আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ব্যবহারিক দ্বিতীয় পত্র যা বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত। শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
Table of Contents
ব্যবহারিক দ্বিতীয় পত্র
একটি ত্রুটিপূর্ণ দরজা/জানালা মেরামতকরণ
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম তালিকা প্রস্তুত করার পদ্ধতি:
১। হ্যামার
২। চিজেল
৩। ক্রু ড্রইভার
৪। ব্রাশ
৫। শিরিশ কাগজ
৬। ক্র্যাপার
মালামাল:
১।খু
২। কবজা/তালা
৩। পুটিং
৪। উড ফিলার
৫। তৈরিকৃত পলিশ
- একটি দরজা/জানালার ত্রুটিসমূহ চিহ্নিত করতে হবে:
- ত্রুটিসমূহ প্রয়োজনে কাঠ, প্লাইউড ও গু দিয়ে মেরামত করতে হবে:
- ত্রুটিপূর্ণ কবজা/তালা খুলে মেরামত করতে হবে:

মেরামতকৃত স্থানে পুটিং ব্যবহার করে ফাটা বা ছিদ্রসমূহ ভরাট করতে হবে। ক্র্যাপার দিয়ে ঘষে অতিরিক্ত পুটি ফেলে শিরিশ কাগজ দিয়ে মসৃণ করে ব্রাশ বা কাপড় দিয়ে পলিশ লাগিয়ে ফিনিশ করতে হবে। এক প্রলেপ অনুভূমিক দিয়ে অন্য প্রলেপ খাড়াভাবে দিতে হবে।
একটি ত্রুটিপূর্ণ দরজা/জানালার পলিশকরন
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম তালিকা প্রস্তুত করার পদ্ধতি:

শিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে পাল্লার কাঠের তলকে মসৃণ করে নিতে হবে।
স্পিরিট ও চাচ পরিমাণমতো মিশ্রিত করে পলিশ তৈরি করতে হবে। প্রতি গ্যালন মেথিলেটেড স্পিরিটের সাথে পাতলা গালা- ০.৫৬ কেজি (১.২৩ পাউন্ড), লোবান- ০.১১২ কেজি (৪ আউন্স)
রুমি মোস্তাকি- ০.১১২ কেজি (৪ আউন্স) মিশ্রিত করি দুই/তিন দিন কাঁচের পাত্রে অথবা চিনামাটির পাত্রে ডুবিয়ে রাখলে দ্রব্যগুলো সম্পূর্নরূপে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং পলিশ তৈরি হয়।
প্রস্তুতকৃত পাল্লাতে কাপড়ের শেড দিয়ে পলিশ করতে হবে। ব্রাশ অথবা কাপড় দিয়ে কাঠের আঁশের অনুকূলে পলিশ করতে হবে। এক প্রলেপ অনুভূমিক দিয়ে অন্য প্রলেপ খাড়াভাবে দিতে হবে।
প্রথম কোট দেয়ার পর প্রয়োজন অনুসারে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় কোট পলিশ করতে হবে।
মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের মালামাল-এর মার্কেট সার্ভে করতে পারবে
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম-এর তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
বাজার সার্ভে করে চাহিদামতো মালামালের গুণাগুণ ও মূল্য নির্ণয় করতে হবে।
যাচাইপূর্বক কম মূল্যে বা প্রকৃত বাজার দর অনুযায়ী ভালো মালামাল ক্রয় করতে হবে।
ধাতব ও পিভিসি পাইপ বাঁকা

