আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় – কাঠের কাজে ব্যবহৃত গ্লু যা অধ্যায়-৭ এর বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-২ এ অন্তভুক্ত। শিক্ষা জাতীয় জীবনের সর্বতোমুখী উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষিত-দক্ষ মানব সম্পদ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের কোনো বিকল্প নেই।তাই ক্রমপরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে দেশে ও বিদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) স্তরের শিক্ষা ম ইতোমধ্যে পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
Table of Contents
কাঠের কাজে ব্যবহৃত গ্লু
কাঠের কাজে ব্যবহৃত গ্লু
এক প্রকার আঠালো পদার্থ, যার মাধ্যমে কাঠ, প্লাইউড, বোর্ড ইত্যাদি ছোড়া লাগানো যায়
গ্লু-এর প্রকারভেদ
গ্লু ২ প্রকার। যথা –
১. প্রাকৃতিক গ্লু । প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে যে গ্লু তৈরি করা হয় তাকে প্রাকৃতিক গ্লু বলে। যেমন: প্রাণিজ প্রোটিন গ্লু, রক্ত এলবুমিন গ্লু, কেসিন গ্লু, ভেষজ স্টার্ট গ্লু ইত্যাদি।
২. কৃত্রিম গ্লু : কৃত্রিম উপায়ে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে যে গ্লু তৈরি করা হয় তাকে কৃত্রিম বলে। কৃত্রিম গ্লু ২ প্রকার। যথা:
১. থামোসেটিং এবং
২. থারমপ্লাস্তিক গ্লু
বিভিন্ন প্রকার গ্লু-এর গুণাবলি
পূর গুণাবলি নিম্নরূপ :
আসঞ্জন ক্ষমতা: ফ্লু-এর জোড় লাগাবার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই বাঁধন বা জোড় দেয়ার ক্ষমতা এদের অনুগুলোর যান্ত্রিক সুসংবদ্ধতা ও জোত্নক পৃষ্ঠের স্বস্রিতার উপর নির্ভর করে।
ভাপে স্থায়িত্বশীলতা: তাপমাত্রার উঠানামার সাথে গ্লু এর আসন মাত্রার পরিবর্তন ঘটাবেনা। থার্মোপ্লাস্টিক শ্রেণির গাম ও গ্লু অত্যাধিক তাপে আসঞ্জন মাত্রা হ্রাস করে। তাই এগুলো ব্যাবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
আর্দ্রতারোধী : এগুলোর অর্দ্রতারোধী গুণ থাকা বাঞ্ছনীয় যাতে আর্দ্রতায় আক্রান্ত হয়ে আসবন
বাক্রান্ততা : এগুলো ইরাকে আক্রান্ত হতে পারবে না।
লাউতা : এগুলো স্বল্প সময়ে জমাটবদ্ধ হবে এবং শক্ত জোড়া তৈরি করবে।

রাসায়নিক বিক্রিয়া : এগুলো যে সামগ্রীতে জোড়া দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে, তাদের সাথে কোনোরূপ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করবে না এবং এদের ক্ষতিসাধন করবে না।
প্রয়োগ সুবিধা : জোড়া লাগানোর পৃষ্ঠে এগুলো সহজে লাগানো যাবে।
স্থায়িত্ব : এগুলোর সৃষ্ট জোড় যুক্তিযুক্ত সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। তাছাড়া গাম বা হু মূল সামগ্রীর রঙ বদলাবে না, কটু গন্ধ ছড়াবে না, পরিবেশ দূষণ করবে না। আবহ ক্রিয়া ও পানির উপস্থিতিতে আক্রান্ত হবে না।
কাঠের কাজে গ্লু ব্যবহারের কৌশল
১। গ্লু দিয়ে জোড়া লাগানোর স্থান পরিস্কার করে নিতে হবে।
২। অমসৃন তল শীরিষ কাগজ দিয়ে ঘষে মসৃন করে নিতে হবে।
৩। ব্রাশ নিয়ে ন্ধু পৃষ্ঠে সমানভাবে ব্রাশ করতে হবে।
৪। টু যখন শুকাতে শুরু করবে তখন অপর অংশ চেপে বসাতে হবে।
৫। দৃঢ় ভাবে সংযুক্ত হওয়ার জন্য সময় নিয়ে গু শুকাতে হবে।
কাঠের কাজে বিভিন্ন ধরনের গ্লু ব্যবহারের কিছু কৌশল আছে যা নিম্নরূপ:
প্রানিজ প্রোটিন গু : এ ধরনের গ্লু সাধারণত কাঠ জোড়া দিতে ব্যবহার করা হয়। যদিও এক্ষেত্রে জোড়া বেশ শক্ত হয় কিন্তু জোড়া আর্দ্রতায় আক্রান্ত হয়। এ ধরনের গু এর জোড়ার সময় চাপ প্রয়োগ করতে এবং গরম অবস্থায় রেখে জোড়া লাগাতে হবে।
রক্ত এলবুমিন গ্লু : এ গ্লু কাঠ জোড়া দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ঘু-এর গুঁড়া ১৫০ ডিগ্রি ফাঃ তাপমাত্রার পানিতে মিশিয়ে গু তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে। এই গু-এর ব্যবহার খুবই কম।
অনুশীলনী-৭
অতি সংক্ষিপ্ত
১। গ্লু কাকে বলে?
২। গু কয় প্রকার?
৩। প্রাকৃতিক গ্লু কাকে বলে?
৪। কৃত্রিম গ্লু কাকে বলে?
সংক্ষিপ্ত
১। প্রাকৃতিক গ্লু কী? ব্যাখ্যা কর।
২। কৃত্রিম গ্লু কী? ব্যাখ্যা কর।
৩। আসঞ্জন ক্ষমতা কী? ব্যাখ্যা কর।
রচনামূলক
১। বিভিন্ন প্রকার গ্লু-এর গুণাবলি বর্ণনা কর।
২। কাঠের কাজে গ্লু ব্যবহারের কৌশল বর্ণনা কর।
আরও দেখুন :