স্কেলের সংজ্ঞা

স্কেলের সংজ্ঞা পাঠটি আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং – ১ [ Civil Engineerng Drawing – 1 ]” বিষয়ের “ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং স্কেলের মূলনীতি” অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত। মানচিত্রের স্কেল হল ভূমির সাথে সংশ্লিষ্ট দূরত্বের সাথে মানচিত্রে দূরত্বের অনুপাত। এই সহজ ধারণাটিও পৃথিবীর পৃষ্ঠের বক্রতা জন্য জটিল বলে মনে হয় যে কারণে মানচিত্রের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন স্কেল ব্যবহার করতে হয়। এই ভিন্নতার কারণে স্কেলের ধারণাটি দুটি ভিন্ন রূপে অর্থবহ হয়ে ওঠে।

স্কেলের সংজ্ঞা

স্কেলের সংজ্ঞা

ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত সকল প্রকার নকশা/ ডিজাইন কিংবা প্ল্যানিং করা যাবতীয় ড্রয়িং। ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার বা টেকনেশিয়ানদের ভাষা। যা কত গুলো রেখা চিত্রের মাধ্যমে এই ভাষা প্রকাশ করা হয়।

 

ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং স্কেলের মূলনীতি

 

১.১ স্কেলের সংজ্ঞা (Define scale) :

স্কেল বলতে সাধারণত একটি ইনস্ট্রুমেন্টকে বুঝায়, যা ড্রয়িং-এ সরলরেখা আঁকতে ব্যবহৃত হয়। তবে, ইঞ্জিনিয়ারিং পরিভাষায় স্কেল বলতে কোনো অবজেক্ট বা কাঠামো অঙ্কনের জন্য গৃহীত পরিমাপ এবং উক্ত অবজেক্ট বা কাঠামোর প্রকৃত পরিমাপের রেশিও বাি অনুপাতকে বুঝানো হয়। 

একটি বস্তুকে পূর্ণমাপে কাগজে অঙ্কন করা যায়, যদি বস্তুটির আকার কাগজের আকারের তুলনায় বড় না হয়। কিন্তু কাগজের তুলনায় বস্তু বড় হলে তাদেরকে কখনো পূর্ণমাপে অঙ্কন করা সম্ভব হয় না; যেমন- ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু, বড় মেশিন, জমি ইত্যাদি । আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও জটিল বস্তুর গঠনকে উত্তমরূপে বুঝানোর জন্য এদেরকে বড় করে অভন করার প্রয়োজন পড়ে। তাই প্রয়োজন ও সুবিধা অনুসারে এদের মাপকে সর্বদা একটা নির্দিষ্ট হারে কমিয়ে (Reduced) বা বাড়িয়ে (Enlarged) অঙ্কন করতে হয়।

 

স্কেলের সংজ্ঞা

 

উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, একটি কক্ষের প্রকৃত আকার (১০m x ৮m)। এখন এত বড় পেপার পাওয়া মুশকিল। এজন্য ড্রয়িং শিটে কক্ষটিকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য কক্ষের পরমাপ সুবিধাজনকভাবে কমানো হয়। এভাবে কক্ষটিকে সহজেই ড্রয়িং শিটে (১০cm x ৮cm) ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট আয়তক্ষেত্র হিসেবে আঁকা যায়। যার আকারের অনুপাত প্রকৃত কক্ষের সমানই, কিন্তু ক্ষেত্রফল ১০ হাজার গুণ কম।

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

প্রথম উপায় হল ‘জেনারেটিং গ্লোবের’ আকারের সাথে পৃথিবীর আকারের অনুপাত। জেনারেটিং গ্লোব একটি ধারণামূলক মডেল যা পৃথিবীর তুলনায় সঙ্কুচিত এবং যা থেকে মানচিত্রটি আঁঁকা হয়। জেনারেটিং গ্লোবের আকারের সাথে পৃথিবীর আকারের অনুপাতটিকে নমিনাল স্কেল (= প্রধান স্কেল = প্রতিনিধিত্বমূলক ভগ্নাংশ) বলা হয়। অনেক মানচিত্রই নমিনাল স্কেলে প্রদর্শিত হয় এবং এর সাথে একটি বার স্কেল (কখনও কখনও কেবল ‘স্কেল’ নামে পরিচিত) প্রদর্শন করতে পারে।

স্কেলের দ্বিতীয় স্বতন্ত্র ধারণাটি কোনও মানচিত্র জুড়ে স্কেলের বিভিন্নতার বোঝায়। এটি নমিনাল স্কেলের ম্যাপ করা পয়েন্টের স্কেলের অনুপাত। এক্ষেত্রে ‘স্কেল’ অর্থ স্কেল ফ্যাক্টর (= পয়েন্ট স্কেল = নির্দিষ্ট স্কেল)।

যদি কোনও মানচিত্রের অঞ্চলটি পৃথিবীর বক্ররেখাকে উপেক্ষা করার মতো যথেষ্ট ছোট, যেমন কোনও শহর পরিকল্পনা হিসাবে, তবে একটি একক মান পরিমাপের ত্রুটি সৃষ্টি না করে তাকে স্কেল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বৃহত্তর অঞ্চল বা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে মানচিত্রগুলিতে দূরত্ব পরিমাপে মানচিত্রের স্কেল অদরকারী বা এমনকি অকেজো হতে পারে। মানচিত্রের উপস্থাপনে মানচিত্রে স্কেল পরিবর্তিত হয় তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। স্কেল লক্ষণীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়, এটি স্কেল ফ্যাক্টর হিসাবে হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। টিসোটের ইনডেট্রিক্স প্রায়শই একটি মানচিত্র জুড়ে পয়েন্ট স্কেলের বিভিন্নতা চিত্রিত করতে ব্যবহৃত হয়।

 

আরও পড়ুন:

Leave a Comment