্যবহারিক কাজ নং: ১
নামঃ বিমে এম, এস, রড বাঁধাইয়ের কৌশল
- ওয়ার্কিং ড্রইং পর্যবেক্ষণঃ ওয়ার্কিং ড্রইং এ প্রদত্ত বিমের লম্বা পরিচ্ছেদ (long section) ও ক্রস সেকশন (cross section) বিষের দৈঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা (depth), রডের সংখ্যা, রড কাটার পরিমাপ, স্টিরাপ এর পরিমাণ ও দূরত্ব, কেন্দ্র হতে কেন্দ্র (c/c-centre to centre) ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করি।
- বিমের সাটারিং কাজের শুদ্ধতা যাচাইঃ সাটারিং এ বীমের পরিমাপ, ক্লিয়ার কাভার, পলিথিন বা রূপবান টিন দ্বারা পানি নিরধোকতা, স্পিরিট লেভেল বা ওয়াটার লেভেল দ্বারা সাটারিং এর লেভেল পরিমাপ করে শুদ্ধতা যাচাই করি।
- ড্রইং এর প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এম, এস, রড কর্তন হুকসহ এম, এস, রডসমূহের ড্রইং এর প্রদত্ত মাগ অনুযায়ী কর্তন করি।
- ড্রইং এর প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এম, এস, রডে ক্রাঙ্ক ও হক তৈরি করি।
- মাপ অনুযায়ী স্টিরাপ তৈরি করি।
- এম, এস, রডগুলো সঠিক অবস্থানে বসাতে হবে।
- জি আই তার দিয়ে স্টিরাপের সাথে রড বাঁধাই করতে হবে।
- এম, এস, রড বাঁধাই এবং কভারিং এর শুদ্ধতা যাচাই করতে হবে।
রি-ইন ফোর্সমেন্ট বা রডের হিসাব
১) ১৬ মিঃ মিঃ ব্যাসের সোজা রড ৪টি (নিচে ও উপরে দুটি করে) দৈর্ঘ্য = খ+১২ ডি (12D)- কভারিং (দুইদিকে) = ৭ মিঃ +১২ x ১৬ মিঃ মিঃ- ৪ X ২ সেঃ মিঃ ৭.১১২ মিঃ
২) ক্র্যাংক রড ২ টি (১৬ মিঃ মিঃ ব্যাস রড) ৭.১১২+২.৩৭ মিঃ ৭.৮৫২ মিঃ (৪৫৮ = ৩৭ সেঃ মিঃ)
৩) টাই রড বা স্টিরাপ সংখ্যা = L/4 @ ১০ সেঃ মিঃ থেকে উভয় সাপোর্ট থেকে মাঝের ৩০০ সেঃ মিঃ ২০ সেঃ মিঃ কে/কে ৬০০/৪ @ ১০ সেঃ মিঃ কে/কে X ২ + ৩০০/২০-২ (সাপোর্ট থেকে S/2 দূরত্বে ১ম স্টিরাপ বসবে।)
= ১৫০/১০ x ২ +১৫-২= ৩০+১৩= ৪৩ টি
স্টিরাপ দৈর্ঘ্য = ২(৪৫-৪+২৫-৪)+18D (D = ১০ মিঃ মিঃ)
= ২(৪১ + ২১) + ১৮ x ১০ = ১২৪ + ১৮ = ১৪২ = ১,৪২ মিঃ
মোট ওজন =৭.১১২ x ৪ +৭.৮৫২ x ২ + ১.৪২ X ৪৩ মিঃ
= ২৮.৪৪৮+১৫.৭০৪+৬১.০৬
= ৪৪.১৫২+৬১.০৬
= ৪৪.১৫২x১.৫৭৭-৬১.০৬০.৬১
=৬৯.৬২+৩৭.২৪৬=১০৬.৮৭ কেজি। (রডের ওজন বের করার নিয়ম নবম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করেছ)
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারবাহিক ধাপ | মালামাল |
১। হাতুড়ি। | ১) প্রাপ্ত রডকে পরিমাণ মতো সোজা কর। | ১। এম. এস, রড। |
২। হ্যাক স। | ২) ১৬ মিঃ মিঃ ব্যাসের ৬.৭৮৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪ টি রড কেটে দুইপ্রান্তে হুক কর। | ২। ২৪ নং জি. আই. তার। |
৩। হ্যান্ডল বা জি, আই. পাইপ। | ৩) ১৬ মিঃ মিঃ ব্যাসের ৭.৬১ মিঃ দৈর্ঘ্যর ২ টি রড কেটে দুইপ্রান্তে হুক ও বেন্ড কর। (সাপোর্ট থেকে L/4 দূরে বেন্ড হবে।) | ৩। ডারিং ব্লক। |
৪। রড বাঁকা করার প্লাটফরম। | ৪) ১০ সেঃ মিঃ ব্যাসের ১.৪২ মিটার দৈর্ঘ্যর ৪৩ টি রড কেটে প্রতিটি রড দ্বারা চিত্র অনুযায়ী। | |
৫। চিজেল বা ছেনি | ৫) সোজা রড ও ক্র্যাংক রড একত্রে করে এদের মধ্যে স্টিরাপ গুলি পড়িয়ে শাটারিং এর মধ্যে রডগুলো স্থাপন কর। | |
৬) সাপোর্ট থেকে স্পেসিং এর অর্ধেক দূরত্বে ১ম স্টিরাপ স্থাপন করার পর থেকে ১০ সেঃ মিঃ কে/কে পর পর L/৪ দূরত্ব পর্যন্ত স্টিরাপ জি আই তার দ্বারা আটকাও। এ কাজ সাপোর্ট এর দুইদিকে করতে হবে। স্প্যানের ২/২ অর্থাৎ ৩০০ সেঃ মিঃ পর্যন্ত ২০ সেঃ মিঃ পর স্টিরাপ স্থাপন কর (বিমের সকল দিকের কভারিং ৪ সেঃ মিঃ) | ||
৭) কভারিং ঠিক রাখার জন্য ৪ সেঃ মিঃ পুরুত্বের ব্লক ব্যবহার কর। |
ব্যবহারিক কাজ নং: ২
