আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কিউরিং। কিউরিং কি কংক্রিট স্থাপন ও কম্পেকশন করার পর কিছু দিন অবিরাম ভাবে কংক্রিটকে আর্দ্র রাখার পদ্ধতিকে কিউরিং বলে। সাধারণত কংক্রিট স্থাপনের ২৪ ঘন্টা পর হতে আরম্ভ করে ২১ হতে ২৮ দিন পর্যন্ত কিউরিং করা হয়। কিউরিং এর জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের কিউরিং
কিউরিং
২৩.১ কিউরিং-এর সংজ্ঞা
ইট গাঁথুনি বা কংক্রিট ঢালাই-এর ২৪ ঘণ্টা পর পানি দেয়া বা পানি খাওয়ানোর কৌশলকে কিউরিং বলে। কংক্রিটের পূর্ণশক্তি পাওয়ার জন্য কিউরিং অতীব প্রয়োজন। ঢালাইকৃত কংক্রিটের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কংক্রিটকে কমপক্ষে ২৮ দিন ভিজিয়ে রাখতে হয়।
কিউরিং-এর উদ্দেশ্য
কিউরিং-এর উদ্দেশ্য নিম্নে দেয়া হলো :
* কংক্রিটকে শক্তিশালী করার জন্য ।
* জমাট বাঁধার সময় সংকোচনের কারণে কংক্রিট যাতে ফেটে না যায় ।
* কংক্রিটে অবস্থিত সিমেন্ট ও পানির ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য
* নির্মাণ কাজকে স্থায়ী ও মজবুত করার জন্য ।

কিউরিং পদ্ধতি ও এর সময়কাল
কিউরিং বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যথা :
* পানি ছিটিয়ে
* মাটি দিয়ে ঘের তৈরি করে
* ছায়াময় করে
* পৃষ্ঠদেশ আচ্ছাদিত করে
কিউরিং এর সময়কালঃ
নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পানির গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য
নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পানির বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ :
ক. পানি তৈলাক্ত পদার্থমুক্ত হবে ।
খ. মাত্রাতিরিক্ত অম্ল, ক্ষার, জৈব ও অজৈব পদার্থমুক্ত হবে ।
গ. আয়রন জাতীয় পদার্থ, শেওলা এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থমুক্ত হবে ।
ঘ. পানের উপযোগী হতে হবে ।
অনুশীলনী – ২৩
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. কিউরিং কী?
২. ছাদ ঢালাইয়ে কত দিন কিউরিং করা হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. কিউরিং-এর উদ্দেশ্যসমূহ লেখ।
২. কিউরিং-এর পদ্ধতিসমূহ লেখ।
৩. নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পানির বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ ।
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. কিউরিং-এর সময়কাল বর্ণনা কর।
আরও দেখুনঃ