আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের ছাদ।
বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের ছাদ
ছাদের সংজ্ঞা
ইমারতের উপরিভাগ যে সুদৃঢ় কাঠামো দিয়ে ঢাকা থাকে, তাকে ছাদ বলে। ঘরবাড়িকে বৃষ্টি, রোদ হতে আড়াল করার জন্য ছাদের প্রয়োজন। সাধারণত বিটুমিনের প্রলেপ দিয়ে স্থানকে জন্মনিরোধক করা হয়। ছাদের উপরে জলনিরোধক প্রলেপ দেয়া হলে তাকে জলছাদ বলে ।
ছাদের প্রকারভেদ
নির্মাণ উপকরণের উপর ভিত্তি করে ছাদ কয়েক ধরনের হয়, যেমন-
* টিনের ছাদ
* টালির হান
* অ্যাসবেসটস সীটের ছাদ
* ফেরো সিমেন্টের ছাদ ও
* আরসিসি ছাদ।
ঢালু ছাদের বিভিন্ন অংশ শনাক্তকরণ
স্প্যান: দুটি দেয়াল বা সাপোর্টের মধ্যবর্তী কেন্দ্র হতে কেন্দ্র পর্যন্ত অনুভূমিক দূরত্বকে স্প্যান বলে।
ওয়াল প্লেটঃ এটি দেয়াল বা সাপোর্টের মাথায় শক্তভাবে বসানো থাকে। এর উপর র্যাস্টার আটকানো হয়। র্যাফটার: ট্রাসের যে মেঘারের এক প্রাপ্ত রিজের সাথে এবং অন্য প্রাপ্ত ওয়াল প্লেট বা পোস্ট প্লেটের সাথে যুক্ত করা হয় তাকে প্রধান র্যাকটার বলে।
পারলিনঃ মটকার সমান্তরালে যে মেম্বারের প্রধান রাস্টারের উপর বসানো থাকে তাকে পারলিন বলে। ড্রাগন টাই: হিপ ব্যাটারের নিচের প্রান্তে সংযুক্ত দুই দেয়ালের উপর আড়াআড়ি যে কাঠের উপর হিপ র্যাফটার আটকানো থাকে তাকে ড্রাগন টাই বলে।
ইত বা ছাঁচ: ঢালু ছাদের নিচের কিনারাকেই ইভ বা ছাঁচ বলে।
ভ্যালি পাটার: দুটি চালু ছাদের ভিতরের দিকের মিলিত স্থানে অর্থাৎ ভ্যালির ভিতর দিয়ে বৃষ্টির পানি যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য ভ্যালি বরাবর যে উপযুক্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করা হয় তাকে ভ্যালি পাটার বলে।
টিনের ছাদ, টালির ছাদ, অ্যাসবেসটস শিটের ছাদ, ফেরো সিমেন্টের ছাদ ও আরসিসি ছাদের বর্ণনা
টিনের ছাদের বর্ণনা: সাধারণতঃ লোহা, অ্যালুমিনিয়াম বা প্লাস্টিক টিন দিয়ে এ ধরনের ছাদ তৈরি করা হয়।
টালির তলের বর্ণনা হলোঃ টালি প্রধানত পোড়ামাটির বা কে যেমন সহজ উপকরণ থেকে তৈরি করা হয়। যেমন কষ্টি ও প্লাস্টিক হিসাবে আধুনিক উপকরা এ একটি ফলরোধী চকচক (জে) আছে।
অ্যানফেলটা পিতার জানের বর্ণনা: অ্যাসবেস্টস একটি জনপ্রিয় অগ্নি-প্রবি উপাদান।
ফেলে-লিমেন্টের ছাদের সফল উত্তর প্রকার হতে পারে। জেলা সি মালের বৈশিষ্ট্য হলো বালু । পোর্টায় লিমেন্ট ও পানির ভারে জাল করার দেশ বা এক্সপাতের মেটাল) হিসাবে ব্যবহার করে ফেরো-সিমেন্ট তৈরি করা হয়। মার্কে ডিজাইন অনুসারে তারে যান স্থাপন করে ঢালাই করা হয়। উক্ত নিয়মে ১২ মি. মি. থেকে ২০ মি.মি. পর্যন্ত গুরুত্বের ফেরো-সিমেন্ট ব্লক তৈরি করা যায়। সাই-এর পরে কিউরিং করা হয়।
মত ছাল বা ফ্লোর বা মেঝে তৈরি করা হলে তাকে গ্ল্যাব বলে। কৌশলের উপর ভিত্তি করে স্ল্যাবকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়।
একমুখী সলিড স্ল্যাব: যে সমস্ত প্ল্যাবের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত দুই বা দুই -এর অধিক হয় সেসব ক্ষেত্রে একমুখী সলিড প্ল্যাব ডিজাইন করা হয়। এতে ল্যাবের একদিকে গ্রন্থ বরাবর প্রধান রঙ বসানো হয় এবং দৈর্ঘ্য বরাবর ফাঁকা করে রড বসানো হয়।
দ্বি-মুখী সলিড স্ল্যাবঃ যে সমস্ত স্ল্যাবের দৈর্ঘ্য গ্রন্থের অনুপাত দুই বা দুই -এর কম হয় সেসব ক্ষেত্রে দ্বিমুখী সলিড প্ল্যাব ডিজাইন করা হয়। এতে স্ল্যাবের দুই দিকেই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর প্রধান রড বসানো হয়।
ঢালু ও সমতল ছাদের পার্থক্য
ভালো ছাদের গুণাবলি
ভালো ছাদের নিম্নোক্ত গুণগুলো থাকতে হবে :
১। ছাদ প্রয়োজনীয় শক্তিসম্পন্ন হতে হবে যাতে এর উপর অর্পিত সকল প্রকার ভার বহন করতে পারে।
২। রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-বাতাস, বরফ তুষার ইত্যাদির হাত থেকে দালানকে রক্ষা করতে পারে।
৩। তাপ কুপরিবাহী হতে হবে।
৪। আগুনের হাত থেকে দালানকে রক্ষা করতে পারবে।
৫। শব্দ প্রতিরোধক হতে হবে।
৬। পানিরোধী ও পানি নিষ্কাশনে সক্ষম হতে হবে।
অনুশীলনী – ১৪
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। ছান কাকে বলে?
২। ব্যাটার কী?
৩। পারলিন কী?
৪।ভ্যালি সাটার কী?
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১। ছাদ কত প্রকার ও কী কী?
২। অ্যাসবেসটস শিটের ছাদ কী? ব্যাখ্যা কর।
৩। র্যাফটার ব্যাখ্যা কর।
৪। ভালো ছাদের গুণাবলি লেখ।
৫। ফেরো সিমেন্ট স্থান বলতে কি বুঝা

রচনামূলক:
১। ঢালু ছাদের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দাও।
২। বিভিন্ন ধরনের ছাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
৩। ঢালু ও সমতল ছাদের পার্থক্য ছকের মাধ্যমে লেখ।
৪। এক মুখী ও দ্বি-মুখী ছাদ বলতে কি বুঝ? এদের মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করা।
আরও দেখুনঃ