আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ভিত্তি খননকরণ । শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
ভিত্তি খননকরণ
কাজের নাম: ভিত্তির খননকরণ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ: কোদাল, বেলচা, কাঠের বা বাঁশের খুঁটি, ওলন ও মাটাম, স্পিরিট লেভেল।
প্রয়োজনীয় মালামাল: চুন, সুতলি, কাঠের বা বাঁশের খুঁটি
মনে করি দেয়ালের দৈর্ঘ্য ৫ মিটার। ভিত্তির গভীরতা ১ মিটার ও প্রস্থ ১ মিটার। (চিত্র-৯)
কার্যপ্রণালি:
১। প্রথমে মাটিতে দেয়ালের কেন্দ্ররেখা চিহ্নিত বা স্থাপন করতে হবে। এ রেখার দুই মাথায় দুটি খুঁটি পুঁততে হবে।
২। খুঁটি দুটির মাথায় পেরেক ঢুকাতে হবে।
৩। দুটি পেরেককে সুতলি দ্বারা টান টান করে সংযোগ করতে হবে।
৪। সুতলি বরাবর তাদের নিচে মাটিতে চুন দিয়ে দাগ দিতে হবে। এটি হবে মাটিতে দেয়ালের বা ভিত্তির কেন্দ্ররেখা।
৫। দেয়ালের প্রন্থ অনুযায়ী ভিত্তির চওড়ার অর্ধেক মাপ নিয়ে কেন্দ্র রেখায় দু’পাশে চুন দিয়ে দাগ দিতে হবে। এ দুটি দাগের মধ্যবর্তী লম্বিক দূরত্বই হবে দেয়ালের ভিত্তির প্রন্থ।
৬। এবার কোদাল দিয়ে বাইরের চুন দেওয়া রেখা দুটির মধ্যের অংশের মাটি কাটতে হবে। মাটি কাটার সময় পরিখার উভয় ধার খাড়া রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে ওলন বা মাটাম দ্বারা খাড়া আছে কিনা যাচাই করতে হবে।

৭। একবারেই মোট গভীরতা অনুযায়ী খনন করা যাবে না। কিছু গভীরতা বাদ রাখতে হবে। পরে কোদাল দিয়ে উক্ত অংশটুকু চেছে বা দুরমুজ করে দৃঢ় ও সমান করতে হবে এবং স্পিরিট লেভেল দ্বারা তল সমতল হয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।
আরও দেখুনঃ