নামঃ আর, সি, কলামে রড বাঁধাইয়ের কৌশল
- ওয়ার্কিং ড্রইং পর্যবেক্ষণ করি।
- কলামের সাটারিং কাজের শুদ্ধতা যাচাই করি।
- ড্রইং এর প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এস, এস, রড কর্তন করি।
- ড্রইং এর প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এস, এস, রডে ৯০০ ডিগ্রি বেন্ড ও হক তৈরি করি।
- মাপ অনুযায়ী ১৩৫° হক (ভূমিকম্প জনিত কারণে) টাই তৈরি করতে পারবে।
- খাড়া রডগুলো সঠিক অবস্থানে বসাই।
- জি, আই, তার দিয়ে টাইগুলোর সাথে খাড়া রড বাঁধাই করি।
- এম, এস, রড বাঁধাই এবং কভারিং এর শুদ্ধতা যাচাই করি।
যন্ত্রপাতি
১। স্লেজ হ্যামার।
২। চিজেল বা ছেনি।
৩। হ্যান্ডল বা জি.আই পাইপ রেড সোজা বা বাঁকা করার জন্য)।
৪। হ্যাক স।
৫। ফিতা বা স্টিল টেপ।
মালামাল
১। এম. এস. রড
২। ২৪ নং জি, আই, তার
৩। চক পেন্সিল।
মালামালের হিসাব (এম. এস. রড)
বেইজ বা তলার রড
১২ মিঃ মিঃ ব্যাসের রড, ১৫ সেঃ মিঃ কে/কে (উভয় দিকে) দৈর্ঘ্য = বেইজের দৈর্ঘ্য ২ পাশের কভারিং + ২ টি হক। = ১৫০ – 2 X 4 + 2 x 9D (D = রডের ব্যাস) = ১৫০ – 2 X 4 + 2x 9 x ১.২ সেঃ মিঃ = ১৪২ + ২১.৬ = ১৬৩.৬ = ১৬৪ সেঃ মিঃ (প্রায়) = ১.৬৪ মিঃ সংখ্যাঃ ১৫০ (২৪)/১৫ + ১ = ১০,৪৭ = ১১টি (প্রায়) দুইদিকে ধরে মোট, ২২ টি রড লাগবে। ওজন = ১.৬৪ X ২২ X.৮৯ = ৩২.১১ কেজি। | ডাউয়েল (১৬ মিঃ মিঃ ব্যাস) দৈর্ঘ্য = ৬০ + ৫০ + ৩০- নিচের কভারিং দুই স্তর রড বেন্ড। = ১৪০ – ৫ x ২ + ১.২ = ১৪৭.৬ সেঃ মিঃ = ১.৪৮ মিঃ (৪ টি) ওজন = ১.৪৮ X ৪ X ১.৫৮ = ৯.৩৩ কেজি ১৬ মিঃ মিঃ খাড়া রড (৪ টি) দৈর্ঘ্য = ৩০০ + ৬০ + ৬০ = ৪২০ = ৪.২০ মিঃ ওজন = ৪.২০ X 8 X ১.৫৮ = ২৬.৫৪ কেজি টাইয়ের দৈর্ঘ্য = ৪ X (২৫-২ X ৪) + ৩০ = ০.৯৮ মিঃ = (৩০০ + ৬০ + ৬০)১৫ + ১ = ২৯ টি = ২৯ X .৯৮ X ০.৬২ = ১৭.৫২ কেজি মোট = ৩২.১১ + ৯.৩৩ + ২৬.৫৪ + ১৭.৫২ = ৮৫.৫০ কেজি। |
কাজের ধারাবাহিকতা
১) কলামের তলার জন্য ১২ মিঃ মিঃ ব্যাসের ১৬৪ সেঃ মিঃ (১.৬৪ মিঃ) লম্বা ১২ টি রড কাট। এগুলোর দুইপ্রান্তে হুক কর।
২) ১৬ মিঃ মিঃ ব্যাসের ১৪৮ সেঃ মিঃ (১.৪৮ মিঃ) লম্বা ৪টি রড ডাওয়েল হিসাবে দেওয়ার জন্য কাট। চিত্র অনুযায়ী প্রদত্ত মাপে আকার কর।
৩) ১৬ মিঃ মিঃ ব্যাসের ৪২০ সেঃ মিঃ (৪.২০ মিঃ) লম্বা টি রড কাট। এগুলো কলামে উলম্ব তলে ডাওয়েল বারকে ল্যাপ করে খাড়া ভাবে দেওয়া হবে। (চিত্র দেখ)
৪) তলার রডগুলোকে ১৫ সেঃ মিঃ কে/কে দুরত্ব রেখে (উভয় দিকে) ২৪ নং জি, আই, তার দ্বারা বাঁধা। এগুলোর তলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যা ও গভীরতায় ব্লক দিয়ে কভারিং ঠিক রাখ। (ব্লক গভীরতা হবে ৫ সেঃ মিঃ)
৫) কলামের মাঝে ২৫ সেঃ মিঃ X ২৫ সেঃ মিঃ বর্গ সৃষ্টি করে তার কোনায় উলম্ব ডাওয়েল বার স্থাপন কর এবং চিত্র অনুযায়ী ডাওয়েলবার কে ল্যাপ করে ৪ টি রডকে ছাদ পর্যন্ত নাও। এগুলোকে টাই দ্বারা আটকাও। প্রতি টাই এর দৈর্ঘ্য হবে ৯৮ সেঃ মিঃ। টাই এর প্রতিটি পার্শ্ব হবে ২১ সেঃ মিঃ (২৫ -৪ = ২১ সেঃ মিঃ)। টাইয়ের সংখ্যা হবে ২৯ টি।
ব্যবহারিক কাজ নং: ৩
নামঃ ছাদে এম, এস, রড বাঁধাইয়ের কৌশল আয়ত্ত করতে সক্ষম হবে।
- ওয়ার্কিং ড্রইং পর্যবেক্ষণ করি।
- সাটিরিং কাজের শুদ্ধতা যাচাই করি।
- ড্রইং এ প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এম, এস, রড কর্তন করি।
- ড্রইং এর প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এম, এস, রডে ক্রাঙ্ক ও হুক তৈরি করি।
- প্রধান রড ও বাইন্ডার রড যথাযথ ভাবে সঠিক অবস্থানে বসাই।
- জি, আই, তার দিয়ে মেইন রড ও বাইন্ডার রড বাঁধাই।
- কভারিং সঠিক পরিমাণ রাখার জন্য ব্লক এবং চেয়ার বসাই।
- ছাদে এম, এস, রড বাঁধাইয়ের শুদ্ধতা যাচাই করি।
ছাদের দিকের রডের সংখ্যা (৪০০ সেঃ মিঃ ২ x ২৫ সেঃ মিঃ + ৪০ X ২-২.৫ X ২)/রডের দূরত্ব = ৫৩ টি।
অতএব, সোজা রড + ক্র্যাংক রড = ২৭ + ২৬ টি = ৫৩ টি c/c দূরত্ব এক্সট্রা টপ = ২৭ টি (সোজা রডের সমান)
ছাদের খাট দিকের রডের সংখ্যা = (৩০০ সেঃ মিঃ + ২ x ২-২.২৫) রডের c/c দূরত্ব = ৪২৫/১০
অতএব, সোজা রড + ক্র্যাংক রড = ২২ + ২১ = ৪৩ টি এক্সট্রা টপ রড = ২২ টি (সোজা রডের সমান)
দৈর্ঘ্য = ছাদের লম্বা দিকের রডের সংখ্যাঃ ৪০০ + ২৫ X ২ + ৪০ X ২ + ১৮ – ২.৫ X ২ (১০ মিঃ মিঃ রড)
= ৫৩০ + ১৮ × ১৫ = ৫৪৩ সেঃ মিঃ বা ৫.৪৩ মিঃ
ক্র্যাংক রডের দৈর্ঘ্য = ৫৪৩ সেঃ মিঃ + ২ X ০.৫ উ (উ = ১২-২.৫ = ৯.৫) ৫৪৩ সেঃ মিঃ + 2 X ০০৫ X ৯.৫ = ৫৫২.৫ = ৫.৫৩ মিঃ
এক্সট্রা রড টপের দৈর্ঘ্য = ৪০০/৪ + ২৫+৪০ – ২.৫ X ১৮ ফ = ১৮০.৫ সেঃ মিঃ = ১.৮১ মিঃ ছাদের খাট দিকে সোজা রডের দৈর্ঘ্য = ৩০০ + ৫০ + ৪০ X ২ + ১৮ উ – ২৫ X ২ = ৪.৪৩ মিঃ
ক্র্যাংক রডের দৈর্ঘ্য = ৪.৪৩ + ০.৯৫ – ২.৫ x ২ = ১.৬৫ মিঃ
এক্সট্রা টপ = ৩০০/৪ + ২৫ + ৪০ + ১৮৫ – ২.৫ X ২ = ১.৫৬ মিঃ
মোট সোজা রডের দৈর্ঘ্য ৫.৪৩ X ২৭ + ৪.৪৩ X ২২ = ২৪৪.০৭ মিঃ
মোট ক্র্যাংক রডের দৈর্ঘ্য = ৫.৫৩ X ২৬ + ৪.৫৩ X ২১ = ২৩৮.৮৯ মিঃ
মোট এক্সট্রা টপ রডের দৈর্ঘ্য = ১.৮১ x ২৭ + ১.৫৬ X ২২ = ৮৩,১৯ মিঃ
মোট ৫৬৬.১৫ মিঃ
অতএব, মোট ওজন = ৫৬৬.১৫ X ০.৬১৫ = ৩৪৮ কেজি।
(বিঃ দ্রঃ ১ মিঃ ১০ মিঃ মিঃ ব্যাসের রডের ওজন = ০.৬১৫ কেজি)
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারাবাহিক ধাপ | মালামাল |
১। কোল্ড চিজেল। | ১) পরিমাণ মতো রড সোজা কর। ১০ মিঃ মিঃ ব্যাসের ৫.৪৩ মিঃ দৈর্ঘ্য ২২ টি এবং ৪.৪৩ মিঃ দৈর্ঘ্যের ২৭ টি রড কেটে দুইপ্রান্তে হক কর। | ১। এম. এস রড। |
২। হ্যামার। | ২) ১০ মিঃ মিঃ ব্যাসের ৫.৪৩ মিঃ দৈর্ঘ্যর ২১ টি রড ও ৪.৫৩ মিঃ দৈর্ঘ্যর ২৬ টি রড কেটে দুইপ্রান্তে হক এবং বেন্ড কর। | ২। ২৪ নং জি.আই. তার। |
৩। হ্যান্ডল বা জি, আই. পাইপ। | ৩) ১০ মিঃ মিঃ ব্যাসের ১.৮১ মিঃ দৈর্ঘ্যর ২২ টি ও ১.৫৬ মিঃ দৈর্ঘ্যর ২৭ টি রড কেটে দুইপ্রান্তে হক এবং বেন্ড কর। | ৩। চক। |
৪। রড বাঁকা করার প্লাটফরম। | ৪) নকশা অনুযায়ী কর্তিত রডগুলি ছাদের উপর উভয় দিকে ১০ সেঃ মিঃ পর পর বসায়ে একটির সাথে অপরটি জি. আই. তার দ্বারা বাঁধ। খাড়া রডগুলি প্রথমে নিচের দিকে বসাও। নিচের রডটি তলা থেকে ২.৫ উচ্চতায় ব্লক দিয়ে কভারিং ঠিক রেখে স্থাপন কর। | ৪। কভারিং এর মাপ অনুযায়ী ব্লক। |
৫। ফিতা বা স্টিল টেপ। | ৫) প্রতিটি সোজা রডের উপরে শেষ প্রান্তে একটা টপ রড দাও। এগুলো ক্র্যাংক রডের সম উচ্চতায় থাকবে। (দুইপ্রান্তে) এক্সট্রা টপ ও ক্র্যাংক রড বাইন্ডার রড দ্বারা লেভেল করে নাও। | ৫। জি. আই. শিট (ফাঁকা বন্ধ করার জন্য)। |
৬। হ্যাক স। | ৬) রড স্থাপনের পূর্বে সাটারিং এর তলা স্পিরিট লেভেল দ্বারা লেভেল করে নাও। | |
৭। স্পিরিট লেভেল। | ৭) ২১ থেকে ২৮ দিন কিউরিং করার পর শাটারিং খুলে নিতে হবে। |
ব্যবহারিক কাজ নং: ৪
নামঃ সিঁড়িতে রড বাধাঁইয়ের কৌশল
- ওয়ার্কিং ড্রইং পর্যবেক্ষণ করি।
- ওয়েট ক্লাবের সেন্টারিং ও সাটারিং কাজের শুদ্ধতা যাচাই করি।
- ড্রইং এ প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এম এস রড কর্তন করি।
- স্লইং এর প্রদত্ত মাপ অনুযায়ী এম এস রডে স্পার্ক ও হক তৈরি করি।
- প্রধান রুড ও বাইন্ডার যথাযথ ভাবে সঠিক অবস্থানে বসাই
- জি জাই তার দিয়ে রড বাঁধাইয়ের কাজ করি।
- এম এস রডের বাধাই এবং কভারিং শুদ্ধতা যাচাই করি।
