বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম।

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

কলামের সংগা

কলাম: কলাম হচ্ছে কোনো স্ট্রাকচারের ভার্টিক্যাল মেম্বার, যার মাধ্যমে লোডসমূহ ফাউন্ডেশনে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। স্ট্রাকচারের ভার্টিক্যাল লোড ট্রান্সফারের একমাত্র মাধ্যম কলাম হওয়াতে এর গঠন শক্তিশালী এবং কার্যকর করা প্রয়োজন। আধুনিক নির্মাণ কার্যে আরসিসি কলামের ব্যবহার ব্যাপক।

সাধারণত কোনো ভার্টিক্যাল মেম্বারের দৈর্ঘ্য এবং এর প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফলের (সাইজের) মিনিমাম ডাইমেনশন-এর অনুপাত ৩ এর বেশি হলে তাকে কলাম বলে। কলামের দৈর্ঘ্য L এবং D প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফলের কমপক্ষের পরিমাপের (মিনিমাম ডাইমেনশনাল) L/D>3

কলামের প্রকারভেদ:

কলাম দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফলের কমপক্ষের পরিমাণে (মিনিয়াম ডাইমেনশনের) অনুপাত অনুসারে কলাম শর্ট কলাম ও লং কলাম এই দুই শ্রেণিতে বিভক্ত।

শর্ট কলাম (Short column) : কলামের প্রকৃত যুক্ত দৈর্ঘ্য তার প্রস্থচ্ছেদের ন্যূনতম পার্শ্ব মাপের দশ গুণের কম বা সমান হলে তাকে শর্ট কলাম বলে। যার 1/r-এর অনুপাত ১০ এর কম হয়ে থাকে অর্থাৎ 1/r < 12। অন্য কথায়, কলামের স্লেন্ডারনেস রেশিও 12 এর চেয়ে কম হলে তাকে শর্ট কলাম বলে। শর্ট কলাম সাধারণত ক্রাশিং-এর কারণে ব্যর্থ হয়।

লং কলাম (Long column) : কলামের প্রকৃত মুক্ত দৈর্ঘ্য তার প্রস্থচ্ছেদের ন্যূনতম পার্শ্ব মাপের দশ গুণের বেশি হলে তাকে লং কলাম বলে। যার 1/r-এর অনুপাত 12 এর বেশি হয়ে থাকে অর্থাৎ 1/r > 12] অন্য কথায়, কলামের স্লেন্ডারনেস রেশিও 12 এর বেশি হলে লং কলাম হবে। লং কলামের প্লেন্ডারনেস রেশিও বেশি হলে বাকলিং -এর জন্য কলাম ব্যর্থ হয়।

এখানে 1 = আনসাপোর্টেড লেখ

r = লিষ্ট রেডিয়াস অব জাইরেশন

1/r= প্লেন্ডারনেস রেশিও।

আরসিসি কলামসমূহকে ২ (দুই) শ্রেণিতে ভাগ করা যায় :

(১) টাইড কলাম

(২) স্পাইরাল কলাম

বেশি লোডের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ

১. কম্পোজিট কলাম (Compsite column )

২. কম্বিনেশন কলাম (Combination column )

৩. পাইপ কলাম (Pipe column )

বিভিন্ন আকৃতির কলামের গঠন

(১) টাইড কলামঃ সাইল আয়তাকার বা বর্গাকার হয়ে থাকে এবং প্রধান রিইনফোর্সমেন্ট থাকে খাড়া (Vertical) এবং প্রধান রিইনফোর্সমেন্ট-এর খাড়া অবস্থান ধরে রাখার জন্য টাইবার বা লেটারাল রিইনফোর্সমেন্ট ব্যবহার করা হয়।

 

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

 

(২) স্পাইরাল কলাম: সাইজ সার্কুলার হয়ে থাকে এবং প্রাধান রিইনফোর্সমেন্ট খাড়া (Vertical) এবং প্রধান রিইনকোসমেন্ট-এর খাড়া অবস্থান ধরে রাখার জন্য কলামের চারদিকে বরাবর (along periphery) স্পাইরাল রিইনফোর্সমেন্ট ব্যবহার করা হয়।

 

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

 

উপোরোক্ত দুই শ্রেণীর কলাম ছাড়াও খুব বেশি লোডের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শ্রেণির আরসিনি কলামগুলো

১) কম্পোজিট কাম (Compatte column ) এ শ্রেণির কলামে প্রধান রিইনফোর্সমেন্ট হিসেবে ইন্টারমিডিয়েট গ্রেড-এর স্টিলের পরিবর্তে স্ট্রাকচারণ গ্রেড বা কাস্ট আয়রন স্টিল হয়।

 

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

 

২) কম্বিনেশন কলাম (Combination column ) এ শ্রেনির কলামে প্রধান রিইনফোর্সমেন্ট গ্রেডের স্টিলের পরিবর্তে স্ট্রাকচারণ গ্রেডের স্টিল ব্যবহৃত হয় এবং অয়্যার দিয়ে পুরোপুরি প্রধান রিইনফোর্সমেন্টকে পেঁচিয়ে দেয়া হয় (warpped)।

 

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

 

৩) পাইপ কলাম (Pipe column) : এ ধরনের কলামে পাইপটি প্রধান রিইনফোর্সমেন্ট হিসেবে কাজ করে। পাইপের ভিতরটি কংক্রিট দিয়ে পূর্ণ করা হয়।

 

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

 

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কলাম

 

অনুশীলনী – ১৩

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন।

১. কলাম কাকে বলে?

২. শর্ট কলাম কাকে বলে?

৩. লং কলাম কাকে বলে?

৪. পাইপ কলাম কাকে বলে?

৫. টাইড কলাম কাকে বলে?

৬. স্পাইরাল কলাম কাকে বলে? 

৭. কম্পোজিট কলাম কাকে বলে ?

৮. কম্বিনেশন কলাম কাকে বলে?

৯. পাইপ কলাম কাকে বলে?

১০. টাই রঙ কাকে বলে?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. শর্ট কলাম ব্যাখ্যা কর।

২. লং কলাম ব্যাখ্যা কর।

৩. আরসিসি কলাম কত প্রকার ও কী কী?

৪. লোড অনুযায়ী কলাম কত প্রকার ও কী কী ?

৫. চিত্রসহ টাইড কলামের গঠন বর্ণনা কর।

৬. চিত্রসহ টাইড কলামের গঠন বর্ণনা কর। 

৭. চিত্রসহ স্পাইরাল কলামের গঠন বর্ণনা কর।

৮. চিত্রসহ কম্পোজিট কলামের গঠন বর্ণনা কর।

৯. চিত্রসহ কম্বিনেশন কলামের গঠন বর্ণনা কর।

১০ চিত্রসহ পাইপ কলামের গঠন বর্ণনা কর।

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

রচনামূলক প্রশ্ন

১. কলামের প্রকারভেদ আলোচনা কর।

২. বিভিন্ন আকৃতির কলামের গঠন বর্ণনা কর।

৩. চিত্রসহ বিভিন্ন আকৃতির কলামের টাই রঙের বিন্যাস দেখাও।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment