সিভিল কন্সট্রাকশনের পানি I অধ্যায় ৪ I সিভিল কন্সট্রাকশন-১

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় সিভিল কন্সট্রাকশনের পানি । শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

সিভিল কন্সট্রাকশনের পানি

 

সিভিল কন্সট্রাকশনের পানি

 

পান করার উপযোগী যে কোনো পানি কংক্রিট তৈরির কাজে উপযুক্ত। তবে কোনো কোনো পানি পান না করা গেলেও নির্মাণকাজে ব্যবহার করা যায়। পানিতে অতিরিক্ত অপদ্রব্য শুধু জমাট বাঁধার সময় কংক্রিটের শক্তি কমায় না বরং আয়তনের স্থায়িত্ব, রডে মরিচা ইত্যাদি সমস্যার জন্য দায়ী। তাই নির্মাণকাজের জন্য পানি নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ।

সিসি কাজে পানির ব্যবহার

সিমেন্ট কংক্রিট (সিসি) তৈরিতে পানি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ন উপদান। কংক্রিট মিশ্রনে পানির প্রয়োজন নিম্নরূপ :

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

  • সিমেন্ট এবং এগ্রিগেটের (aggregate, খোয়া) সাথে মিশ্রিত করতে।
  • এগ্রিগেট ধৌত করতে।
  • কিউরিং (curing) করার সময়।
  • কংক্রিট মিক্সার মেশিন ধৌত করতে।
  • সিমেন্টের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া (hydration process) ঘটাতে যা কংক্রিটকে শক্তিশালী করে।
  • কংক্রিটে কর্মযোগ্যতা (Workability) আনতে।
  • কংক্রিটে পানির পরিমাণের সাথে সিমেন্টের পরিমানের তুলনাকে পানি/সিমেন্ট অনুপাত (water cement ratio) বলে। পানি/সিমেন্ট অনুপাত যত কম হবে কংক্রিট তত মজবুত হবে।
  • অতিরিক্ত পানি কংক্রিটে ব্যবহার করলে ঢালাইয়ের পর রিডিং (bleeding, চুয়ে চুয়ে পানি পড়া) হবে।

 

সিভিল কন্সট্রাকশনের পানি

 

সিসি কাজে ব্যবহৃত পানির গুণাগুণ

  • পানযোগ্য পানি কংক্রিটের যে কোনো কাজের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
  • পানির সাথে অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ কংক্রিটের সেটিং (setting)-এর সময়, বাঁকানো (shrinkage) এবং স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করে।
  • যে সমস্ত পানি কংক্রিটে ব্যবহারের অনুপযোগী তার মধ্যে:
  • বেশি পরিমাণ ভাসমান দ্রব্য (suspended solids) থাকে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণ দ্রবীভূত দ্রব্য (dissolved solids) থাকে।
  • উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জৈব উপাদান (organic material) থাকে।
  • কাদাযুক্ত পানি ব্যবহার করা যাবে তবে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই সেটেলিং বেসিনে (settling basin) বা হাউজে দিয়ে একে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • জৈব উপাদান যেমন- শৈবাল (algae) যদি পানিতে থাকে তবে কংক্রিটে বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অতিরিক্ত বায়ু প্রবেশ করিয়ে এর শক্তিকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনে।
  • সমুদ্রের পানি/লবণাক্ত পানির ব্যবহার কংক্রিট এফ্লোরেসেন্স (efflorescence) সৃষ্টি করে এবং কারুকার্য খচিত কাজে ত্রুটি দেখা দেয়।
  • সুপেয় পানির উৎস না হলে পানি কংক্রিটে ব্যবহারের পূর্বে টেষ্টিং ল্যাবরেটারী হতে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment