ভিত্তি প্রস্থ চিহ্নিতকরণ আজেকর ক্লাসের বিষয়। ভিত্তির প্রস্থ চিহ্নিতকরণ ক্লাসটিকন্সট্রাকশন প্রসেস কোর্সের অংশ। কন্সট্রাকশন প্রসেস কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলোজির অংশ।
Table of Contents
ভিত্তি
ঠামোর নিজস্ব ওজন এবং এর উপর আগত অন্যান্য লোড মাটির শক্ত স্তরে স্থানান্তর করার জন্য ভূ-নিম্নস্থ অংশে কংক্রিট, পাইল, র্যাফট বা ম্যাট, গ্রিলেজ ইত্যাদি সমন্বয়ে কৃত্রিমভাবে ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়। এ অধ্যায়ে ফাউন্ডেশন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। ভিত্তি কাঠামোর সর্বনিম্ন যে অংশ কলাম এবং দেয়ালের ধারক (Support) হিসেবে এবং এতে আগত ভার মাটির শক্ত স্তরে স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয় তাকে ভিত্তি বা ফাউন্ডেশন বলে। যে কোনো কাঠামোর জন্য ভিত্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাঠামো নির্মিত হওয়ার পর এর ভিত্তি দেখা যায় না বলে এর ব্যর্থতা নিরূপণ করা যায় না এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ নয়।
সে কারণে ভিত্তি নির্মাণ ও ডিজাইনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। জমির মাটি পরীক্ষার (Soil Test) মাধ্যমে ভিত্তির আকার সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। ভিত্তির শ্রেণিবিভাগ ভিত্তি প্রধানত দুই প্রকার । যথা- ১. অগভীর ভিত্তি : যখন ভিত্তির গভীরতা এর প্রস্থের সমান বা কম হয় তখন তাকে অগভীর ভিত্তি বলে। একে ফুটিংও বলা হয়। এসকল ভিত্তি মাটি খনন করে নির্মাণ করা হয়। ভিত্তির গভীরতা এর প্রস্থের চেয়ে বড় হলেও যদি মাটি খনন করে উক্ত ভিত্তি নির্মাণ করা হয় তবে তাকেও অগভীর ভিত্তি বলা হয়। অগভীর ভিত্তিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা- ক) স্প্রেড ফুটিং ফাউন্ডেশন (Spread Footing Foundation) খ) কম্বাইন্ড ফুটিং ফাউন্ডেশন (Combined Footing Foundation) গ) স্ট্রাপ ফুটিং ফাউন্ডেশন (Strap Footing Foundation) ঘ) র্যাফ্ট বা ম্যাট ফাউন্ডেশন(Raft or Mat Foundation)।
গভীর ভিত্তি তিন প্রকার। যথা- ক) পাইল ভিত্তি (Pile Foundation) খ) কফার ড্যাম (Cofferdam) গ) কেইসন বা কুপ ভিত্তি (Caisson or Well Foundation) ১৩.৩ বিভিন্ন প্রকার ভিত্তির প্রয়োজনীয়তা
ভিত্তি প্রস্থ চিহ্নিতকরণ
কাজের নাম: তিত্তির গ্রন্থ চিহ্নিতকরণ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ: কোদাল, বেলচা, মাটাম।
প্রয়োজনীয় মালামাল: চুন, সুতলি, কাঠ বা বাঁশের খুঁটি, পেরেক।


কার্যপ্রণালি:
১। প্রথমে ভিত্তির কেন্দ্ররেখা নির্বাচন করতে হবে। কেন্দ্ররেখার দু-প্রান্তে ২টি খুঁটি পুঁততে হবে। খুঁটি ২টির মাথায় লম্বাভাবে টান টান কত্রে সুতা বাঁধতে হবে। সুতলি বরাবর ভূমিতে চুন যারা কেন্দ্ররেখা চিহ্নিত করে দাগ দিতে হবে।
২। দু’প্রান্তে স্থাপিত খুঁটিকে কেন্দ্র করে তাদের উভয় পাশে ৩: ৪:৫ পদ্ধতিতে সমকোণ স্থাপন করতে হবে। (চিত্র-৮)

৩। সমকোণের লম্ব বাহু হতে ভিত্তির প্রশস্ততার অর্ধেক সমান মাপ নিয়ে খুঁটি পুঁততে হবে। এভাবে কেন্দ্ররেখার খুঁটি ছাড়া উত্তর পাশে দু’টি করে ৪টি খুঁটি হবে। কেন্দ্ররেখার উচ্চর পালে স্থালিত ৪টি খুঁটি সুতলি ছারা টান টান করে আটকাতে হবে এবং এর নিচে মাটিতে চুন দ্বারা দাগ দিতে হবে। কেন্দ্ররেখার উভয় পাশের চুন দ্বারা দাগাঙ্কিত রেখা দুটির মধ্যবর্তী স্থানটি তিত্তির প্রশস্ততা।
ভিত্তি প্রস্থ চিহ্নিতকরণ নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