ধাতব পাইপ বাঁকাকরণ:
পাইপ মেশিনে আটকাতে হবে। পাইপের মাপ অনুযায়ী ভাইস ব্যবহৃত হয়। সঠিকভাবে আটকানোর পর স্থির করতে হবে। হাত এর সাহায্যে হ্যান্ডেল উপরে নিচে নামাতে হবে এতে পাইপে চাপ পড়ে পাইপের চাহিদা অনুযায়ী বাঁকা করা যাবে। কোনো মাপ যাচাইয়ের জন্য ট্রাই স্কয়ার, প্রটেক্টোর ব্যবহার করতে হবে।
পিভিসি পাইপ বাঁকাকরণ পদ্ধতি:
প্রথমে পাইপে ভালোভাবে র্যামিং করে চেপে বালি ভর্তি করতে হবে। বালি ভরার সময় নিচের অংশে কাপড় ভালোভাবে ৰেষে নিতে হবে। বালিপূর্ণ হলে পাইপটিকে গ্যাস বার্নারের সাহায্যে আগুনের শিখায় আস্তে আস্তে খুড়িয়ে খুড়িয়ে তাপ দিতে হবে। যখন পাইপে নমনীয় ভাব আসবে তখন চাপ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত বাঁকে বাঁকাতে হবে এবং ট্রাই ক্ষয়ার বা প্রটেক্টোরের সাহায্যে কোণের পরিমাণ যাচাই করতে হবে।

- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম তালিকা প্রস্তুত করার পদ্ধতি:
যন্ত্রপাতি: ১। মেজারিং টুলস ২। মার্কিং টুলস ৩। কাটিং টুলস ৪। বেন্ডিং টুলস ৫। মাপমতো গ্রভড ডিস্ক ৬। পাইপ ভাইস ৭। পাইপ রেঞ্জ ৮। চেইন পাইপ রেঞ্জ ৯। হ্যামার ১০। সিলিং কম্পাউন্ড ১১। অয়্যার ব্রাশ ইত্যাদি।
কাঁচামাল: বিভিন্ন ধরনের পাইপ। যেমন: কাল্ট, আয়রন পাইপ, গ্যালভানাইজড আয়রন, পিভিসি পাইপ, ইউপিভিসি পাইপ, পিতলের পাইপ ইত্যাদি।
- একটি পাইপ হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাইপ নেয়ার জন্য প্রথমে মেজারিং টেপের সাহায্যে পাইপের মাপ নিতে হবে। মাপ নেয়া অংশ টুকুকে শনাক্ত করার জন্য মার্কিং পেন দিয়ে মার্ক করে নিতে হবে। পাইপ কাটার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অংশ কেটে নিতে হবে।

- পাইপ কেটে এর দুইপ্রান্তে থ্রেড কাটতে হবে। পইিপের যে অংশ বাঁকা হবে তা চক দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজনমতো গ্রুভড ডিসক বেন্ডিং টুলসে ফিট করতে হবে। পাইপ বেন্ডিং টুলস-এর সাথে ফিট করতে হবে। ক্ল্যাম্প দিতে হবে। স্টার্টিং পয়েন্টের চিহ্ন পর্যন্ত রোলার চালনা করে ধীরে ধীরে পাইপ বাঁকা করতে হবে। এন্ডিং পয়েন্টের চিহ্ন পর্যন্ত রোলার চালনা করে থামাতে হবে।
- কাজের সর্বাঙ্গিন ফদ্ধাতিষ্ক পরীক্ষা করতে হবে।
একটি বাথরুমে প্লাম্বিং কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ফিটিংস ফিক্সার এবং মালামালের পরিচিতি ও ব্যবহার শনাক্তকরন:

- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম তালিকা প্রস্তুত করার পদ্ধতি:
যন্ত্রপাতি: ১। মেজারিং টুলস ২। মার্কিং টুলস ৩। কাটিং টুলস ৪। বোন্ডিং টুলস ৫। মাপমতো গ্রুভড ডিস্ক ৬। পাইপ ভাইস ৭। পাইপ রেঞ্জ ৮। চেইন পাইপ রেঞ্জ ৯। হ্যামার ১০। সিলিং কম্পাউন্ড ১১। অয়্যার ব্রাশ ১২। পাইপ কাটার ১৩। ডাই ও ভাইস্টক ইত্যাদি।

- মেজারিং টুলস ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় মাপ নিতে হবে।
- মাপ অনুযায়ী লাইন ডায়াগ্রাম আঁকতে হবে।

- অঙ্কিত লাইন ভায়াগ্রামে প্রয়োজনীয় ফিক্সার ও ফিটিংস-এর অবস্থান চিহ্নিত করতে হবে।


