পুকুর খননের জন্য মাটির এস্টিমেট | Estimating and Costing 1 [ 66442 ]

পুকুর খননের জন্য মাটির এস্টিমেট আজেকর ক্লাসের বিষয়। পুকুর খননে মাটির কাজের পরিমাণ সম্পর্কে অনুমান / এস্টিমেট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ভিডিওতে। পুকুর খননে মাটির কাজের পরিমাণ সম্পর্কে অনুমান / এস্টিমেট ক্লাসটি এস্টিমেটিং এন্ড কস্টিং ১ [৬৬৪৪২], Estimating & Costing 1 [66442] কোর্সের, ২য় অধ্যায়ের অংশ। এস্টিমেটিং এন্ড কস্টিং ১ (৬৬৪৪২) কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলোজির অংশ।

 

পুকুর খননের জন্য মাটির এস্টিমেট

 

পুকুর এক ধরনের স্থির পানির ক্ষুদ্র জলাশয় যা হ্রদের চেয়ে ছোট। পুকুর প্রকৃতি প্রদত্ত সৃষ্ট কিংবা মানুষ কর্তৃক খননকৃত – উভয় ধরনেরই হতে পারে। পোষা ও বন্য প্রাণীণীর উত্তম আবাসস্থল হিসেবে এটির ভূমিকা বিশাল ও ব্যাপক। প্রধানত পুকুরের পানিতে মার্শ, জলজ উদ্ভিদ এবং জলজ প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত। ছোট-বড় মাছ, হাঁস, রাজহাঁস, কচ্ছপ, সাপ, ব্যাঙ, গুই সাপ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের জলচর, স্থলচর কিংবা উভচর প্রাণী পুকুরে বাস করে।

 

 

 

পুকুরের পানির স্তর, খাদ্য স্তর, গাছপালার উপস্থিতি, ক্ষতিকর প্রাণীর অবস্থান, আলো নিশ্চিতকরণ, লবণাক্ততার মাত্রা ইত্যাদির উপর অন্যান্য প্রাণীর অবস্থান নির্ভর ও নিশ্চিত করে। সাধারণতঃ পানির গভীরতা অনুসারে অধিকাংশ পুকুরের তলদেশেই সূর্যের আলোকরশ্মি প্রবেশ করতে পারে। প্রকৃতিগতভাবেই নদীর পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি পুকুরেও পানি বৃদ্ধি পায় যা বন্যার সময় চোখে ধরা পড়ে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুকুরের পানি সারাবছর মজুত বা সংরক্ষিত হয় না। এ ধরনের পুকুরকে বসন্তকালীন পুকুর, ক্ষণস্থায়ী পুকুর, মৌসুমী পুকুর অথবা অস্থায়ী ভেজা জমি নামে পরিচিত হয়ে থাকে। সচরাচর এ জাতীয় পুকুরে কোন মাছ থাকে না। স্থানীয়ভাবে বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে পুকুরকে পুষ্করিণী নামেই কম-বেশি ডাকা হয়ে থাকে।

 

 

Google_news_logo
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ

পুকুরের পানি স্থির থাকে বিধায় নদ-নদীর পানির চেয়ে তুলনামূলকভাবে গরম থাকে। এ ধরনের স্থির পানি অনেক ধরনের পরিবেশ বান্ধব গাছপালা এবং জীব-জন্তুর জীবনপ্রণালীতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পুকুরের তলদেশ পলি পূর্ণ কাদা এবং পুকুরের কিনারায় জন্মানো গাছের শিকড় ও গর্তে মাছ এবং ব্যাঙের লার্ভা সঞ্চিত থাকে। গভীর তলদেশে অক্সিজেন কম থাকে। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রাণীরাই ঐ তলদেশের শীতল পরিবেশে অবস্থান করতে পারে। প্লাঙ্কটন পানির সকল স্তরেই নিজের জীবন বিস্তার করতে পারে।

 

বৈশিষ্ট্যাবলী

মানুষের তৈরী পুকুরগুলো সাধারণতঃ চতুর্ভূজ আকৃতির হয়ে থাকে। পুকুরের অন্যতম ও প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পানির স্থিরতাপূর্ণ উপস্থিতি। এর ফলে জলজ উদ্ভিদকূলসহ সংশ্লিষ্ট প্রজাতির প্রাণীবর্গের বসবাসের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ পায়। শাপলা, ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, বক, মাছরাঙ্গা ইত্যাদি প্রজাতির প্রাণী পুকুরকে উপজীব্য করে বেঁচে থাকে। পানিজাতীয় খাদ্য খেয়ে এ সকল প্রাণী জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে। কিছু কিছু স্থলচর প্রাণী বিশেষ করে হাঁসের খাদ্যের সরাসরি উৎস হিসেবে পুকুর বিবেচিত হয়ে আসছে।

 

 

পুকুর খননের জন্য মাটির

 

পুকুর খননের জন্য মাটির এস্টিমেট নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment