আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের জেনারেটর যা অধ্যায়-২৭ এর বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত। শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
Table of Contents
বিল্ডিং মেইনটেন্যান্সের জেনারেটর
জেনারেটর
বৈদ্যুতিক জেনারেটর এক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা যান্ত্রিক শক্তি বা ক্ষমতাকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা ক্ষমতায় রূপান্তরিত করে। এই বৈদ্যুতিক যন্ত্র গতিশীল তড়িৎঞালক শক্তি উৎপাদনের নীতি ব্যবহার করে এই রূপান্তর ঘটায়। ফ্যারাডের তড়িৎ চুম্বক আবেশের নীতি অনুসারে একটি পরিবাহী যখন চৌম্বক ক্লাক্সের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে তখন তার মধ্যে একটি গতিশীল তড়িৎ চুম্বক আবেশের সৃষ্টি হয়।
পরিবাহী পদার্থ বা তারটিকে আবন্ধ বর্তনীতে অন্তর্ভুক্ত করলে তার মধ্যে দিয়ে এই ফ্লাক্সের কারণে একটি তড়িৎ প্রবাহ পাওয়া যায়। এভাবেই বিদ্যুতের উৎপত্তি ঘটে। অর্থাৎ তড়িৎ শক্তি উৎপাদন করতে গেলে তিনটি জিনিস আবশ্যক: একটি চৌম্বক ক্ষেত্র, একটি তড়িৎ পরিবাহক এবং গতি। এই তিনের সম্মিলন ঘটিয়েই জেনারেটর নির্মিত হয়।

Dc জেনারেটর মূলত ফ্যারাডেল (Farady’s Law) সূত্র অনুসারে কাজ করে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক (Electromagnetic) ইনডাকশন ল’ অনুসারে কাজ করে। Magnetic field motion of conductor in magnetic field.
জেনারেটর-এর প্রকারভেদ
তাপীয় পাওয়ার স্টেশনে জ্বালানি ব্যবহারের দিক থেকে ও প্রাইম মুভারের ব্যবহারের দিক থেকে নানা ভাগে ভাগ করা যায়। জ্বালানির মাধ্যমে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবহার করে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টরের তাপ যা স্টিম টারবাইন জেনারেটরকে চালায়। আমেরিকাতে শতকরা ২০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবহার করে। ফসিলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা পাওয়ার প্ল্যান্টে স্টিম টারবাইন জেনারেটর ব্যবহৃত হয়। কম্বাশন টারবাইন ব্যবহার করে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকারী প্ল্যান্টগুলোতে।
কয়লা ব্যবহারকারী পাওয়ার স্টেশনে কয়লা পুড়িয়ে বাষ্প তৈরি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয় পরিবেশে যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। ভূ-তাপীয় পাওয়ার প্ল্যান্ট উত্তপ্ত ভূগর্ভস্থ পাথরের মাধ্যমে বাষ্প উৎপাদন করে।
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পাওয়ার প্ল্যান্টে আবর্জনা, পয়োনিষ্কাশন প্রণালির কঠিন আবর্জনা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। সূর্য তাপীয় পাওয়ার প্ল্যান্টে সূর্যের আলো ব্যবহার করা হয়, পানি গরম করতে যা জেনারেটরকে চালু করে। সমন্বিত স্টিল মিলে ব্ল্যাস্ট ফার্নেস থেকে নির্গত গ্যাসের দাম কম যদিও তা নিম্নশক্তির ঘনত্ব বিশিষ্ট জ্বালানি। কারখানা থেকে উৎপন্ন বাড়তি তাপ মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় যা স্টিম বয়লার ও টারবাইনে ব্যবহার করা হয়।

জেনারেটরের প্রকারভেদ
জেনারেটর প্রধানত দুই প্রকার
১। এসি জেনারেটর
২। ডিসি জেনারেটর
সংযোগ অনুযায়ী জেনারেটর তিন প্রকার-
১। সিরিজ জেনারেটর
২। শান্ট জেনারেটর
৩। কম্পাউন্ড জেনারেটর
জেনারেটরের ব্যবহার
পাওয়ার স্টেশন মানে কারখানার ব্যবহারের সুবিধা সম্পন্ন বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের একটি উপায়। পাওয়ার স্টেশন জেনারেটিং স্টেশন, পাওয়ার প্ল্যান্ট বা পাওয়ার হাউজ নামেও পরিচিত। পাওয়ার স্টেশনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে জেনারেটর নামের একধরনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র যা পরিবাহক ও চৌম্বক ক্ষেত্রের মাঝে পারস্পরিক গতি সৃষ্টির মাধ্যমে যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে। কী ধরনের জেনারেটর ব্যবহৃত হবে তা শক্তির উৎসের ওপর নির্ভর করে। এটা নির্ভর করে কী ধরনের জ্বালানির সহজলভ্যতা ও
বিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশলের উপরে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়।
অনুশলনী-২৭
অতি সংক্ষিপ্ত:
১। জেনারেটর কী?
২। জেনারেটর এর মূল নীতি কী?
সংক্ষিপ্ত:
১। তড়িৎ শক্তি উৎপাদন করতে গেলে কয়টি জিনিস আবশ্যক ও কী কী?
২। জেনারেটর এর ব্যবহার ক্ষেত্রসমূহ কী কী?
রচনামূলক:
১। জেনারেটর-এর প্রকারভেদ আলোচনা কর।
আরও দেখুন :