আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – ব্যবহারিক প্রথম পত্র যা বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত। শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
Table of Contents
ব্যবহারিক প্রথম পত্র
কাঠের কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস শনাক্ত করা
কাঠের কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস-এয় ভালিকা তৈরি করায় পদ্ধতি
কাঠের কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস এর ব্যবহার করার পদ্ধতি
কাঠের কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস-এর রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের নিরাপত্তা সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করার পদ্ধতি
টুলসমূহ শার্প রাখা
একটি woodshop-এর টুলের অধিকাংশই একই কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয় না। স্বাতাবিকভাবেই, টুল রক্ষণাবেক্ষণ-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক এদের কাটার প্রান্ত যতটা সম্ভব ধারালো রাখা। আসলে, নিরাপত্তা এবং কাঠের মান একটি ভালো হাত সরঞ্জামের মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব। রাউটার বিট প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন যখন তাদের প্রান্ত ভোঁতা বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে। একটা ভোঁতা ড্রিল বিট জীর্ণ গর্ত-প্রান্ত এবং দহন- এর কারণ হতে পারে। এ কারণে সর্বদা উন্নত মানের ড্রিল বিট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
হ্যান্ড টুল যেমন- প্লেন, chisels, gauges এবং এদের মতো অন্যান্য হ্যান্ড টুলের পর্যাপ্ত তীক্ষ্ণতর সিস্টেমের প্রয়োজন হয়। দুটি জিনিস করার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা যায়। এক, যথার্থ প্রান্ডিং সরঞ্জাম ব্যবহার করে সঠিক পদ্ধতি ও আকৃতিতে টুল ধার করা এবং দুই, পরবর্তী ধাপের নিখুঁত প্রান্ত থেকে এটা বাড়াতে হবে। হাত সরঞ্জাম কাঠের জন্য স্পষ্টরূপে করবে যদি একটি উন্নত তীক্ষ্ণতর সিস্টেম বিনিয়োগ-এর বিবেচনা করেন।

যন্ত্রপাতির সঠিক কর্মক্ষমতা বজায় রাখা।
কাঠের যন্ত্রপাতি সাধারণত একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রান্তিককরণ বা এলাইনমেন্ট করা থাকে। কিন্তু ক্রমাগত কম্পন এবং ব্যবহারের কারণে তাদের সমন্বয়ে সঠিক কর্মক্ষমতা বজায় থাকে না। কীভাবে টুল ব্যবহার হবে এবং কীভাবে সেরা ফর্মে রাখা যাবে তার বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ এবং নিয়মিত পরীক্ষা করে যন্ত্রপাতির সঠিক কর্মক্ষমতা বজায় রাখা সম্ভব।
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার এবং মসৃণ রাখা।
যন্ত্রপাতির সঠিক কর্মক্ষমতা ঘর্ষণজনিত কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাঠের গুঁড়োর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ধূলিকণা সংগ্রহ সিস্টেমের ব্যবস্থা করে পরিষ্কার রাখার মধ্যমে যথাযথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যন্ত্রপাতির পৃষ্ঠতলের যে অংশ কাঠ-এর সংস্পর্শে থাকে সে স্থানে সঠিকভাবে লুব্রিকেটিং করা প্রয়োজন। দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষার জন্য নিয়মিত বিয়ারিং এবং চলন্ত অংশসমূহে পর্যায়ক্রমিক পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়মিত লুব্রিকেটিং করা প্রয়োজন।

যন্ত্রপাতির চলমান মসৃণ রাখা।
পাওয়ার টুলস-এর সকল সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ভারী ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়। সঠিক কাজের জন্য যথাযথভাবে তাদের যান্ত্রিক অংশসমূহের মসৃণ চলার ব্যবস্থা নিতে হবে। সঠিকভাবে লুব্রিকেটিং করা এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করার জন্য বিবেচনার সঙ্গে বরাবর যান্ত্রিক আপগ্রেড-এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা।
সকল সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির একটি রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি এবং একটি রক্ষণাবেক্ষণ সময়সূচি স্থাপন করে নিয়মিত প্রতিরোধমূলক এবং প্রতিশোধকমূলক ব্যবস্থা-এর মাধ্যমে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
কাঠ মসৃণ-করণ এবং হাফ ল্যাপ ক্রল জয়েন্ট দেওয়া
প্রয়োজনীয় সাইজের কাঠ সংগ্রহ করার পদ্ধতি:
চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাইজের কাঠ সংগ্রহ করতে হবে।
- সংগৃহীত দুই টুকরা কাঠ মসৃণ করার পদ্ধতি:

- সংগৃহীত দুই টুকরা কাঠ ল্যাগ ও ক্রস জয়েন্টের জন্য প্রয়োজনীয় খাঁজ কাটার পদ্ধতি:

- মসৃণকৃত দুই টুকরা কাঠ দিয়ে হাফ ল্যাপ ক্রস জয়েন্ট তৈরি করার পদ্ধতি:

কাঠের টেনন ও ফরটাইজ জয়েন্ট তৈরি করা
সাইজ অনুযায়ী দুই টুকরা কাঠ সংগ্রহ করার পদ্ধতি।
চাহিলা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাইজের কাঠ সংগ্রহ করতে হবে।
- দুই টুকরা কাঠে মরটাইজ ও টেনন কাটার জন্য পেন্সিল দিয়ে দাগ করার পদ্ধতি:

- করাত এবং বাটাল দিয়ে মরটাইজ এবং টেনন কাটার পদ্ধতি:

- ট্রেসন ও মরটাইজ জোড়া তৈরি করে পরীক্ষা করার পদ্ধতি:

চৌকাঠে ব্যবহৃত ভাবটেইল জোড়া তৈরি
- দুই টুকরা কাঠের টপ ও সাইড পাশাপাশি সেট করে জোড়ের দাগ করার পদ্ধতি:

- দাগ অনুসারে জোড় প্রান্তে ডাবটেইল কর্তন করার পদ্ধতি:

- তাবটেইল জোড় সেট করে পরীক্ষা করায় পদ্ধতি:

বিল্ডিং এর দরজা-জানালায় চৌকাঠ সেট করা
- চৌকাঠের সাইডে ৩টি করে ৬টি ক্লাম্প সেট করার পদ্ধতি:

- ক্লাম্পের মাপ অনুসারে দেয়ালে গ্রুভ করায় পদ্ধতি:

- স্পিরিট লেভল ও ওলন দিয়ে লেবেল পরীক্ষা করায় পদ্ধতি:

- কাঠের খিল দিয়ে চৌকাঠ জাম করার পদ্ধতি:

- দেয়ালের গুঁতে সিমেন্ট কংক্রিট দিয়ে চৌকাঠ সেট করার পদ্ধতি:

চৌকাঠে দরজা/জানালার পাল্লা সেট করা
- দরজা/জানালার মাপ অনুসারে পাল্লাতে দাগ দেয়ার পদ্ধতি:
মার্কিং গেজ ও মার্কিং ছুরি ব্যবহার করে পাল্লাতে কবজার একটি অবস্থানসূচক সুনির্দিষ্ট বিন্যাস লাইন ঠিক করতে হবে। সঠিকতার জন্য কবজা থেকে সরাসরি সকল সেটিংস নিতে হবে।
ক) প্রস্থের পরিকল্পনা করা: মার্কিং গেজ ব্যবহার করে প্রথমে কবজার প্রস্থ অনুযায়ী পাল্লাতে দাগ টানতে হবে।

খ) গভীরতার পরিকল্পনা করা: এবার মার্কিং গেজ ব্যবহার করে কবজার পুরুত্ব অনুযায়ী পাল্লাতে দাগ টানতে হবে।

গ) দৈর্ঘ্যের পরিকল্পনা করা: প্রস্থ এবং গভীরতা লিপিবদ্ধ করার পর অবস্থানসূচক অবস্থানে কবজা রাখা এবং উভয় প্রান্তে একটি সুনির্দিষ্ট টিক চিহ্ন কাটা।

- বাটাল দিয়ে কবজার খাঁজ কেটে স্ক্রু দিয়ে কবজা সেট করার পদ্ধতি:
কবজার খাঁজ কাটা: হাত বা মেশিন দিয়ে খাঁজ কাটা বাল্ক খুঁজে পরিষ্কার করার সময় বিন্যাস লাইন ঠিক করে নিতে হয়।
বর্জ্য আউট করা: একটি বাটালি ব্যবহার করে, এক দিকে ধারাবাহিকভাবে কাটতে হবে। এবার অন্য দিক থেকে কেটে কাঠের ছোট অংশগুলো তুলতে হবে

সুঙ্খভাবে খাঁজ কাটা: একটি ধারালো বাটালির সাহায্যে কাটা খাঁজ-এর ধারগুলোকে সুক্ষ্মভাবে মসৃণ করতে হবে।

দরজায় কবজা সংযুক্ত: কেন্দ্র ভু-এর জন্য মার্ক করা এবং সেই অনুযায়ী খাঁজ কাটা। একটি ইস্পাতের ক্রু কবজায় ক্রু ড্রাইভারের সাহায্যে সংযুক্ত করা হয়।
- পাল্লা চৌকাঠে বসিয়ে কবজার দাগ দিতে পারার পদ্ধতি:
মার্ক কেস: পাল্লার মধ্যে mortises কাটিং দরজায় Stiles এর স্থানে মার্কিং করতে হবে কবজা সম্পূর্ণরূপে খোলা দরজা স্লিপ থেকে কবজার অবস্থানে মার্কিং করতে হবে দরজা কীলক অবস্থানে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে মার্কিং করতে হবে।

- বাটাল দিয়ে কবজার খাঁজ কেটে চৌকাঠে কবজা সেট করার পদ্ধতি:
কবজার অবস্থান নির্ণয়: ঠিক দরজার মাপ অনুযায়ী পাল্লায় কবজার অবস্থানে খাঁজ কাটতে হবে।
- পাল্লা চৌকাঠের সাথে সঠিকভাবে লাগানো হলো কি না পরীক্ষা:
একটি ট্রিপিক্যাল দরজার কবজা চৌকাঠ এবং পাল্লা একই দূরতে মার্কিং করে চৌকাঠের সাথে পাল্লা লাপাতে হবে।
পাল্লাতে (দরজা/জানালা) হাতন ছেজবোল্ট ও ছিটকিনি স্থাপন করা
- পাল্লার মাঝখানে হাতল লাগানোর পদ্ধতি:

- হাতলের নিচে হেজবোল্ট লাগানোর পদ্ধতি:

- হেজবোল্ট লাগানোর জন্য চৌকাঠে ছিদ্র করার পদ্ধতি
- দরজা আটকিয়ে হেজবোল্ট ও ছিটকিনি পরীক্ষা করার পদ্ধতি:

দরজার পাল্লাতে মরটাইজ ও নব তালা লাগানো
- পাল্লার নিচ থেকে উপরে তালার দাগ দিতে পারায় পদ্ধতি:

- মরটাইজ কালার জন্য পাল্লাতে মরটাইজ, প্রেত কাটার পদ্ধতি

- নব তালার জন্য পাল্লাতে ছিদ্র করার পদ্ধতি:

- তালা পাল্লাতে সেট করার পদ্ধতি:

- জালার লিভারের মাঝে চৌকাঠে খাঁজ কাটার পদ্ধতি:

পাল্লার তালা চাবি দিয়ে পরীক্ষা করে সেটিং পরীক্ষা করে দেখার পদ্ধতি:
বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস শনাক্তকরণ:
বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস-এর তালিকা তৈরি করার পদ্ধতি:
১. ভাইস | ২. সাইড কাটিং প্লায়ার্স | ৩. হ্যাক-স | ৪. সোল্ডারিং আয়রন |
৫. সোল্ডার সাকার | ৬. ওয়্যার ব্রাশ | ৭. নাইফ | ৮. ইনস্পেকশ গগলস |
৯. মেটাল ক্রাইবার | ১০. ডেন্টাল মিরর | ১১. ম্যাগনিফাইং প্লাস | ১২. ড্রিল মেশিন |
১৩. ডায়াগনাল কাটিং প্লায়ার্স | ১৪. নোজ প্লায়ার্স | ১৫. ভু-ড্রাইভার | ১৬. নিক্সন ল্যাম্পটেস্টার |
১৭. স্প্যানার্স | ১৮. অ্যালেন কি | ১৯. হেক্সাপন | ২০. অফসেট ফ্লু-ড্রাইবার |
২১. ফ্রুটি ফাইল | ২২. হ্যান্ড ফাইল | ২৩. রীপার ফাইল | ২৪. রাউন্ড ফাইল |
২৫. ট্রইি-ক্ষরার | ২৬. হাক রাউন্ড ফাইল | ২৭. অ্যাডজাস্ট্যাবল ফাইল | ২৮. ব্লক স্প্যানার্স |
- বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস-এর ব্যবহার উল্লেখ করার পদ্ধতি:
১। ইলেকট্রিশিয়ান চালু (Electrician Knife): বিশেষভাবে তৈরি দুই ব্লেডওয়ালা ইস্পাতের চাকু বৈদ্যুতিক কাজে ইলেকট্রিশিয়ানগণ ব্যবহার করে থাকেন; তাই একে ইলেকট্রিশিয়ান চাকু বলা হয়। এর একটি ব্লেড ধারালো এবং অপরটি ভোঁতা থাকে। ধারালো ব্লেডটি তারের ইনসুলেশন কাটার কাজে এবং ভৌভাটি তার পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
চিত্র: ইলেকট্রিশিয়ান চাকু
২। কম্বিনেশন প্লায়ারস (Combination Pliers): কম্বিনেশন প্লায়ারস সাধারণত তার কাটা এবং তার মোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। এর হাতল ইনসুলেট করা থাকে। তাই এর সাহায্যে যে লাইনে কারেন্ট আছে সে লাইনেও কাজ করা যায়। এ প্লায়ারসকে নাট খোলার কাজে ব্যবহার না করাই ভালো। এতে প্লায়ারস এবং নাট উত্তরেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চিত্র: প্লায়ারস
৩। অ্যাডজাস্ট্যাবল প্লায়ারস (Adjustable Pliers): যে সমস্ত পুরু পাত বা মোটা জিনিস কম্বিনেশন প্লায়ার দিয়ে ধরা যায় না সেসব জিনিস ধরার জন্য অ্যাডজাস্ট্যাবল প্লায়ারস ব্যবহার করা হয়
চিত্র: অ্যাডজাস্ট্যাবল প্লায়ারস
৪। লং নোজ প্লায়ারস (Long Nose Pliers): চিকন তার প্যাঁচানো এবং খুব ছোট জিনিস ধরার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। এটাও ইস্পাতের তৈরি এবং হাতল ইনসুলেটেড করা থাকে।
চিত্র: নোজ প্লায়ারস
৫। ভাইপোনাল কাটিং প্লায়ারস (Diagonal Cuting Pliers): ডাইগোনাল কাটিং প্লারারস ইস্পাতের তৈরি এবং এর হাতল ইনসুলেট করা থাকে। তার কাটার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।
চিত্র: ভাইপোনাল কাটিং প্লায়ারস
৬। কানেকটিং ফু ড্রাইভার (Connecting Screw Driver): সুইচ, হোল্ডার, সিলিং রোজ এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে ব্যবহৃত ছোট ক্রু খোলা ও লাগানোর কাজে এ জুড্রাইভার ব্যবহার করা হয়।
চিত্র: ক্রু ড্রাইভার
৭। ক্রু ড্রাইভার (Screw Driver): ক্রু খোলা ও লাগানোর কাজেই প্রধানত ক্রু ড্রাইভার ব্যবহৃত হয়। ক্রু মাথার প্লটের আকার অনুযায়ী ক্রু খোলা ও লাগানোর কাজে সঠিক ক্রু ড্রাইভার ব্যবহার করতে হয়। অন্যথায় ক্রুর মাথা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং পরে খোলা বা লাগানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেয়। ক্রু ড্রাইভারের হাতল সাধারণত ইনসুলেটিং পদার্থের তৈরি হয়। একে ফ্লাট ক্রু ড্রাইভারও বলা হয়।
চিত্র: ফ্লাট ক্রু ড্রাইভার
৮। ফিলিপস ক্রু ড্রাইভার (Philip’s Screw Driver): ফিলিপস ক্রু খোলা ও বন্ধ করার কাজে ফিলিপস ফু ড্রাইভার ব্যবহৃত হয়। ফিলিপস ক্রু ড্রাইভারের মাখা স্টারের মতো খাকে বলে একে স্টার ক্রু ড্রাইভারও বলা হয়।
চিত্র: স্টার ক্রু ড্রাইভার
৯। টেস্টার (Tester): বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করার পূর্বে লাইনে সাপ্লাই আছে কিনা তা জানার জন্য টেস্টার ব্যবহৃত হয়। টেস্টারের ভিতর একটি ছোট বালু থাকে। লাইনে কারেন্ট থাকলে বালুটি জ্বলে ওঠে। টেস্টারের হাতল ইনসুলেটিং পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। বৈদ্যুতিক সরজানের ছোট ছোট ক্রু খোলা ও লাগানোর কাজেও টেস্টার ব্যবহার করা হয়।
চিত্র: টেস্টার
১০। পোকায় (Poker): কাঠের কেজিৎ বা বাক্সে ক্রু ঢুকাবার জন্য প্রাথমিক ছিদ্র করতে ব্যবহৃত হয়।
চিত্র: পোকার
১১। করাত (Saw): কাঠের কেজিৎ, ব্লক, বোর্ড, ব্যাটেন ইত্যাদি কাটার জন্য করাত ব্যবহার করা হয়। একে টেনন করাত বলে। আবার কণ্ডুইট পাইপ, জিআই পাইপ ইত্যাদি কাটার জন্য যে করাত ব্যবহার করা হয় তাকে লৌহ কাটার করাত বা হ্যাক ‘স’ (Hack Saw) বলে।
চিত্র: করাত/হ্যাক ‘স’
১২। হাতুড়ি (Hammer): বিভিন্ন ধরনের হাতুড়ি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে বল পিন ও ক্রুস পিন হাতুড়ি উল্লেখযোগ্য। বৈদ্যুতিক কাজে প্রখানভ ক্রস পিন হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়। তবে তামার তার বা পাতকে সোজা করার কাজে এক ধরনের কাঠের হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়, যাকে ম্যালেট (Mallet) বলা হয়।

১৩। বৈদ্যুতিক ঝালাই লোহা (Electric Soldering Iron): ছোটখাটো জয়েন্ট এবং অন্যান্য টার্মিনাল ঝালাই করার কাজে ঝালাই লোহা বা ইলেকট্রিক সোল্ডারিং আয়রন ব্যবহার করা হয়। বাজারে বিভিন্ন ওয়াটের ঝালাই লোহা পাওয়া যায়।

১৪। অ্যাডজাস্ট্যাবল রেঞ্চ: বাজারে বিভিন্ন মাপের অ্যাডজাস্ট্যাবল রেঞ্চ পাওয়া যায়। বিভিন্ন সাইজের নাট খোলা ও লাগানোর কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

১৫। পাইপ রেঞ্চ (Pipe Wrench): কন্ডুইট ও জিআই পাইপ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন করার সময় পাইপ রে সাহায্যে শক্ত করে ধরে এর প্যাঁচ খোলা বা লাগানো হয়

১৬। ড্রিল মেশিন (Drill Machine): পাতলা ধাতব পাত, কাঠের ব্লক, ব্যাটেন ইত্যাদিতে ছিদ্র করার কাজে হস্তচালিত ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হয়। একে হ্যান্ড ড্রিল মেশিন বলে। পুরু ধাতব পাত, দেয়াল ইত্যাদি ছিদ্র করার কাজে ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে ছিদ্র করার জন্য এতে বিভিন্ন আকারে ফ্রিল বিট লাগানো যায়।

১৭। প্লাম্ব বব (Plumb Bob): দেয়ালের ওয়্যারিংয়ে খাড়া লাইন টানার সময় লাইন সোজা হলো কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য প্লাম্ব বব ব্যবহৃত হয়।

১৮। ছেনি (Chisel): কনসিন্ড ওয়্যারিং-এর ক্ষেত্রে কংক্রিট বা ইটের দেয়াল কাটা বা ছেদা করার কাজে যে ধরনের ছেনি ব্যবহার করা হয়, তাকে কোক চিজেল বলে। আবার কাঠের ব্লক বা ব্যাটেনে প্রয়োজনীয় কাঁটা-ছেঁড়ার জন্য যে হেনি ব্যবহার করা হয়, তাকে কাঠের বাটালি বা উদ্ধ চিজেল (Wood Chisel) বলে।

১৯। রয়েল প্লাগ চিজেন্স (Rawl Plug Chisel): দেয়ালে রয়েল প্লাগ বসানোর জন্য ছিদ্র করতে হয়। এ জিন্ন সাধারণত ফ্রিল মেশিনের সাহায্যে করা হয়। ড্রিল মেশিন ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে দেয়ালে ছিদ্র করতে এক ধরনের ছেনি ব্যবহার করা হয়, যাকে রয়েল প্লাস ছেনি বলা হয়।
২০। জ্যালেন রেক (Allen Wranch): কম পরিসরবিশিষ্ট জায়গায় যেখানে অন্য রেফ ঢুকানো যায় না সেখানে নাট-বোল্ট খোলায় কাজে অ্যালেন রেঞ্চ ব্যবহৃত হয়।

২১। স্লিপ (Snip): পাতলা মেটালিক শিট কর্তনের কাজে ক্লিপ ব্যবহার করা হয়। ক্লিপ সোজা, বাঁকা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের হয়।

২২। পাইপ কাটার (Pipe Cutter): কহুইট বা জিআই পাইপ কাটার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

উপরোক্ত যন্ত্রপাতি ছাড়াও বৈদ্যুতিক কাজে বিভিন্ন ধরনের পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। যেমন: তারের সাইজ মাপার জন্য ওয়্যারগেজ বা মাইক্রোমিটার
বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক রাশিসমূহ পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ধরনের মিটার ব্যবহৃত হয়, যেমন-

আবার ওয়্যারিং সম্পন্ন করার পর সাপ্লাই দেওয়ার পূর্বে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করার কাজে ব্যবহৃত হয়-

- বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস-এর রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের নিরাপত্তা সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করার পদ্ধতি:
টুলস ও ইকুইপমেন্ট সবর্দা সচল ও ভালো রাখতে হলে এটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে উক্ত যন্ত্রপাতিগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আমরা নিম্নের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারি।
১। যে স্থানে টুলস ও ইকুইপমেন্ট রাখব সেটা সবর্দা পরিষ্কার রাখা উচিত।
২। যে কক্ষে টুলস ও ইকইপমেন্ট থাকবে, তা সবর্দা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
৩। অব্যবহৃত ও পুরাতন নষ্ট মালামালগুলো দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।
৪। মাঝে মাঝে কাপড় দিয়ে উক্ত মালামাল পরিষ্কার করতে হবে।
৫। নরম বুরুশ ও লম্বা সরু ভ্যাকুয়াম ক্লিনার নজেল দিয়ে অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশ ও বর্তনী পরিষ্কার করতে হবে।
৬। কোনো টুলস বা ইকুইপমেন্ট ক্ষয় প্রক্রিয়া শুরু হলে তা প্রতিরোধ করতে হবে।
৭। টুলস বা ইকুইপমেন্টের প্যাকেট ব্যবহার করতে হবে।
৮। টুলস বা ইকুইপমেন্টের ব্যবহারকালে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
৯। মালমাল রাখার সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে।
১০। ভেজা স্থানে টুলস বা ইকুইপমেন্ট যাতে না রাখা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সিঙ্গেল কোর তার দিয়ে পিগটেইল জয়েন্ট তৈরি করা
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি:
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল:
১। ইলেকট্রিশিয়ান চাকু (১টি),
২। কম্বিনেশন প্লায়ারস (১টি),
৩। ডাইগোনাল কাটিং প্লায়ারস (১টি),
৪। মেজারিং টেপ বা ফিতা (১টি),
৫। শিরিশ কাগজ (প্রয়োজনমতো),
৬। সোল্ডারিং আয়রন স্ট্যান্ডসহ ২৫০ ওয়াট (১টি),
৭। সোল্ডারিং লিড ও রজন (প্রয়োজনমতো),
৮। ইনসুলেটিং টেপ এবং
৯। দুই টুকরা তার বা ক্যাবল।
- নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের তার কাটার পদ্ধতি:
প্রথমে ৮ সে.মি. লম্বা দুই টুকরা তার নিয়ে তার দুটির অগ্রভাগ হতে ৫ সে.মি. পরিমাণ ইনসুলেশন (চিত্রানুযায়ী) ছাড়িয়ে ফেলতে হবে।

- তারের এক প্রান্ডে প্রয়োজনীয় ইনসুলেশন খুলে খেইগুলো পরিষ্কার করার পদ্ধতি:

- জোড়াটি সম্পাদন করার পদ্ধতি:

- সতর্কতা অবলম্বন করার পদ্ধতি:
১। ইনসুলেশন অপসারণ করার সময় যেন তারের ওপর আঘাত না লাগে।
২। ৪৫ ডিগ্রি কোণে চাকু ধরে ইনসুলেশন কর্তন করতে হবে।
৩। পরিস্কার করার সময় যেন তার ভেঙে বা কেটে না যায়।
৪। প্যাঁচ দেওয়ার সময় যেন কোনো গ্যাপ না পড়ে এবং সংযোগ যেন ঢিলা না হয়।
৫। সোল্ডারিং করার সময় গরম সোল্ডারিং আয়রন যাতে হাতে বা তারের ইনসুলেশনে না লাগে।
৬। টেপিং-এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো গ্যাপ না পড়ে।
সিঙ্গেল কোর তার দিয়ে টি জয়েন্ট তৈরি করা
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি:
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল:
১। ইলেকট্রিশিয়ান চাকু (১টি)
২। কম্বিনেশন প্লায়ারস (১টি)
৩। ডাইগোনাল কাটিং প্লায়ারস (১টি)
৪। মেজারিং টেপ বা ফিতা (১টি)
৫। শিরিশ কাগজ (প্রয়োজনমতো)
৬। সোল্ডারিং আয়রন স্ট্যান্ডসহ ২৫০ ওয়াট (১টি)
৭। সোল্ডারিং লিড ও রঙ্গন (প্রয়োজনমতো)
৮। ইনসুলেটিং টেপ এবং
৯। দুই টুকরা তার বা ক্যাবল।
- নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের তার কেটে নেয়ায় পদ্ধতি:
প্রথমে ৮ সে.মি. লম্বা দুই টুকরা তার নিয়ে তার দুটির অগ্রভাগ হতে ৫ সে.মি. পরিমাণ ইনসুলেশন (চিত্রানুযায়ী) ছাড়িরে ফেলি।

- তারের এক প্রান্তে প্রয়োজনীয় ইনসুলেশন খুলে দেইগুলো পরিষ্কার করার পদ্ধতি:

- সতর্কতা অবলম্বন করার পদ্ধতি:
১। ইনসুলেশন অপসারণ করার সময় যেন তারের ওপর আঘাত না লাগে।
২। ৪৫ ডিগ্রি কোপে চাকু ধত্রে ইনসুলেশন কর্তন করতে হবে।
৩। পরিষ্কার করার সময় বেন তার ভেঙে বা কেটে না যায়।
৪। প্যাঁচ দেয়ার সময় বেন কোনো প্যাপ না পড়ে এবং সংযোগ কেন ঢিলা না হয়।
৫। সোল্ডারিং করার সময় গরম সোল্ডারিং আররণ বাতে হাতে যা তারের ইনসুলেশনে না লাগে।
৬। টেপিং-এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো গ্যাপ না পড়ে।
বৈদ্যুতিক তারের জয়েন্ট সোল্ডারিং ও টেপিং করা
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি:
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল:
১। ইলেকট্রিশিয়ান চাকু (১টি)
২। কম্বিনেশন প্লায়ারস (১টি)
৩। ডাইগোনাল কাটিং প্লায়ারস (১টি)
৪। মেজারিং টেপ বা ফিতা (১টি)
৫। শিরিশ কাগজ (প্রয়োজনমতো)
৬। সোল্ডারিং আয়রন স্ট্যান্ডসহ ২৫০ ওয়াট (১টি)
৭। সোল্ডারিং লিড ও রজন (প্রয়োজনমতো)
৮। ইনসুলেটিং টেপ এবং
৯। দুই টুকরা তার বা ক্যাবল।
- সংযোগ স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করার পদ্ধতি:

- সোল্ডারিং আয়রন সঠিক তাপমাত্রায় গরম করার পদ্ধতি:
ইলেকট্রনিক সার্কিটের ক্ষেত্রে ২৫ ওয়াট থেকে ৬০ ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন ব্যবহার করতে হবে। ঝালাই-এর পূর্বে ঝালাই-এর স্থান রজন দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- সোল্ডারিং আয়রনের বিট প্রয়োগ করার পদ্ধতি:
দুটি তার যান্ত্রিকভাবে জোড়া দেওয়া বা সোল্ডারিংকরণ।
- সংযোগস্থলে উত্তপ্ত বিট প্রয়োগ করার পদ্ধতি:
অধিক পরিমাণ টিনযুক্ত সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। যাতে টিন ও সিসার পরিমাণ ৬০:৪০।
- গরম সংযোগস্থলে ফ্লাক্স প্রয়োগ করার পদ্ধতি:
প্রয়োজনমতো সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করতে হবে। খুব কম অথবা খুব বেশি সোল্ডারিং লিড ব্যবহার করা যাবে না।
- নির্দিষ্ট টেপ বাছাই করে জয়েন্টে টেপিং করার পদ্ধতি:

- সতর্কতা অবলম্বন করার পদ্ধতি
১। সোল্ডারিং করার সময় গরম সোল্ডারিং আয়রন যাতে হাতে বা তারের ইনসুলেশনে না লাগে।
২। টেপিং-এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো গ্যাপ না পড়ে।
দেয়ালে সুইচ বোর্ড স্থাপন করা
যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করার পদ্ধতি:
১। কম্বিনেশন প্লায়ারুল-১টি,
২। কানেকটিং ক্রু ড্রাইভার-১টি,
৩। ফিলিপস ক্রু ড্রাইভার-১টি,
৪। ইলেকট্রিশিয়ান্স চাকু-১টি,
৫। হ্যান্ড ড্রিল মেশিন-১টি,
৬। পোকায়-১টি,
৭। ওয়্যারিং বোর্ড-১টি,
৮। জয়েন্ট বক্স-১টি,
৯। লিংক ক্লিপ ও তারকাটা প্রয়োজনমতো
১০। পিভিসি ভায় প্রয়োজনমতো।
- দেয়ালে নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে ছিদ্র করার পদ্ধতি
১। মেজারিং টেল, স্কেল ও চক ব্যবহার করে দাগ টানতে হবে।
২। বৈদ্যুতিক ড্রিল বিট ব্যবহার করে ছিদ্র করতে হবে।

- রাওয়াল প্লাগ ছিদ্রে প্রবেশ করার পদ্ধতি:
প্রতি ছিদ্রে একটি করে রাওরাল প্লাগ প্রবেশ করাতে হবে।
- দেয়ালে সুইচ বোর্ড স্কু-এর সাহায্যে লাগানোর পদ্ধতি:
ক্রু ড্রাইভার ব্যবহার করে সুইচ বোর্ডে ক্রু লাগাতে হবে।
বৈদ্যুতিক লাইনে ফিউজ ও সার্কিট ব্রেকার সংযোগ করা
যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন।
১। স্কুড্রাইভার
২। কপার তার
- ফেজ তারে ফিউজ/সার্কিট ব্রেকার:
প্রথমে লাইনের লোড হিসাব করতে হবে। লোড হিসাব করার পর কী পরিমাণ কারেন্ট সরবরাহ হবে সেটি হিসাব করতে হবে।
- ফিউজ লিংক লাগাতে পারবে:
কারেন্টের উপর নির্ভর করে তার চিকন বা মোটা নির্ধারণ করা হয়।
- সার্কিট ব্রেকার অফ-অন করে কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে পারবে:
- ফিউজ/সার্কিট ব্রেকার ব্যবহারে সতর্কতা অর্জন করতে পারবে:
বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ফিউজের ভিতরের তার যেন কোনভাবেই মোটা না হয়।
একটি বাতি একটি সুইচ দিয়ে নিয়ন্ত্রণের সার্কিট সংযোগ করা
যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নির্বাচন করতে হবে:
১. কম্বিনেশন প্লায়ার্স-১টি
২. ক্রু ড্রাইভার (ফ্লাট)-১টি
৩. হ্যামার-১টি
৪. কানেকটিং ক্রু ড্রাইভার-১টি
৫. নোজ প্লায়ার্স-১টি
৬. ইলেকট্রিশিয়ান নাইফ-১টি
৭. হ্যান্ড ড্রিল মেশিন (বিটসহ)-১টি
৮. টেস্টার-১টি
৯. অ্যাভোমিটার-১টি
মালামাল
তার, সুইচ, বাল্ব
হোল্ডার, কাট-আউট, সুইচ বোর্ড
রাউন্ড ব্লক, ক্রু, ফিউজ তার
লিংক ক্লিপ, তারকাঁটা।
- সুইচ ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে:
- দেয়ালে চ্যানেল স্থাপন করতে হবে:
১. চকের সাহায্যে কাঠের বোর্ডে সার্কিটের লে-আউট ডায়াগ্রাম অঙ্কন করতে হবে।
- সুইচ ও হোল্ডার তারের সাথে সংযোগ করতে হবে।
- সুইচ ও হোল্ডারকে ক্রুর সাহায্যে বোর্ডে আটকাতে হবে:
কাঠের ব্যাটেনের উপর ১০ সে.মি. ১৪ সে.মি. অন্তর অন্তর লিংক ক্লিপ বসাতে হবে। সরঞ্জামাদি ও তার কাঠের বোর্ড অথবা ব্যাটেনের উপর স্থাপন করতে হবে।
- বাতি হোল্ডারে লাগাতে হবে।
সুইচ অন করে শুদ্ধাশুদ্ধি নিরীক্ষা করতে হবে:
সুইচ, হোল্ডার, ফিউজ ইত্যাদির সঙ্গে তার সংযোগ করতে হবে এবং মেগারের সাহায্যে সার্কিট টেস্ট করতে হবে। তারপর সাপ্লাই দিয়ে সার্কিট টেস্ট করতে হবে।

একটি সিলিং ফ্যান সুইচ ও রেগুলেটরের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্কিট দেয়ালে সংযোগ
- যন্ত্রপাতি ও মালামাল নির্বাচন করতে হবে
যন্ত্রপাতি
১. কম্বিনেশন প্লায়ার্স-১টি
২. নোজ প্লায়ার্স-১টি
৩. হ্যামার-১টি (বলপিন)
৪. অ্যাডজাস্ট্যাবল রেজ-১টা
৫. অ্যাভোমিটার-১টি
৬. জু-ড্রাইভার-১টি
৭. কানেকটিং জু-ড্রাইভার ১টি
৮. নিয়ন টেস্টার-১টি
৯. সিরিজ টেস্ট বোর্ড-১টি
মালামাল
১. ফ্যান ১টি (৫৬”)
২. ক্যাপাসিটার ১টি (২.২০)
৩. রেগুলেটর ১টি (৫৬”) ফ্যানের
৪. তার (পরিমাণমতো)
৫. অ্যামপিয়ার টিউব (পরিমাণমতো)
৬. সুইচ
- দেয়ালের সুইচ বোর্ডে রেগুলেটর ও সুইচ লাগাতে হবে
অ্যাভোমিটার অথবা সিরিজ বোর্ড দিয়ে ফ্যানের স্টার্টিং ও রানিং ওয়াইন্ডিং সঠিকভাবে শনাক্ত করতে হবে।
- সিলিং-এর কৃষ্ণের সাথে সিলিং ফ্যান ফুলিয়ে দিতে হবে:
- লাইনের সাথে সিলিং ফ্যানের লাইন সংযোগ করতে হবে:
চিত্র অনুযায়ী ক্যাপাসিটার স্টার্টিং কয়েলের সঙ্গে সিরিজে সংযোগ করতে হবে।
- সুইচ থেকে রেগুলেটরের প্রধান লাইনের সংযোগ করতে হবে:
সুইচ-এর এক প্রান্তে সাপ্লাই ও অপর প্রান্ধে রেগুলেটর প্রান্ত সংযোগ করতে হবে, পরে রেগুলেটরের অপর প্রান্ত, ফ্যানের অপর প্রান্ডে নিউট্রাল সংযোগ দিতে হবে।
- সুইচ অন করে ফেজের শুদ্ধাশুদ্ধি নিরীক্ষা করতে পারবে:

সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:
১. রেগুলেটর টেস্ট করতে হবে।
২. রেগুলেটরের টার্মিনাল শনাক্ত করতে হবে।
৩. রেগুলেটর সিরিজে সংযোগ করতে হবে।
টু-পিন ও থ্রি-পিন সকেট বোর্ডে স্থাপন করা
- মালামাল ও যন্ত্রপাতি নির্বাচন করতে পারবে:
১. কম্বিনেশন প্লায়ার্স-১টি
২.কু ড্রাইভার (ফ্লাট)-১টি
৩. হ্যামার-১টি
৪. কানেকটিং ফু ড্রাইভার-১টি
৫. নোজ প্লায়ার্স-১টি
৬. ইলেকট্রিশিয়ান নাইফ-১টি
৭. হ্যান্ড ড্রিল মেশিন (বিটসহ)-১টি
৮. টেস্টার-১টি
৯. অ্যাভোমিটার-১টি
মালামাল
১. তার, সুইচ, বাল্ব
২. হোল্ডার, কাট-আউট, সুইচ বোর্ড
৩. রাউন্ড ব্লক, ক্রু, ফিউজ তার
৪. লিংক ক্লিপ, তারকাঁটা।
- নির্দিষ্ট সকেট ও সুইচ বাছাই করতে হবে।
- সুইচ ও সকেটের কভার খুলতে হবে।
- সুইচ ও সকেটের অবস্থান চিহ্নিত করতে হবে।
- হ্যান্ড ড্রিল ব্যবহার করে তারের জন্য বোর্ডে ছিদ্র করতে হবে।
- নিয়ম অনুসারে ইলেকট্রিশিয়ান ছুরির সাহায্যে তারের ইনসুলেশন খুলে, মুক্ত অংশটুকু পরিষ্কার করতে হবে।
- বোর্ডের ছিদ্র দিয়ে তার ঢুকাতে হবে।
- টার্মিনাল পোস্টে সংযোগকারী ক্রু-গুলো ঢিলা করে তার ঢুকাতে হবে।
- সংযোগকারী ক্রুগুলো দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে।
- সুইচের নিচের অংশ বোর্ডে লাগিয়ে কভার লাগাতে হবে।
একটি সুইচ দিয়ে একটি টিউব লাইট নিয়ন্ত্রণের সার্কিট বোর্ডে স্থাপন করা
- মালামাল ও টুলস নির্বাচন
১. কম্বিনেশন প্লায়ার্স-১টি
২. স্ক্রু ড্রাইভার (ফ্লাট)-১টি
৩. হ্যামার-১টি
৪. কানেকটিং ক্রু ড্রাইভার-১টি
৫. নোজ প্লায়ার্স-১টি
৬. ইলেকট্রিশিয়ান নাইফ-১টি
৭. হ্যান্ড ড্রিল মেশিন (বিটসহ)-টি
৮. টেস্টার-১টি
৯. অ্যাভোমিটার-১টি
মালামাল
১. তার, সুইচ, বাল্ব
২. হোল্ডার, কাট-আউট, সুইচ বোর্ড
৩. রাউন্ড ব্লক, ক্রু, ফিউজ তার
৪. লিংক ক্লিপ, তারকাঁটা।
- টিউব হোল্ডার, স্টার্টার হোল্ডার ও চোক কয়েল আটকাতে হবে।
- টিউব হোল্ডার, স্টার্টার হোল্ডার ও চোক কয়েল বর্তনীতে চিত্রানুসারে সংযোগ করতে হবে।

দুইটি বাতি ও একটি সকেট তিনটি সুইচ দিয়ে নিয়ন্ত্রনের সার্কিট সংযোগ করা
প্রয়োজনীয় মালামাল নির্বাচন করতে পারবে:
মালামাল ও টুলস নির্বাচন করতে পারবে।
১. কম্বিনেশন প্লায়ার্স-১টি
২. ক্রু ড্রাইভার (ফ্লাট)-১টি
৩. হ্যামার-১টি
৪. কানেকটিং ক্রু ড্রাইভার ১টি
৫. নোজ প্লায়ার্স-১টি
৬. ইলেকট্রিশিয়ান নাইফ-১টি
৭. হ্যান্ড ড্রিল মেশিন (বিটসহ)-১টি
৮. টেস্টার-১টি
৯. অ্যাভোমিটার-১টি
মালামাল
১. তার, সুইচ, বাঘ
২. হোল্ডার, কাট-আউট, সুইচ বোর্ড
৩. রাউন্ড ব্লক, ক্রু, ফিউজ তার
৪. লিংক ক্লিপ, তারকাঁটা।
- বোর্ডে সার্কিট আঁকতে পারবে:

- সার্কিট অনুযায়ী তার ক্লিপের সাহায্যে বোর্ডে আটকাতে হবে।
- সার্কিট অনুযায়ী সুইচ ও দুটি হোল্ডার বোর্ডে তারের সাথে সংযোগ দিয়ে স্থাপন করতে হবে।
- সুইচ ও হোল্ডার পরীক্ষা করতে হবে।
- সার্কিট অনুযায়ী সাপ্লাইয়ের সাথে সংযোগ দিতে হবে।
জব তালিকা
১. কাঠের কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস শনাক্ত করা।
২. কাঠ মসৃনকরণ এবং হাফ ল্যাপ ক্রস জয়েন্ট দেওয়া।
৩. কাঠের টেনন ও মরটাইজ জয়েন্ট তৈরি করা।
৪. চৌকাঠে ব্যবহৃত ডবটেইল জোড়া তৈরি করা।
৫. বিল্ডিং এর দরজা-জানালায় চৌকাঠ সেট করা।
৬. চৌকাঠে দরজা/জানালার পাল্লা সেট করা।
৭. পাল্লাতে (দরজা/জানালা) হাতল, হ্যাজবোল্ট ও ছিটকিনি স্থাপন করা।
৮. দরজার পাল্লাতে মরটাইজ ও নব তালা লাগানো।
৯. বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলস শনাক্ত করা।
১০. সিঙ্গেল কোর তার দিয়ে পিগটেহল জয়েন্ট তোর করা।
১১. সিঙ্গেল কোর তার দিয়ে টি-জয়েন্ট তৈরি করা।
১২. বৈদ্যুতিক তারের জয়েন্ট সোল্ডারিং ও টেপিং করা।
১৩. দেয়ালে সুইচ বোর্ড স্থাপন করা।
১৪. বৈদ্যুতিক লাইনে ফিউজ ও সার্কিট ব্রেকার সংযোগ করা।
১৫. একটি বাতি একটি সুইচ দিয়ে নিয়ন্ত্রণের সার্কিট সংযোগ করা।
১৬. একটি সিলিং ফ্যান সুইচ ও রেগুলেটরের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্কিট দেয়ালে সংযোগ করা।
১৭. টু-পিন ও থ্রি-পিন সকেট বোর্ডে স্থাপন করা।
১৮. একটি সুইচ দিয়ে একটি টিউব লাইট নিয়ন্ত্রণের সার্কিট বোর্ডে স্থাপন করা।
১৯. দুইটি বাতি ও একটি সকেট তিনটি সুইচ দিয়ে নিয়ন্ত্রণের সার্কিট সংযোগ।
আরও দেখুন :