উপরের চিত্রের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
১ম ল্যান্ডিং (ল্যান্ডিং ১): যেখান থেকে সিঁড়ির ধাপ শুরু হয়।
২য় ল্যান্ডিং (ল্যান্ডিং ২১: যেখানে সিঁড়ির ধাপ শেষ হয় যা ভিন্ন দিকে নতুন খাপ শুরু হয়।
ওয়েন্ট স্লাবঃ ১ম ল্যান্ডিং ও ২য় ল্যান্ডিং এর মাকে কাত হয়ে থাকা স্লাবকে বুঝায়। যা সাধারণত ৬” (ইঞ্চি) পরিমাণ হয়ে থাকে।
প্রধান বা মেইন রড (M1): প্রধান রডকে 1 চিহ্ন দ্বারা বুঝানো হয়েছে। যা ১ম ল্যান্ডিং এর নিচ হতে শুরু হয়ে ওয়েস্ট স্লাব পার হয়ে ২য় ল্যান্ডিং এর উপরে অবস্থানে বসাতে হবে। M1 বার স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের উপর নির্ভর করে। বোঝার জন্য ধরি এই স্পেসিং ৮” (ইঞ্চি) পরিমাণ।
প্রধান বা মেইন রড (M2): প্রধান রডকে 2 চিহ্ন দ্বারা বুঝানো হয়েছে। যা ১ম ল্যান্ডিং এর উপর হতে শুরু হয়ে ওয়েস্ট স্লাব পার হয়ে ২য় ল্যান্ডিং এর নিচের অবস্থানে বসাতে হবে। M2 বার স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের উপর নির্ভর করে। বোঝার জন্য ধরি এই স্পেসিংও ৮” (ইঞ্চি) পরিমাণ। এই উভয় প্রকার বারের জন্য কংক্রিটের ক্লিয়ার কাভার ৩/৪” (ইঞ্চি) পরিমাণ রাখা হয়।
এক্সট্রা টপ বার (E1): E1 হচ্ছে ১ম ল্যান্ডিং এ এক্সট্রা টপ। ১ম ল্যান্ডিং এর প্রান্ত হতে ওয়েন্ট স্লাবের ১/৩ অংশ পর্যন্ত মাপে এক্সট্রা টপ কাটতে হবে।
এক্সট্রা টপ বার (E2): E2 হচ্ছে ২য় ল্যান্ডিং এর মতো এক্সট্রা টপ। ২য় ল্যান্ডিং এর প্রান্ত হতে ওয়েন্ট স্লাবের
ভিতরে ১/৩ অংশ পর্যন্ত মাপে এক্সট্রা টপ কাটতে হবে। উভয়ের জন্য কংক্রিটের ক্লিয়ার কাভার ৩/৪” (ইঞ্চি) পরিমাণ রাখা হয়।
বাইন্ডার (B): ল্যান্ডিং এ বটম (নিচের) বাইন্ডার প্রধান বার (M1) এর উপরে এবং টপ (উপরের) বাইন্ডার প্রধান বার (M2) এর নিচে স্থাপন করা হয়। ওয়েন্ট স্লাবে প্রধান বার (M1 এবং M2) এর উপর স্থাপন করা হয়। কিন্তু এক্সট্রা টপ বারের নিচে স্থাপন করা হয়।
ডিটেইলস (A): যেহেতু আমরা M1 এবং M2 কে ৮” ইঞ্চি সেন্টার টু সেন্টার এবং একই স্তরে স্থাপন করছি তাই ওয়েস্ট স্লাবে প্রধান বারের স্পেসিং মূলত ৪” (ইঞ্চি) সেন্টার টু সেন্টার।
জি আই তার দ্বারা রডকে ভালমতো বেঁধে রাখি যাতে কংক্রিট ঢালাই এর সময় রড নড়ে না যায়। সিঁড়ির ফর্ম ওয়ার্ক ঠিকমতো স্থাপন করি। এরপর নিচ হতে কংক্রিট ঢালাই শুরু করি।
ব্যবহারিক কাজ নং: ৫
নামঃ কংক্রিট স্থাপন বা ঢালাই কৌশল।
- মালামাল ও যন্ত্রপাতি নির্বাচন করি।
- সাটারিং এর বা ক্ষেত্রের তল নিরীক্ষা করি।
- কংক্রিট মিশ্রণের নমুনা পরীক্ষা করি।
- পর্যায়ক্রমে কংক্রিট স্থাপন করি।
- ধাপে ধাপে সম্পাদিত কাজটি নিরীক্ষা করি।
ঢালাই কাজটি নিম্নলিখিত ধাপে ধাপে সমাধা করতে হয়। যথাঃ
১। শাটারিং ফর্ম ওয়ার্ক তৈরি করা।
২। কংক্রিট মিশ্রণ করা।
৩। কংক্রিট বহন ও ঢালাই।
৪। কিউরিং করা।
৫। শাটারিং অবমুক্ত করা বা খুলে নেওয়া।
আর, সি. সি. কংক্রিট স্থাপন কৌশল (যে কোন একটি কাঠামো ঠিক করে নাও)
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারাবাহিক ধাপ | মালামাল |
১। কর্ণি। | ১) প্রথমে কাঠমোর মাপ অনুযায়ী শাটারিং কর। | ১। সিমেন্ট |
২। কোদাল। | ২) তারপর নকশায় দেয়া তথ্যাদির সাহায্যে শাটারিং খাঁচার রিইনফোর্সমেন্ট বা রড স্থাপন কর। এক্ষেত্রে ফর্মওয়ার্কের তলায় এবং চারপাশে কভারিং এর মাপ অনুযায়ী ব্লক স্থাপন কর। স্পিরিট লেভেল দ্বারা তলার লেভেল পরীক্ষা কর। | ২। বালি। |
৩। কড়াই। | ৩। নির্দিষ্ট অনুপাত অনুযায়ী নিচ্ছিদ্র প্লাটফরমের উপর বা মিকচার মেশিনে কংক্রিট মিশ্রণ তৈরি কর। কংক্রিটের মালামাল অনুপাত ঠিক রাখার পাশাপাশি অবশ্যই পানি সিমেন্ট অনুপাত সঠিক রাখতে হবে। অনুপাত ঠিক আছে কি না তা যাচাই করার জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে তৈরি কংক্রিটের স্লাম্প বা নতি পরীক্ষা কর। (তোমরা জান প্রত্যেকটি কাজের জন্য নতির মান নির্দিষ্ট করা আছে) তাছাড়া কংক্রিটকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে জমাট করে বা জমিয়ে ৭ দিন ১৪ দিন, ২৮ দিন কিউরিং এর পর চাপবল পরীক্ষা করে ও শক্তি সম্পর্কে জানা যায়। | ৩। খোয়া পাথর টুকরা। |
৪। বালতি। | ৪) সঠিকভাবে বহন করে কংক্রিট ফর্মওয়ার্কে ঢালাই (ব্যানিং) কর। | ৪। কাঠ, বাঁশ। |
৫। ড্রাম। | ৫) ঢালাই এর ২৪ ঘন্টা পর থেকে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ কিউরিং কর। | ৫। পেরেক। |
৬। বালি চালনি | ৬। কিউরিং শেষে শাটারিং অবমুক্ত কর। | ৬। পানি। |
৭। লেভেল। |
ব্যবহারিক কাজ নং: ৬
নামঃ টাইলস স্থাপনের কৌশল। (১০০ বঃ মিঃ ফ্লোর টাইলস)।
- মালামাল ও যন্ত্রপাতি নির্বাচন করতে পারবে।
- ক্ষেত্র তলে লাইম মর্টারের বেস স্থাপন করতে পারবে। ৬.৩ প্রস্তুতকৃত বোর্ডের উপর টাইলস স্থাপন করতে পারবে।
- সম্পাদিত কাজটি শুদ্ধতা যাচাই করতে পারবে।
আর্দ্র লাইম মর্টারের পরিমাণ = ১০০ X ০.০২ = ২ ঘন মিটার।
শুষ্ক লাইম মর্টারের পরিমাণ = ২.০০ X ১.৫০ = ৩ ঘন মিটার।
কলিচুন = ৩/৩ x ১ = ১ ঘন মিটার।
সুরকি = ৩/৩ x ২ = ২ ঘন মিটার।
টাইলস = ১০০/০.০৪ = ২৫০০ খানা (২ X ২০ সেঃ মিঃ প্রতিটি টাইলস)
সিমেন্ট = ৬ ব্যাগ (সাধারণ সিমেন্ট সাদা সিমেন্ট)
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারাবাহিক ধাপ | মালামাল |
১। কর্ণি | ১) মেঝে চিপিং করে সর্বত্রই সমতা এ ব্রাশ দ্বারা পরিষ্কার করে পানি দ্বারা ধুয়ে নাও। | ১। চুন। |
২। কোদাল। | ২) পানি শুকানোর পর পূর্বে বানানো লাইম মর্টার (চুল + সুরকি = ১:২ ২০ মিঃ মিঃ পুরুত্বে মেঝের উপর কর্ণি দ্বারা স্থাপন কর। মসলা ভিজা থাকতেই টাইলস বসাতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সম উচ্চতা ও ঢাল ঠিক রাখতে হবে। দুটো টাইলসের প্রান্তে সুতা টান টান করে (ইট গাথাঁর পদ্ধতিতে) অনুভূমিক ও বেঁধে নিয়ে টাইলস বসাও। প্রথমে কক্ষের যে কোন একদিক থেকে টাইলস বসাতে হবে। একটি টাইলসের সাথে সমউচ্চতা স্পিরিট লেভেল দ্বারা যাচাই কর। | ২। সুরকি। |
৩। ব্রাশ। | ৩) দুটো টাইলসের জোড়ায় ৬ মিঃ মিঃ ফাঁক রাখ। পরে এ জোড়াস্থানে সাধারণ সিমেন্ট বা শ্বেতসিমেন্ট দ্বারা পূরণ কর। এক্ষেত্রে জোড় স্থানের অতিরিক্ত মসলা কর্ণি বা স্ক্রেপার বা মার্কিন কাপড় দ্বারা পরিষ্কার কর। কাজ শেষে মোম বা অক্সালিক এসিড পাউডার দ্বারা ওয়াশ কর। (যদি সম্ভব হয়) এতে উজ্জ্বলতা বাড়বে। | ৩। টাইলস। |
৪। বালতি। | ৪। সিমেন্ট। | |
৫। মগ। | ৫। সুতা। | |
৬। পাট্টা। | ৬। মোম। | |
৭। স্পিরিট। | ৭। মার্কিন কাপড়। | |
৮। স্ক্রেপার। | ৮। বালি। | |
৯। ফ্লোর চিজেল/বাসুলি। | ৯। পানি। | |
১০। অক্সালিক এসিড পাউডার। |
ব্যবহারিক কাজ নং: ৭
নামঃ মোজাইক কাজের কৌশল। (১০ বঃ মিঃ মেঝে মোজাইক করা)।
- মালামাল নির্বাচন ও মশলা প্রস্তুত করি।
- যন্ত্রপাতি নির্বাচন করি।
- প্রয়োজনীয় পুরুত্বে লাইম মর্টারের বেড স্থাপন করি।
- বেডের উপর ৩ মি. মি. পুরু সিমেন্টিং পদার্থের পেস্ট বিস্তৃত করি।
- সিমেন্টিং স্তরের উপর পাথর বা মার্বেল চিপস হ্যামারের সাহায্যে বসাই।
- স্টোন রোলার দ্বারা মৃদু রোলিং করি।
- পিউমিক স্টোন এর সাহায্যে পালিশ করে পৃষ্ঠদেশ মসৃণ করি।
- সম্পাদিত কার্য নিরীক্ষা করি।
মালামালের হিসাব
পেটেন্ট পাথর (১:২:৪) ২০ মিঃ মিঃ পুরু
- সিমেন্ট- ১.৩ ব্যাগ।
- বালি-০.০৯৪ ঘনমিটার
- কুচি খোয়া- ০.১৭ ঘনমিটার
মোজাইক
- মার্বেল চিপস = ০.০৪ ঘনমিটার
- মার্বেল পাউডার = ০.০০৮৮ ঘনমিটার
- সাদা সিমেন্ট = ১ ব্যাগ (মার্বেল চিপস)
- মার্বেল পাউডার + সাদা সিমেন্ট = ১:১
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারাবাহিক ধাপ | মালামাল |
১। কর্ণি | ১। পুরু মশলার উপর প্রথমে ১:২:৪ অনুপাতে তৈরি চূর্ণক কংক্রিট দ্বারা ২০ মিঃ মিঃ উচ্চতায় পাথর বসাও। পেটেন্ট পাথর পূর্বে পানি দ্বারা ধুয়ে নাও। অবশ্য এর পূর্বে ফ্লোর চিজেল দ্বারা চিপিং করে নিতে হবে। | ১। সিমেন্ট। |
২। কড়াই। | ২। কমপক্ষে ৭ দিন কিউরিং কর। | ২। বালি। |
৩। উষা। | ৩। কিউরিং শেষে ১:১ (মার্বেল চিপস: মার্বেল পাউডার + সিমেন্ট) অনুপাত তৈরি মসলা ৫ মিঃ মিঃ পুরুত্বে কর্ণি দ্বারা পেটেন্ট স্টোনের উপর স্থাপন করে উষা ও পাট্টা দ্বারা সমান কর। তারপর কিউরিং কর। | ৩। কুচি খোয়া। |
৪। কোদাল। | ৪। কিউরিং শেষে পিউমিক পাথর দ্বারা (হাতে কাটা হলে বা মেশিন দ্বারা ঘর কেটে নাও। তবে তল মসৃণ হলে মোজাইকের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে।) | ৪। মার্বেল চিপস। |
৫। পাট্টা। | ৫। বিভিন্ন প্রকার গ্রেড বা নম্বরের পিউমিক পাথর ব্যবহার করা হয়। প্রথমে রাফ কাট সেগুলো তল কেটে মসৃণ কর এবং পরে মসৃণ পাথর ব্যবহার করে ফিনিশিং কর। মেশিন কাটিং এর বেলাও একাধিক গ্রেডের বা মানের পাথর ব্যবহার করা যায়। | ৫। মার্বেল পাউডার। |
৬। মগ। | ৬। সর্বশেষ মোম বা অক্সালিক এসিড পাউডার দ্বারা পালিশ কর। | ৬। সাদা সিমেন্ট। |
৭। বালতি। | ৭। পানি। | |
৮। পিউমিক পাথর। | ||
৯। কাটার মেশিন। | ||
১০। ফিতা বা স্টিল টেপ। | ||
১১। ফ্লোর চিজেল/কোল্ড চিজেল। | ||
১২। স্পিরিট লেভেল। |

ব্যবহারিক কাজ নং: ৮
নামঃ নিট সিমেন্ট ফিনিশিং কাজের কৌশল
- উন্নত মানের সিমেন্ট নির্বাচন করি।
- প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নির্বাচন করি।
- লেভেল ক্ষেত্রতল প্রস্তুত করি।
- সিমেন্ট ছিটাই।
- ফিনিশিং প্রদান করি।
- সম্পাদিত কার্য যাচাই করি।
১২ মিঃ মিঃ পুরু সিমেন্ট প্লাস্টার (১:৩) ট্যাঙ্কের তলায়) এর উপর নিট সিমেন্ট ফিনিশিং। মোট আয়তন ১০০ বর্গ মিটার।
মালামালের হিসাব।
১০০ বর্গ মিটারের জন্য আর্দ্র মসলার পরিমাণ = ১০০ X ০.০১২ = ১.২ ঘন মিটার।
শুষ্ক আয়তন = ১.২ X ১.৫ (৫০% অতিরিক্ত) = ১.৮ ঘন মিটার।
সিমেন্ট = ১.৮/৪ X ১ = ০.৪৫ ঘনমিটার @ ৩০ ব্যাগ/ঘনমিটার = ১৪ ব্যাগ।
বালি = ১.৮/৪ X ৩ = ১.৩৫ ঘনমিটার।
নিট ফিনিশিং এর জন্য ১০০ বর্গ মিটার ৬ ব্যাগ সিমেন্ট লাগবে।
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারাবাহিক ধাপ | মালামাল |
১। কর্ণি | ১) প্রথমে ১:৩ অনুপাতে মসলা তৈরি করে নির্ধারিত জায়গা প্লাস্টার কর। | ১। সিমেন্ট। |
২। কড়াই। | ২) প্লাস্টার করার পর গাত্রতল ভিজা থাকতেই প্রয়োজনীয় তারল্যে (১০০ বঃ মিঃ এর জন্য ৬ ব্যাগ) সিমেন্ট পেস্ট তৈরি করে কর্ণি দ্বারা প্লাস্টার সারফেসের উপর লেপে দাও। (শুধু সিমেন্ট ও পানি সহযোগে পেস্ট তৈরি কর।) | ২। বালি। |
৩। ওলন। | ৩) পেস্ট লেপে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে কর্ণি বা স্টিলের ফিনিশিং কর্ণি বা পাট্টা দ্বারা সমান কর। | ৩। পানি। |
৪। উষা। | ৪) সমান হয়েছে কিনা তা স্পিরিট লেভেল দ্বারা যাচাই কর। | |
৫। কোদাল। | ৫) যদি কখনও পানির অনুপাত ঠিক না হওয়ায় অর্থাৎ বেশি হওয়ায় উপরের দিকে কিছু হালকা ভাসমান পানি দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে শুধু শুকনো সিমেন্ট ছিটায়ে দিয়ে পাট্টা দ্বারা লেপে দেওয়া যেতে পারে। | |
৬। মগ। | ৬) নিট সিমেন্ট ফিনিশিং কাজ সমাপ্তির ১ ঘন্টা পর থেকে কিউরিং করতে হবে। | |
৭। বালতি। | ||
৮। পাট্টা। |
ব্যবহারিক কাজ নং: ৯
নামঃ ডিসটেম্পার কাজের কৌশল
- ডিসটেম্পার করতে হবে।
- ডিসটেম্পার যন্ত্রপাতি নির্বাচন করি।
- ডিসটেম্পার মিশ্রণ তৈরি করি।
- সারফেস প্রস্তুত করতে করি।
- ডিসটেম্পার প্রয়োগ করি।
- গুণাগুণ যাচাই করি।
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারাবাহিক ধাপ | মালামাল |
১) scraper, | ১) পানিবদ্ধ ডিসটেম্পারঃ এই ডিসটেম্পার বাজারে পাউডার বা গুড়া হিসাবে পাওয়া যায়। প্রথমে গরম পানিতে পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করা হয়। তারপর পানি মিশিয়ে প্রয়োজনমত পাতলা করা হয়। সাধারণত ৬০ লিটার পানিতে এক কেজি ডিসটেম্পার পাউডার মিশাতে হয়। | ১। ডিসটেম্পার পাউডার (রং) বা পেন্ট |
২। putty knife or scrub brush, | (২) তৈলবদ্ধ ডিসটেম্পারঃ হোয়াইটিং বা চকপাউডার এবং রঙিন পিগমেন্ট প্রথমে শুকনো অবস্থায় মিশিয়ে নিতে হয়। তারপর পানি বা তৈল মিশিয়ে পেস্ট এর ন্যায় করে কোটাজাত করে বাজারে বিক্রি হয়। কতটুকু পেস্টে কি পরিমাণ পানি মিশাতে হবে তা কৌটার গায়ে লেখা থাকে। | ২। গরম পানি |
৩। leather gloves | (৩) যে দেয়াল গাত্রে ডিসটেম্পার করতে হবে তা সম্পূর্ণ ভাবে শুকনো হতে হবে। ভিজা বা স্যাঁতস্যাঁতে গাত্রতলে ডিসটেম্পার ভাল হয় না। সাধারণত চুন প্লাস্টার করা দেওয়াল শুকাতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে। এর আগে ডিসটেম্পার করা ঠিক হবে না। দেওয়ালের গায়ে কোন গর্ত বা ফাটল থাকলে সেগুলো জিপসাম বা লাইম পুটিং দ্বারা বন্ধ করতে হবে। গাত্রতল সম্পূর্ণরূপে শুকানোর পর গাত্র পরিষ্কার ও মসৃণ করা হয়। পুরাতন ডিসটেম্পার করা দেওয়ালে পুনরায় ডিসটেম্পার করতে হলে পুরাতন ডিসটেম্পার শিরিষ কাগজ ও ব্রাশ দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। কেমিক্যাল স্ট্রিপার বা হিট গান দিয়েও বর্তমানে পুরাতন ডিসটেম্পার তুলে ফেলা হয়। যদি পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে তোলা হয় তাহলে গাত্রতল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওয়াশিং সোডা দিয়ে ভিজিয়ে নিলে ডিসটেম্পার সহজে গাত্রতলে লেগে যায়। এক্ষেত্রে স্পঞ্জ দিয়ে গাত্রতল শুকিয়ে পরে ডিসটেম্পার করতে হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য চামড়ার মোজা ও রেস্পিরেটর (শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য) ব্যবহার করা উচিত। | ৩। ঠান্ডা পানি |
81 respirator | (৪) ডিসটেম্পার প্রয়োগঃ সাধারণত তিন ধাপে ডিসটেম্পার প্রয়োগের কাজ করা যায়। যথা- (৪.১) দেওয়ালের পৃষ্ঠতল প্রস্তুতঃ সেকশন (৩) দেখি। (৪.২) চুনের প্রাথমিক স্তর লেপন বা প্রাইম কোর্ট প্রদান। (৪.৩) ডিসটেম্পার প্রলেপ প্রয়োগ। | ৪। ওয়াশিং সোডা |
৫। chemical stripper | (৪.২) চুনের প্রাথমিক কোট (Prime coat) লেপন পৃষ্ঠতল প্রস্তুতির পর চুনের একটি প্রাইম কোটের প্রলেপ দিতে হবে। এ চুনকামে নীল ব্যবহার করা উচিত নয়। চুনকাম ভালভাবে শুকানোর পর শিরিষ কাগজ ঘষে পাত্রতল মসৃণ করে পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে ঝেড়ে মুছে নিতে হবে। ঘরে তৈরি ডিসটেম্পারের ক্ষেত্রে ১০ বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের জন্য ১ লিটার ব্যবহার করা যায়। | |
৬। heat gun, | (৪.৩) ডিসটেম্পার প্রয়োগ চুনের প্রাথমিক স্তর শুকানোর পর ডিসটেম্পার প্রলেপ প্রয়োগ করতে হবে। কৌটার পেষ্ট আকারের ডিসটেম্পার গরম পানি মিশিয়ে কার্যপোযোগী তারল্যে আনতে হয়। কি পরিমাণ পানি মিশাতে হবে তা সাধারণত কৌটার গায়ে লেখা থাকে। পানি মিশাবার পর ডিসটেম্পার এক বর্ণ ধারণ না করা পর্যন্ত নাড়তে হবে। এক কোট বা প্রলেপ শুকাবার পর কমপক্ষে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পরে দ্বিতীয় কোট প্রয়োগ করতে হবে। দুই কোট প্রয়োগের ক্ষেতে প্রথম কোট হালকা রংয়ের হলেও চলবে। ব্রাশ বা পৌঁচড়ার সাহায্যে ডিসটেম্পারের প্রলেপ প্রয়োগ করার সময় প্রথমে উপর থেকে নিচে এবং নিচে থেকে উপরে পরে ডানে বায়ে করে প্রয়োগ করা উচিত। ব্রাশের পরিবর্তে বর্তমানে স্প্রে-গান বা স্প্রে রোলার ব্যবহার করেও ডিসটেম্পার প্রয়োগ করা যায়। এতে প্রলেপ খুব হালকা, সুষম ও সুন্দর হয়। | |
৭। শিরিষ কাগজ (sand paper), | ||
৮। স্পঞ্জ | ||
৯। ব্রাশ | ||
১০। রোলার |
ব্যবহারিক কাজ নং: ১০
নামঃ প্লাস্টিক পেইন্ট করার কৌশল
- প্লাস্টিক পেইন্ট এর যন্ত্রপাতি নির্বাচন করতে পারবে।
- প্লাস্টিক পেইন্ট এর মিশ্রণ তৈরি করতে পারবে।
- সারফেস প্রস্তুত করতে পারবে।
- প্রয়োগ করতে পারবে।
যন্ত্রপাতি | কাজের ধারাবাহিক ধাপ | মালামাল |
scraper, putty knife or scrub brush, পানি, leather gloves, respirator, chemical stripper or a heat gun, শিরিষ কাগজ (sand paper), ব্রাশ বা রোলার | ১) যে দেয়াল গাত্রে প্লাস্টিক পেইন্ট করতে হবে তা সম্পূর্ণ ভাবে শুকনো হতে হবে। ভিজা বা স্যাতস্যাঁতে গাত্রতলে প্লাস্টিক পেইন্ট ভালো হয় না। দেওয়ালের গায়ে পেইন্ট করার পূর্বে সিমেন্ট প্রাইমার দিয়ে একটি বেজ কোট (base coat) দেওয়া হয়। কোন গর্ত বা ফাটল থাকলে সেগুলো পাট্টি (সাদা লেড চক ও ভার্নিশ একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করা হয়) দ্বারা বন্ধ করতে হবে। পাত্রতল সম্পূর্ণরূপে শুকানোর পর গাত্র পরিষ্কার ও মসৃণ করা হয়। পুরাতন প্লাস্টিক পেইন্ট করা দেওয়ালে পুনরায় প্লাস্টিক পেইন্ট করতে হলে পুরাতন প্লাস্টিক পেইন্ট শিরিষ কাগজ ও ব্রাশ দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। কেমিক্যাল স্ট্রিপার বা হিট গান দিয়েও বর্তমানে পুরাতন প্লাস্টিক পেইন্ট তুলে ফেলা যায়। যদি পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে তোলা হয় তাহলে গাত্রতল ৪৮ ঘণ্টা শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য চামড়ার মোজা ও রেস্পিরেটর (শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য) ব্যবহার করা উচিত। | ১। সিমেন্ট প্রাইমার |
২) প্লান্টিক পেইন্ট প্রয়োগ সিমেন্ট প্রাইমার প্রাথমিক স্তর শুকানোর পর প্লাস্টিক পেইন্ট প্রলেপ প্রয়োগ করতে হবে। কৌটার তরল আকারের প্লাস্টিক পেইন্ট পানি মিশিয়ে কার্যপোযোগী তারল্যে আনতে হয়। কি পরিমাণ পানি মিশাতে হবে তা সাধারণত কৌটার গায়ে লেখা থাকে। পানি মিশাবার পর প্লাস্টিক পেইন্ট এক বর্ণ ধারণ না করা পর্যন্ত নাড়তে হবে। এক কোট বা প্রলেপ শুকাবার পর দ্বিতীয় কোট প্রয়োগ করতে হবে। দুই কোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম কোট হালকা রংয়ের হলেও চলবে। ব্রাশ বা পৌঁচড়ার সাহায্যে প্লাস্টিক পেইন্ট প্রলেপ প্রয়োগ করার সময় প্রথমে উপর থেকে নিচে এবং নিচে থেকে উপরে পরে ডানে বায়ে করে প্রয়োগ করা উচিত। ব্রাশের পরিবর্তে বর্তমানে স্প্রে-গান বা স্প্রে রোলার ব্যবহার করেও প্লাস্টিক পেইন্ট প্রয়োগ করা যায়। এতে প্রলেপ খুব হালকা, সুষম ও সুন্দর হয়। | ২। পুটি | |
৩। পানি | ||
৪। সাবান |
আরও দেখুন :