দরজার বিভিন্ন অংশ এর বর্ণনা

দরজার বিভিন্ন অংশ এর বর্ণনা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং – ১ [ Civil Engineerng Drawing – 1 ]” এর  “দরজা ও জালানার গঠন” অধ্যায় এর পাঠের অন্তর্ভুক্ত।

 

দরজার বিভিন্ন অংশ এর বর্ণনা

 

৬.২ দরজার বিভিন্ন অংশ এর বর্ণনা (Label different parts of doors)ঃ

দরজায় ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দসমূহ নিম্নরূপ ঃ,

১। ফ্রেম (Frame) ঃ পাল্লাকে আবদ্ধ করার জন্য অনুভূমিক এবং খাড়া মেম্বারের সমন্বয়ে তৈরিকৃত ঘেরকে (Enclosure) ফ্রেম বলে।

২। পারা (Shutter) ঃ কাঠের যে তক্তা দ্বারা ফ্রেমের মাঝখানের ফাঁকা বন্ধ করা হয়, তাকে পাল্লা বলে। স্টাইল, প্যানেল নেইল ইত্যাদির সমন্বয়ে তৈরিকৃত পারাকে ফ্রেমের সাথে কবজা (Hinge) দ্বারা যুক্ত করে সহজে খোলা এবং আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়।

৩। হেড (Head) ঃ ফ্রেমের উপরে অবস্থিত অনুভূমিক মেম্বার ।

৪। হর্ণ (Iorn) ঃ দরজা ও জানালার ফ্রেমের হেড এবং সিল (Head and sill) এর অনুভূমিক বর্ধিতাংশকে হর্ন বলে। ফ্ৰেমবে দেওয়ালের সাথে আবদ্ধ করার জন্য ১০ থেকে ১৫ সেমি পরিমাণ হর্ন রাখা হয়।

৫। গিল (SIII) : জানালার ফ্রেমের তলদেশে বা নিম্নের অবস্থিত অনুভূমিক অংশকে সিল বলে।

৬। জ্যাম (Jamb) ঃ দরজা ও জানালার জন্য নির্মিত ফাঁকা অংশের খাড়া পার্শ্বদ্বয়কে জ্যাম্ব বলে। এটি ফ্রেমকে ধরে রাখে সাহায্য করে।

৭। রিভেল (Reveal) : জ্যাম এর বহিস্থ পার্শ্বকে রিভেল বলে।

৮৷ স্টাইল (Style or stile) ঃ দরজা ও জানালার পাল্লার বহিস্থ খাড়া মেম্বারকে স্টাইল বলে ।

৯। টপ রেইল (Top rail) : পাল্লার সর্ব উপরে অবস্থিত অনুভূমিক মেম্বারকে টপ রেইল বলে।

১০। লক রেইল (Lock rail) ঃ পাল্লার মধ্য বরাবর অনুভূমিক মেম্বার, যাতে তালা-চাবি লাগানোর ব্যবস্থা থাকে, তাকে লক রেইল বলে।

 

দরজার বিভিন্ন অংশ এর বর্ণনা

 

১১। বটম রেইল (Bottom rail) : পাল্লার সর্বনিম্ন অনুভূমিক মেম্বারকে বটম রেইল বলে ।

১২। ক্রস রেইল (Cross rail or intermediate rail) : টপ এবং বটম রেইল ছাড়া অতিরিক্ত রেইল ব্যবহার করা হলে একে ক্রস রেইল বা ইন্টারমিডিয়েট রেইল বলে। আর টপ এবং লক রেইলের মধ্যবর্তী অংশে ব্যবহৃত রেইলকে ফ্রিজ রেইল (Frieze rail) বলে । 

১৩। প্যানেল (Panel) ঃ পরস্পর দুটি রেইলের মধ্যবর্তী আবদ্ধ ক্ষেত্রকে প্যানেল বলে।

১৪। মুলিয়ন (Mullion) ঃ ফ্রেমের মধ্যবর্তী খাড়া মেম্বার অর্থাৎ দরজা ও জানালাকে খাড়াভাবে বিভক্ত করতে যে খাড়া মেম্বার “ব্যবহার করা হয়, তাকে মুলিয়ন বলে।

১৫। ট্রানসাম (Transome) : ফ্রেমের যে অনুভূমিক মেম্বার দরজা ও জানালার ফোকরকে অনুভূমিকভাবে বিভক্ত করে, তাকে ট্রানসাম বলে। অর্থাৎ ফ্যানলাইট বা ট্রানসাম লাইটের নিম্নস্থ অনুভূমিক মেম্বারকে ট্রানসাম বলে। 

১৬। স্যাশ (Sash) ঃ গ্লাস প্যানেলকে ধরে রাখার জন্য যে হালকা কাঠের মেম্বার ব্যবহৃত হয়, তাকে স্যাশ বা স্যাশ বার বা গ্লেজিং বার বা অ্যাসট্রেগাল (Sash or sash bar or glazing bar or astragal) বলে। 

১৭। রিবেট (Rebate) ঃ চৌকাঠের চারপার্শ্বে যে খাঁজকাটা থাকে, যার মধ্যে পাল্লা বসে যায়, তাকে রিবেট বলে। সাধারণত ১২ মিমি চওড়া এবং পাল্লার পুরুত্ব সমান গভীর করে খাঁজকাটা হয়।

১৮। হোল্ড ফাস্ট (Hold fast) : জেড (Z) আকারের ৩০ মিমি x ৬ মিমি প্রস্থছেদী ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট ফ্লাট মাইন্ড স্টিল বারকে হোল্ড ফাস্ট বলে। এটি ফ্রেমকে দেওয়ালের সাথে ধরে রাখে। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ২০ সেমি হয়ে থাকে।

 

বিভিন্ন প্রকারের দরজা

 

 

আরও পড়ুন:

Leave a Comment