পদার্থের যান্ত্রিক গুণাগুণ, পীড়ন ও বিকৃতি, পীড়ন ও বিকৃতির ডায়াগ্রাম | Structural Mechanics [66441]

পদার্থের যান্ত্রিক গুণাগুণ, পীড়ন ও বিকৃতি, পীড়ন ও বিকৃতির ডায়াগ্রাম আজেকর আলোচনার বিষয় বিষয়। Important aspect of mechanical properties of materials [পদার্থের যান্ত্রিক গুনাগুণ, পীড়ন ও বিকৃতি, পীড়ন ও বিকৃতির ডায়াগ্রাম] ক্লাসটি স্ট্রাকচারাল মেকানিক্স [ Structural Mechanics] ৬৬৪৪১ [ 66441 ] কোর্সের অংশ। স্ট্রাকচারাল মেকানিক্স (৬৬৪৪১) কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলোজির অংশ।

 

পদার্থের যান্ত্রিক গুণাগুণ, পীড়ন ও বিকৃতি, পীড়ন ও বিকৃতির ডায়াগ্রাম

প্রকৌশল এবং বস্তু বিজ্ঞানে, একটি বস্তুর পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা পীড়ন এবং বিকৃতির মধ্যে সম্পর্কটি উপস্থাপন করে। পরীক্ষা কুপনে ধীরে ধীরে ভার বৃদ্ধি করে বিকৃতি পরিমাপ করা হয়, যা থেকে পীড়ন এবং বিকৃতি নির্ধারণ করা যায় (দেখুন প্রসার্য পরীক্ষা)। সেই মানগুলি বসিয়ে এই লেখচিত্রটি পাওয়া যায়। এই বক্ররেখাগুলি একটি পদার্থের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে, যেমন ইয়ং-এর গুণাঙ্ক, ইল্ড শক্তি এবং চূড়ান্ত প্রসার্য শক্তি।

সাধারণভাবে বলতে গেলে, যে কোনও ধরনের বিকৃতিতে পীড়ন এবং বিকৃতির মধ্যে সম্পর্কের প্রতিনিধিত্বকারী রেখাচিত্রগুলি পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পীড়ন এবং বিকৃতি লম্বভাবে, ব্যবর্তন বা দুইয়ের মিশ্রণ হতে পারে। এছাড়াও হতে পারে একাক্ষবিশিষ্ট, দ্বি-অক্ষবিশিষ্ট, অথবা বহু-অক্ষবিশিষ্ট, এমনকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনও হয়।

বিকৃতির রূপটি সংকোচন, প্রসারণ, মোচড়, আবর্তন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যথায় উল্লিখিত না হলে, পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা হল, প্রসারণ পরীক্ষায়, অক্ষ বরাবর লম্বভাবে কাজ করা বস্তুর পীড়ন এবং অক্ষ বরাবর লম্বভাবে হওয়া সংশ্লিষ্ট বিকৃতির মধ্যে সম্পর্ককে বোঝায়।

 

বিকৃতির ডায়াগ্রাম

 

প্রকৌশল পীড়ন এবং বিকৃতি

একটি দণ্ডের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল প্রাথমিকভাবে 0 এবং সেটিকে সমান এবং বিপরীত দুটি বল  দুই প্রান্ত বরাবর টানলে তার মধ্যে পীড়ন সৃষ্টি হয়। বস্তুটি একটি চাপ অনুভব করে যেটির মান বল এবং দণ্ডের প্রস্থচ্ছেদের অনুপাতের সমান, এর সাথে অক্ষ বরাবর বৃদ্ধি ঘটে:

 (বল/প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল = পীড়ন)
 (দৈর্ঘের পরিবর্তন/মূল দৈর্ঘ্য = বিকৃতি)

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

নিম্ন লিখিত 0 দণ্ডের প্রাথমক মাত্রা বোঝায়। পীড়নের এসআই একক হল প্রতি বর্গমিটারে নিউটন, বা পাস্কাল (১ পাস্কাল = ১ নিউটন/মি)। এই উপাদানটির জন্য পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখাটি আঁকা হয়েছে। বল প্রয়োগ করার পর নমুনাটি দীর্ঘায়িত হয় এবং নমুনাটি ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত বিকৃতির সাথে পীড়নের পরিবর্তন নথিবদ্ধ করে লেখচিত্র অঙ্কন করা হয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, বিকৃতিকে অনুভূমিক অক্ষে এবং পীড়নকে উল্লম্ব অক্ষে নেওয়া হয়। মনে রাখা দরকার যে প্রকৌশলের জন্য আমরা ধরে নিই যে উপাদানের প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফল পুরো বিকৃতি প্রক্রিয়া চলাকালীন পরিবর্তিত হয় না।

এটি ঠিক নয় কারণ স্থিতিস্থাপক বস্তুর বিকৃতিজনিত কারণে প্রকৃত ক্ষেত্রফল কমে যায়। মূল প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফল এবং মাপিত দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে বক্ররেখাটিকে প্রকৌশল পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা বলা হয়, তাৎক্ষণিক প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফল এবং দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে যে বক্ররেখাটিকে আঁকা হয় তাকে বলা হয় প্রকৃত পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখা। অন্যথায় বলা না হলে প্রকৌশল পীড়ন–বিকৃতি বক্ররেখাটি সাধারণত ব্যবহৃত হয়।

 

পদার্থের যান্ত্রিক গুণাগুণ, পীড়ন ও বিকৃতি, পীড়ন ও বিকৃতির ডায়াগ্রাম নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment