কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স | অধ্যায়-১১ | বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স যা অধ্যায়-১১ এর বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত।  শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিসিটি

বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি, যা খালি চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়। পরিবাহির মধ্যে দিয়ে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ফলে যে শক্তি সৃষ্টি হয় তাকে বিদ্যুৎ বলে।

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

বিদ্যুৎ দুই প্রকার, যথা-

(i) স্থির বিদ্যুৎ। যে বিদ্যুৎ সাধারণত জন্মস্থানেই অবস্থান করে, কোনো স্থান পরিবর্তন করে না। তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে। যেমন, দুইটি বন্ধুর মধ্যে বর্ষণের ফলে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তাই স্থির বিদ্যুৎ।

(ii) চল বিদ্যুৎ যে বিদ্যুৎ এক স্থান হতে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়, তাকে চল বিদ্যুৎ বলে। রূপান্তরিত প্রক্রিয়ার সাহায্যে চল বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

কারেন্ট

পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ কোনো নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে। একটি কন্ডাক্টরের দুই প্রায়ে ভোল্টেজ বিরাজমান থাকলে, ইলেকট্রিক চার্জ প্রবাহিত হয়। বৈদ্যুতিক সার্কিটে কন্ডাক্টরের মধ্যে এই চার্জ ইলেকট্রন, ইলেকট্রোলাইটিংকে আয়নের মাধ্যমে এবং প্লাজমাতে আয়ন এবং ইলেকট্রনের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

কারেন্ট প্রধানত দুই প্রকার

এসি কারেন্ট : ‘এসি’- পূর্ণ অর্থ হলো অল্টারনেটিং কারেন্ট (Alternating Current সময়ের সাথে যে কারেন্টের প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে এসি কারেন্ট বলা হয় । বাসাবাড়িতে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা হচ্ছে এসি কারেন্ট।

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

উপরের চিত্রটিতে X অক্ষ বরাবর Time (সময়) এবং Y অক্ষ বরাবর Current (কারেন্ট) এর দিক নির্দেশ করা হয়েছে।

ডিসি কারেন্ট : ‘ডিসি’- পূর্ণ অর্থ হলো ডিরেক্ট কারেন্ট। অর্থাৎ সময়ের সাথে যে কারেন্টের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে ডিসি কারেন্ট বলে। টর্চ লাইটে ৫ ভোল্টের (SV) ব্যাটারি যে বিদ্যুৎ দিয়ে থাকে, তা হল ডিসি কারেন্ট।

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

উপরের ত্রিটিতে X অক্ষ বরাবর Time (সময়) এবং Y অক্ষ বরাবর Current (কারেন্ট) এর দিক নির্দেশ করা হয়েছে। চিত্রটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে কারেন্টের দিক ধনাত্মক দিকে অপরিবর্তিত আছে। অর্থাৎ এখানে কারেন্ট সব সময় Y-কে না কি বরাবর অবস্থান করছে।

কারেন্টের একক ও প্রতিক

কারেন্টের প্রতীক I (আই) এবং একক Ampere (অ্যাম্পিয়ার), সংক্ষেপে ‘A’ লেখা হয়। কারেন্ট পরিমাপের যন্ত্রের নাম Ampere Meter (অ্যাম্পিয়ার মিটার)। মিটারটি সিরিজ কানেকশনে কানেক্ট করতে হয়।

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

ভোল্টেজ

পরিবাহীর পরমাণু গুলোর ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স ও এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট এ অণফল হলো ডোস্টেজ। অর্থাৎ V = IR [ডোস্টেজ = কারেন্ট X রেজিস্ট্যান্স)

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

ভোল্টেজ-এর একক ও প্রতীক

ডোস্টেজ-এর প্রতীক হলো V (ভি) এবং এর একক হলো Volt (ভোল্ট)। ডোস্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম Volt Meter (ভোল্ট মিটার)। ভোল্ট মিটার সাধারণত যে দুই পরেন্টের বিভব পার্থক্য নির্ণয় করতে হবে তার সাথে Parallel বা সমান্তরালভাবে কানেক্ট করতে হয়।
ডোস্টেজ (V) = কারেন্ট (I) X রেজিস্ট্যান্স (R) ।

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

রেজিস্ট্যান

পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাযা হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। যে বস্তু রেজিস্ট্যান্স’ এর ধর্ম অক্ষুণ্ণ রাখে তাকে রেজিস্টর বলে। রেজিস্টর এর সাংকেতিক চিহ্ন :

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

রেজিস্ট্যান্স-এর একক ও প্রতীক:

এর প্রতীক R (আর) এবং একক Ohm (ওহম।

 

কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স

 

অনুশীলনী-১১

‘অতি সংক্ষিপ্ত

১। বিদ্যুৎ কী?

২। স্থির বিদ্যুৎ কাকে বলে?

৩। চল বিদ্যুৎ কাকে বলে?

৪। কারেন্ট কাকে বলে?

৫। ভোল্টেজ কাকে বলে?

৬। রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে?

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সংক্ষিপ্ত

১। কারেন্টের একক ও প্রতীক ব্যাখ্যা কর।

২। ভোল্টেজ-এর একক ও প্রতীক ব্যাখ্যা কর।

৩। রেজিস্ট্যান্স-এর একক ও প্রতীক ব্যাখ্যা কর।

৪। এসি কারেন্ট কী? ব্যাখ্যা দাও।

৫। ডিসি কারেন্ট কী? ব্যাখ্যা দাও।

রচনামূলক

১। কারেন্টের প্রবাহ চিত্রসহ বর্ণনা কর।

আরও দেখুন :

Leave a Comment