বিবকক, পিলার কক ও শাওয়ার স্থাপন করুন

- প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম-এর তালিকা প্রস্তুত ও সংগ্রহ করতে হবে।
যন্ত্রপাতি: ১। মেজারিং টুলস ২। মার্কিং টুলস ৩। হ্যাকস ৪। পাইপ কাটার ৫। ফাইল ৬। রিমার ৭। ডাই স্টক ৮। গ্রেড গেজ ৯। চিজেল ১০। হ্যামার ১১। পাইপ রেঞ্চ ১২। স্প্রিট লেভেল ১৩। স্লাইড রেঞ্জ ১৪। অয়েল ক্যান।
মালামাল: ১। পাইপ, জিআই, পিভিসি। বিভিন্ন সাইজ (১/২”, ৩/৪”, ১৩) ২। পাইপ ফিটিংস ৩। উড ক্রু ৪। সি ক্লাম্প ৫। সিমেন্ট ৬। বালি ৭। সুতা ৮। চক পাইভার ৯। সিলিং টেপ বা ব্রেড টেপ।
- নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে ফিক্সার ও ফিটিংস স্থাপন করতে পারবে। চিত্র অনুযায়ী দেয়ালে শাওয়ার রোজ ও বিব কক বসানোর জন্য স্থান নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনীয় মাপের জিআই পাইপ নিয়ে নির্দিষ্ট উচ্চতায় এলবো ও সংযোজনের কাজ সম্পন্ন কর। এলবোতে শাওয়ার রোজের এবং টিতে বিবকক এর সংযোগ দিতে হবে। শাওয়ার রোজ এবং বিষ ককের মাঝে স্টপ কক বসাতে হবে। স্টপ ককের সাহায্যে শাওয়ার রোজে পানি সরবরাহ ও বন্ধ করা হয়।

- পানি সরবরাহ করে কাজটি সঠিক হয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
- সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১। কাজ করার সময় হাতে হ্যান্ড গ্লোভস পরতে হবে কারণ যাতে হাতে কোনো ফোসকা না পড়ে।
২। কাজ করার সময় সু পরে থাকতে হবে।
৩। পানি সরবরাহ করে কাজটি সঠিক হয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
হাত বোয়ার বেসিন/সিংক স্থাপন করণ

- প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম তালিকা প্রস্তুত ও সংগ্রহ করতে হবে।
মালামাল: ১। লিড পাইপ ২। পিলার কক/মিক্সার ৩। রাবার গ্যাসকেট ৪। সিংক ৫। সিল ট্র্যাপ ৬। রং ৭। পুটিং ৮। ব্রাকেট ৯। বালু ১০। সিমেন্ট ১১। পানি নিরোধক প্লাস্টিক ট্র্যাপ।
যন্ত্রপাতি: ১। চিজেল ২। হ্যামার ৩। মেজারিং টেপ ৪। মার্কিং টুলস ৫। অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্জ ৬। স্পিরিট লেভেল ৭। ক্রু ড্রাইভার ৮। কর্নি ১। ম্যাশনারি ট্রে ইত্যাদি।
- নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে বেসিন/সিংক স্থাপন করতে দেওয়ালের পাশে পছন্দমতো স্থানে সিংক বসানোর জন্য স্থান নির্বাচন করতে হবে। মেঝে হতে প্রায় ৭১ সেঃমিঃ উচ্চতায় বেসিনের উভয় পাশে দুটি ব্রাকেট বসানোর স্থান চিহ্নিত করতে হবে। চিজেলের সাহায্যে দেয়ালে মাপমতো ছিদ্র করে ব্রাকেট বসাতে হবে এবং লেভেল যাচাই করতে হবে। কংক্রিট সেট হবার পর সিংককে ব্রাকেটের উপর স্থাপন করতে হবে। সিংকের সাথে স্ট্রেইনার ট্র্যাপ এবং ওয়েস্ট ওয়াটার পাইপের সংযোগ দিতে হবে। এখন সিংকের উপর লিংক কক এর সংযোগ দিতে হবে

