বিভিন্ন ধরণের সিভিল কাজের এস্টিমেট জকের ক্লাসটির শিরনাম এস্টিমেট টি ডিফারেন্ট কোয়ান্টিটিএস অফ ওয়ার্ক ইন স্টেপস, বাউন্ডারি ওয়াল এন্ড রোড (Estimate The Different Quantities of Work In Steps, Boundary Wall And Road) ক্লাসটি এস্টিমেটিং এন্ড কস্টিং-১ (Estimate and Costing – 1) কোর্স, যার কোড নম্নর ৬৬৪৪২ (66442) এর, ৫ম অধ্যায়ের (Chapter 5) অংশ। এস্টিমেটিং এন্ড কস্টিং-১ (৬৬৪৪২) কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (Diploma in Engineering) ডিসিপ্লিনের, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (Diploma in Civil Engineering) টেকনোলোজির অংশ।
বিভিন্ন ধরণের সিভিল কাজের এস্টিমেট
পুরকৌশল বা পূর্তকৌশল হলো পেশাদার প্রকৌশল ব্যবস্থার একটি শাখা যেখানে নকশা, নির্মাণ কৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয় যার মধ্যে সেতু, রাস্তা, পরিখা, বাঁধ, ভবন ইত্যাদি নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর সর্বত্র পুরকৌশলীদের কাজ রয়েছে। সামরিক প্রকৌশল ব্যবস্থার পর পুরকৌশল হলো সবচেয়ে পুরাতন প্রকৌশল ব্যবস্থা এবং তা বেসামরিক ও সামরিক প্রকৌশল ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্যকারী বিভাগ।
পুরকৌশলকে ঐতিহ্যগতভাবে বেশ কিছু উপ-শাখায় বিভক্ত করা হয়, যেমন স্থাপত্য প্রকৌশল, পরিবেশ প্রকৌশল, ভূ-কারিগরি প্রকৌশল, ভূপ্রকৃতিবিদ্যা, ভূগণিত, নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশল, সংগঠন প্রকৌশল, ভূমিকম্প প্রকৌশল, পরিবহণ প্রকৌশল, পৃথিবী বিজ্ঞান, বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান, আদালত প্রকৌশল, নগর প্রকৌশল, পানি সম্পদ প্রকৌশল, উপকরণ প্রকৌশল, উপকূলবর্তী প্রকৌশল, মহাকাশ প্রকৌশল, পরিমাণ জরিপ, মাপজোখ, পরিবেশবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, অবকাঠামো প্রকৌশল, বস্তুবিদ্যা, জলবিজ্ঞান, ভূমি জরিপ এবং নির্মাণ প্রকৌশল।
পুর-প্রকৌশলী সাধারণত পুরকৌশল এর উপর একটি একাডেমিক ডিগ্রী নিয়ে থাকেন। এর শিক্ষাবর্ষ ৩ থেকে ৫ বছর হয়ে থাকে, এবং সম্পন্ন ডিগ্রী প্রকৌশল স্নাতক, বা বিজ্ঞান স্নাতক হিসেবে মনোনীত করা হয়। পুরকৌশল পাঠ্যক্রমে সাধারণত পদার্থবিদ্যা, গণিত, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, নকশা এবং নির্দিষ্ট বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। পুরকৌশলের প্রয়োজনীয় শাখায় প্রাথমিক কোর্স গ্রহণ করার পর, তারা উন্নতির সাপেক্ষে এক বা একাধিক শাখার উপর বিশেষত্ব লাভ করে থাকেন।

যদিও স্নাতক ডিগ্রীর (বিএসসি) একজন ছাত্র শিল্প-স্বীকৃত(industry-accredited) যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে থাকে, আবার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্নাতকোত্তর ডিগ্রী (এমএসসি) প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের বিষয়ে আরও বিশেষজ্ঞ হওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে। অধিকাংশ দেশে, একটি স্নাতক ডিগ্রীই ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাদারী সার্টিফিকেশন হিসেবে কাজ করে। প্রত্যায়িত ডিগ্রী কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর, একজন প্রকৌশলীকে প্রত্যয়িত হওয়ার পূর্বেই তার পরীক্ষার ফলাফল আশাতীত এবং কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
একবার প্রত্যায়িত হয়ে গেলে, প্রকৌশলী তখন পেশাদার হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রাসঙ্গিক পেশাদারী সংস্থার মধ্যে, প্রকৌশলী জাতীয় সীমানা জুড়ে অনুশীলন বা হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করার বেপারে আন্তর্জাতিক চুক্তি আছে। প্রশংসাপত্রের সুবিধা অনেকাংশে তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডাতে, শুধু মাত্র একজন প্রত্যায়িত পেশাদারী প্রকৌশলই পারবেন সরকারি এবং বেসরকারি কাজের জন্য, তার স্বাক্ষরকৃত প্রকৌশলী পরিকল্পনা (plan) এবং অঙ্কন(drawing) অনুমোদনের জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে।
“ যুক্তরাজ্য সহ অন্যান্য দেশেও পুরকৌশলের জন্য একই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে পুর-প্রকৌশলীদের রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে বা লাইসেন্সে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রায় সকল প্রতায়িত সংস্থাই নীতিশাস্ত্র কোড(code of ethics) মেনে চলে, যা ওখানকার সকল সদস্যকে মেনে চলতে হবে “ একজন প্রকৌশলীকে অন্য পক্ষের সাথে, চুক্তি আইন সংবলিত চুক্তিমুলক বিষয়গুল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
যদি একজন প্রকৌশলী তার কাররয ক্ষেত্রে অপারগ হয়, তবে তিনি আইনত দোষী সাব্বস্থ হতে পারে।” একজন পুরকৌশলীকে আরও কিছু নিয়ম কানুন মেনে কাজ করতে হয়, সেটা হতে পারে বিল্ডিং কোড ও পরিবেশ গত আইন।
বিভিন্ন ধরণের সিভিল কাজের এস্টিমেট নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