- পানি সরবরাহ করে কাজটি সঠিক হয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে:
- কাজ করার সময় শরীরের নিরাপত্তার জন্য পোশাক পরিধান করতে হবে। যেমন: অ্যাপ্রোন, হ্যান্ড গ্লোভস, সেফটি গগলস, সেফটি সু, সেফটি হেলমেট ইত্যাদি।

ওয়াটার রুলেট/সিসটার্ন/কমোড/ইউরিন্যাল স্থাপন করতে পারবে

- প্রয়োজনীয় মালামাল: ১। লিড পাইপ ২। প্লাস্টিক ফ্লাশ পাইপ ৩। সিল ট্র্যাপ ৪। ফ্রেটি বল ৫। রং ৬। পুটিং ৭। স্টপকক ৮। ফ্লাশিং সিস্টান ৯। ব্র্যাকেট ১০। সিমেন্ট ১১। বালি ১২। খোয়া, পানি ইত্যাদি।
- যন্ত্রপাতি: ১। বৈদ্যুতিক হ্যান্ড ড্রিল ২। হ্যামার ৩। অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্জ ৪। স্পিরিট লেভেল ৫। মেজারিং টেপ ৬। মার্কিং টুলস ৭। ক্রু ড্রাইভার ৮। কর্নি ৯। ওলন ১০। ম্যাশনারি ট্রে ইত্যাদি।
চিত্র অনুযায়ী দেয়ালের গায়ে শৌচ পাত্রের ঠিক ওপরে পছন্দমতো স্থানে হাই লেভেল ফ্লাশিং সিস্টার্ন বসানোর জন্য স্থান নির্বাচন করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ফ্লাশিং সিস্টার্ন এর তলদেশে মাঝ স্থানের সাথে ক্লাশ পাইপ দিয়ে মল পাত্রের রিমের যোগাযোগ রাখতে হবে। মল পাত্র হতে প্রায় ১২০ সেঃমিঃ হতে ১৮০ সেঃমিঃ উচুতে হাই-লেভেল ফ্লাশিং সিস্টার্ন বসাতে হবে। ঐ অনুসারে ফ্লাশিং সিস্টার্ন-এর উভয় পাশে ব্রাকেট বসানোর স্থান চিহ্নিত করতে হবে। বৈদ্যুতিক হ্যান্ড ড্রিলের সাহায্যে দেয়ালের পায়ে মাপমতো ছিদ্র করে ব্রাকেট বসিয়ে লেভেল যাচাই করতে হবে।
কংক্রিট দিয়ে ব্রাকেট দুটিকে দেয়ালের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করতে হবে। কংক্রিট পুরোপুরি জমাট বাঁধার পর ফ্লাশিং সিস্টার্নটি ব্রাকেটের ওপর স্থাপন করতে হবে। এবার ফ্লাশিং সিস্টার্ন এর তলদেশে মাঝ স্থানের সাথে ফ্লাশ পাইপ দিয়ে মল পাত্রের রিমেকে সংযুক্ত করতে হবে। এখন ফ্লাশিং সিস্টার্নের ঢাকনার ওপরে অবস্থিত লিভারের এক প্রান্তে ফ্লোট বল এবং অপর প্রান্তে শিকলের সংযোগ দিতে হবে। পরিশেষে লেড পাইপ বা প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে স্টপ কক এবং ফ্লাশিং সিস্টার্নের লিড পাইপে সংযোগ দিতে হবে।


- পানি সরবরাহ করে শিকলটি টেনেই সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দিলে পানি সবেগে ফ্লাশ পাইপ ও স্লিম দিয়ে মল পালে গিয়ে পড়ে। মল পাত্রের ময়লা ধুয়ে মল নলে বয়ে নিয়ে যায়।

- কাজ করার সময় শরীরের নিরাপত্তার জন্য PPE পরিধান করতে হবে। যেমন: অ্যাপ্রোন, হ্যান্ড গ্লোভস, সেফটি গগলস, সেফটি সু, সেফটি হেলমেট ইত্যাদি।

সিঙ্গেল ফেজ মোটর পাম্প সংযোগ করণ
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করতে হবে।
ভাইস | সাইড কাটিং প্লায়ার্স | হ্যাকস | সোল্ডারিং আয়রন |
সোলডার সাকার | ওয়্যার ব্রাশ | নাইফ | ইনস্পেকশন পগল্স |
মেটাল স্ক্রাইবার | ডেন্টাল মিরর | ম্যাগনিফাইং গ্লাস | ড্রিল মেশিন |
ডায়াগনাল কাটিংপ্লারার্স | নোজ প্লায়ার্স | ক্রু-ড্রাইভার | নিয়ন ল্যাম্পটেস্টার |
স্প্যানার্স | অ্যালেন কি | হেক্সাগন | অফসেট ক্রু ড্রাইবার |
ফ্লাট ফাইল | ব্যান্ড ফাইল | রিপার ফাইল | রাউন্ড ফাইল |
ট্রাই এঙ্গোলার ফাইল | হাফ রাউন্ড ফাইল | অ্যাডজাস্ট্যাবল রেঞ্জ | বক্র স্প্যানার্স |

- জুড্রাইভার ব্যবহার করে সুইচ ও সকেটের কভার খুলতে হবে।
- সুইচ ও সকেটের অবস্থান চিহ্নিত করতে হবে।
- পাম্প মোটরের সাথে ফেজ, নিউট্রাল ও আর্থিং তার সংযোগ করতে হবে।
- নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১) ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ক্রু খোলার সময় সঠিক দিকে প্যাঁচ খুলতে হবে।
২) পাম্প মোটরের ফেজ, নিউট্রাল ও আর্থিং টার্নিমাল সঠিক হতে হবে।

নিরাপদ কর্ম পদ্ধতি:

চ্যানেল ওয়্যারিং সম্পন্ন করন
- প্রয়োজনীয় মালামাল ও যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরি ও সংগ্রহ করতে হবে।
ভাইস | সাইড কাটিং প্লায়াস | হ্যাক-স | সোল্ডারিং আয়রন |
সোলডার সাকার | ওয়্যার ব্রাশ | নাইফ | ইনস্পেকশন গগলস |
মেটাল স্ক্রাইবার | ডেন্টাল মিরর | ম্যাগনিফাইং গ্লাস | ড্রিল মেশিন |
ডায়াগনাল কাটিংপ্লায়ার্স | নোজ প্লায়ার্স | স্ক্রু ড্রাইভার | নিয়ন ল্যাম্পটেস্টার |
স্প্যানার্স | অ্যালেন কি | হেক্সাগন | অফসেট স্ক্রু ড্রাইবার |
ফ্লাট ফাইল | হ্যান্ড ফাইল | রিপার ফাইল | রাউন্ড ফাইল |
ট্রাই এঙ্গোলার ফাইল | হাপ রাউন্ড ফাইল | অ্যাডজাস্ট্যাবল রেঞ্চ | বক্স স্প্যানার্স |
মালামাল:
১. পিভিসি চ্যানেল
২. রয়্যাল প্লাগ
৩. উড ক্রু
৪. জয়েন্ট বক্স
৫. ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড
৬. সার্কিট ব্রেকার
৭. পিয়ানো সুইচ
৮. টু পিন সকেট
৯. সিলিং রোজ
১০. সুইচ বোর্ড
১১. তারকাঁটা
১২. মেইন সুইচ
১৩. ল্যাম্প হোল্ডার
১৪. সিলিং ফ্যান
১৫. বাতি
১৬. ইনসুলেটিং টেপ
১৭. সিঙ্গেল কোর তার (লাল ও কালো)
- প্রথমে বাড়ির লে-আউট প্লান দেখে ওয়্যারিং-এর প্লান অঙ্কন করতে হবে। প্লান অনুযায়ী বাড়ির সমস্ত দেয়ালে ও সিলিং এ যেখানে ওয়্যারিং যাবে সেইখানে মোটা সুতাতে রঙিন চক পাউডার এর গুঁড়া লাগিয়ে দেয়ালে দাগ টানতে হবে এবং পয়েন্টের স্থানগুলি চিহ্নিত করতে হবে।
- ঐ দাগের উপর চ্যানেল-এর বেজ আটকানোর জন্য ৬০ সেন্টিমিটার অন্তর অন্তর দেয়ালে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে বেজ প্লাগ লাগাতে হবে।
- ওয়্যারিং যেখানেই বেঁকে যাবে, সেখানে চ্যানেলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় মাপের কর্নার লাগিয়ে নিতে হবে এবং কর্নারের উপর কোনো তারকাঁটা লাগানো উচিত নয়। এক কক্ষ হতে অন্য কক্ষে তার নিতে হলে দেয়াল ছিদ্র করে পিভিসি পাইপের মাধ্যমে নিতে হবে
- চ্যানেল দেয়ালে ফিটিং হয়ে গেলে প্রতি পয়েন্টের জন্য একটি একটি করে প্লাস্টিক বক্স বা প্রয়োজনীয় সাইজের বক্স লাগিয়ে প্রয়োজনীয় সাইজের ক্রু দিয়ে দেয়ালের সঙ্গে আটকে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যে কোনো বক্স ব্লক এর প্রান্ত দিয়ে ওয়্যারিং ভিতরে প্রবেশ করবে। সেই প্রান্ত চ্যানেলের সাইজ অনুযায়ী কর্তন করে চ্যানেল এর মাথা সুথ করে চ্যানেল এর প্রান্ত ঢুকিয়ে আটকে দিতে হবে। একই নিয়মে অন্য বক্সগুলিও লাগাতে হবে।
- সমস্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়ে গেলে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুযায়ী লোড হতে তার টেনে ওয়্যারিং করে সমস্ত ফিটিংস লাগাতে হবে এবং চ্যানেল-এর কভার লাগিয়ে ওয়্যারিং এর কাজ শেষ করতে হবে।
- মেগার বা অন্য মেজারিং মিটার ব্যবহার করে ওয়্যারিং-এর শুদ্ধাশুদ্ধি নিরীক্ষা করতে হবে।
- সতর্কতা অলম্বন করতে হবে।
১. চ্যানেল সোজা ভাবে বসাতে হবে।
২. হ্যান্ড টুলস-এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
৩. তারের জয়েন্টসমূহ নিয়ম মেনে দিতে হবে এবং সংযোগস্থল টেপিং করতে হবে।
৪. মেইন সুইচ, সুইচ বোর্ড ও অন্যান্য ল্যাম্প হোল্ডারে পজিটিভ ও নেগিটিভ সংযোগ সঠিক নিয়মে দিতে হবে।
সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং সম্পন্ন করতে পারবে
- প্রয়োজনীয় মালামাল ও যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরি ও সংগ্রহ করতে হবে।
ভাইস | সাইড কাটিং প্লায়াস | হ্যাক-স | সোল্ডারিং আয়রন |
সোলডার সাকার | ওয়্যার ব্রাশ | নাইফ | ইনস্পেকশন গগল্স |
মেটাল স্ক্রাইবার | ডেন্টাল মিরর | ম্যাগনিফাইং গ্লাস | ড্রিল মেশিন |
ডায়াগনাল কাটিংপ্লায়ার্স | নোজ প্লায়ার্স | স্ক্রু-ড্রাইভার | নিয়ন ল্যাম্পটেস্টার |
স্প্যানার্স | অ্যালেন কি | হেক্সাগন | অফসেট স্ক্রুড্রাইবার |
ফ্লাট ফাইল | হ্যান্ড ফাইল | রীপার ফাইল | রাউন্ড ফাইল |
ট্রাই এঙ্গোলার ফাইল | হাপ রাউন্ড ফাইল | অ্যাডজাস্ট্যাবল রেঞ্চ | বক্স স্প্যানাস্ |
মালামাল:
১. কন্ডুইট পাইপ (লোহা/পিভিসি)
২. রয়্যাল প্লাগ
৩. উড ক্রু
৪. জয়েন্ট বক্স
৫. ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড
৬. সার্কিট ব্রেকার
৭. পিয়ানো সুইচ
৮. টু পিন সকেট
৯. সিলিং রোজ
১০ সুইচ বোর্ড
১১. তারকাঁটা
১২. মেইন সুইচ
১৩. ল্যাম্প হোল্ডার
১৪. সিলিং ফ্যান
১৫. বাতি
১৬. ইনসুলেটিং টেপ
১৭. সিঙ্গেল কোর তার (লাল ও কালো
- নিম্নলিখিত কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করতে হবে:
১) ওয়্যারিং করার জন্য কন্ডুইট পাইপ প্রয়োজনীয় মাপের প্রথমেই কেটে নিতে হবে। কড়ুইট পাইপ হ্যাকসো অথবা পাইপ কাটার দিয়ে কর্তন করা যায়।
২) স্টক ও ডাইয়ের সাহায্যে কন্ডুইটের প্রান্তদ্বয় প্যাঁচ কেটে নিতে হবে।
৩) কন্ডুইটের মাথাগুলি রিমার দিয়ে মসৃণ করে দিতে হবে।
৪) কন্ডুইট পাইপ সাধারণত ঠান্ডা অবস্থায় পাইপ বেল্ডার দিয়ে বাঁকা করা যায়। কন্ডুইট পাইপ কখনও ৯০০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো যাবে না।
৫) কন্ডুইট পাইপ দেয়ালের উপর স্যাডেলের সাহায্যে আটকাতে হয়। স্যাডেলগুলি ১২০ সেন্টিমিটার অন্তর অন্তর উডেন ক্রুর সাহায্যে আটকাতে হয় এবং আর্থিং ক্লিপের সাহায্যে আর্থিং তারও টানতে হয়।
৬) কন্ডুইট পাইপ সোজা করে বসানো হয়ছে কিনা তা স্পিরিট লেভেল দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
৭) কদুইট পাইপ বসানোর সময় প্রয়োজনীয় সাইজের জিআই তার পাইপের মধ্যে পরিয়ে বাখতে হবে। কেননা এই জিআই তারের সাহায্যে পিভিসি অথবা আইআর ক্যাবল বা তার পাইপের মধ্য দিয়া যাতে টানা যায়।
- সতর্কতা অলম্বন করতে হবে:
১. চ্যানেল সোজা ভাবে বসাতে হবে।
২. হ্যান্ড টুলস-এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
৩. তারের জয়েন্টসমূহ নিয়ম মেনে দিতে হবে এবং সংযোগস্থল টেপিং করতে হবে।
৪. মেইন সুইচ, সুইচ বোর্ড ও অন্যান্য ল্যাম্প হোল্ডারে পজিটিভ ও নেগিটিভ সংযোগ সঠিক নিয়মে দিতে হবে।

আর্থিং করার দক্ষতা অর্জন
- প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন ও সংগ্রহ করতে হবে।
- সঠিক নিয়ম মেনে আর্থ ইলেকট্রোড স্থাপন করতে হবে।
- মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করে আর্থ কন্টিনিউটি ওয়্যার স্থাপন ও কন্টিনিউটি টেস্ট করতে হবে।
জব তালিকা
১. একটি ত্রুটিপূর্ণ দরজা/জানালা মেরামত করার দক্ষতা অর্জন।
২. একটি ত্রুটিপূর্ণ দরজা/জানালার পলিশ করার দক্ষতা অর্জন।
৩. মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের মালামালের মার্কেট সার্ভে করতে সক্ষম হবে।
৪. ধাতব ও পিভিসি পাইপ বাঁকাকরণ।
৫. একটি বাথরুমের প্লাম্বিং কাজের লাইন ডায়াগ্রাম অঙ্কন করে বিভিন্ন ফিক্সার ও ফিটিংসের স্থান চিহ্নিতকরণ।
৬. বিবকক, পিলার কক ও শাওয়ার স্থাপনকরণ।
৭. হাত ধোয়ার বেসিন/সিংক স্থাপন করণ।
৮. ওয়াটার ক্লসেট/সিসটার্ন/কমোড/ইউরিন্যাল স্থাপনকরণ।
৯. সিঙ্গেল ফেজ মোটর পাম্প সংযোগ করার দক্ষতা অর্জন।
১০. চ্যানেল ওয়্যারিং সম্পন্ন করার দক্ষতা অর্জন।
১১. সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং সম্পন্ন করার দক্ষতা অর্জন।
১২. আর্থিং করার দক্ষতা অর্জন।
আরও দেখুন :